Rishi Kapoor

লেজেন্ডরা কি এত তাড়াতাড়ি ফুরিয়ে যান? 

কিছু গল্প শেষ হয়েও হয় না। কাছের মানুষ, ভক্তের স্মৃতিতে সেগুলো সব সময়েই জীবন্ত। ঋষি কপূরের স্মৃতিসুধায় ভারাক্রান্ত পরিবার ঋষি মারা যাওয়ার দিন সকালে অমিতাভ বচ্চনের টুইট বুঝিয়ে দিচ্ছিল, তিনি কতটা বিধ্বস্ত!

Advertisement
শেষ আপডেট: ০৪ মে ২০২০ ০০:০১
Share:

ঋষির স্মরণসভায়।

সোশ্যাল মিডিয়ায় নীতু কপূর লিখেছেন, ‘এন্ড অফ আওয়ার স্টোরি’। সঙ্গে হুইস্কির গ্লাস হাতে ঋষি কপূরের হাস্যময় একটা ছবি। ছবিটা ভীষণ জীবন্ত, যেন জীবনকে উদ্যাপন করছেন ঋষি। কিন্তু সত্যিই কি ঋষি-নীতুর গল্প শেষ হয়ে গেল? লেজেন্ডরা কি এত তাড়াতাড়ি ফুরিয়ে যান? আগামী প্রজন্ম তো বারবার এই গল্পের অধ্যায়গুলো উল্টে-পাল্টে দেখবে। তত বার হয়তো নতুন করে আর একটা গল্প শুরু হবে...

Advertisement

যেমনটা আলিয়া ভট্ট করেছেন। একটা সময় পর্যন্ত আলিয়ার কাছে একজন সিনিয়র অভিনেতা ছিলেন ঋষি কপূর। রণবীর কপূরের সঙ্গে সম্পর্কের সুবাদে আলিয়া ক্রমশই কপূর খানদানের ঘরের মেয়ে হয়ে উঠেছেন। আলিয়া লিখেছেন, ‘‘সকলে লেজেন্ড ঋষি কপূরের কথা বলছেন। আমিও এত দিন ওঁকে সে ভাবেই জানতাম। কিন্তু গত দু’বছরে উনি আমার বন্ধু... সর্বোপরি বাবা হয়ে উঠেছিলেন। ওঁর ব্যবহার আমাকে বুঝিয়ে দিত, আমি ওই পরিবারেরই একজন।’’

ঋষি মারা যাওয়ার দিন সকালে অমিতাভ বচ্চনের টুইট বুঝিয়ে দিচ্ছিল, তিনি কতটা বিধ্বস্ত! লিখেছিলেন, ‘‘হি ইজ় গন... আই অ্যাম ডেস্ট্রয়েড।’’ পরে সেই বার্তা তিনি ডিলিট করে দেন। হয়তো কপূর পরিবার তখনও তাঁদের তরফে বিবৃতি দেয়নি বলে। পরে রাতের দিকে নিজের ব্লগে, ঋষির সঙ্গে তাঁর প্রথম আলাপের, সখ্যের নানা দিক তুলে ধরেন অমিতাভ। রগচটা হলেও, ঋষি ভারী মিশুকে আর মজাদার মানুষ ছিলেন। সেটে সারাক্ষণ সকলকে মাতিয়ে রাখতেন। ‘‘খুব সিরিয়াস পরিস্থিতিতেও ঋষি ঠিক মজা বার করে আনত,’’ বলছেন অমিতাভ। সেটে কাজের ফাঁকে তাস, ব্যাগাটেলি খেলতেন ঋষি। সে সব নিজেই নিয়ে আসতেন। নেহাত টাইমপাসের খেলা নয়, রীতিমতো সিরিয়াস ছিলেন। আর হেরে গেলে ভয়ানক চটে যেতেন। অমিতাভের ব্লগ জুড়ে ঋষিকে নিয়ে এমনই নানা অজানা তথ্য।

Advertisement

‘অমর আকবর অ্যান্টনি’, ‘নসীব’ থেকে হাল আমলের ‘হান্ড্রেড অ্যান্ড টু নট আউট’... দু’জনে লম্বা ইনিংস খেলেছেন একসঙ্গে। অমিতাভ কিন্তু তাঁর প্রতিদ্বন্দ্বীর প্রতি বরাবরই শ্রদ্ধাশীল। একবার রাজ কপূরের সঙ্গে দেখা করতে গিয়েছেন অমিতাভ। তখন তিনি প্রতিষ্ঠিত আর ঋষি সবে ‘ববি’র প্রস্তুতি নিচ্ছেন। ‘‘দূর থেকে দেখলাম ও হেঁটে আসছে। কী আত্মবিশ্বাসী, দৃপ্ত পদক্ষেপ। একটা অদ্ভুত স্টাইল। যেমনটা ওর দাদু পৃথ্বীরাজজির ছিল। ওই রকম হাঁটা... আর কারও দেখিনি,’’ সম্ভ্রম ফুটে উঠেছে অমিতাভের লেখাতেও। ঋষি হাসপাতালে থাকাকালীন অমিতাভ তাঁকে দেখতে যেতে চাননি। ঋষি নিজেই বলতেন, আমি ঠিক ফিরে আসব। ঋষির সদা উজ্জ্বল মুখ এখনও অমিতাভের কাছে, জ় দ্য ভিভা... জ়েস্ট অব লাইফ।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন