Bidisha De Majumder

Manjusha Neogi Death: তুমি তোমার জামাইকে নিয়ে থাকো, আমি চললাম! বৃহস্পতি রাতে মাকে বলেছিলেন মঞ্জুষা

পল্লবী দে এবং বিদিশা দে মজুমদারের পর এ বার টলিপাড়ার  আর এক অভিনেত্রী মঞ্জুষা নিয়োগীর ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার করা হয়েছে তাঁর পাটুলির বাড়ি থেকে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ২৭ মে ২০২২ ০৯:৫৫
Share:

মঞ্জুষা নিয়োগী এবং তাঁর মা। ফাইল চিত্র ।

অভিনেত্রী পল্লবী দে এবং মডেল বিদিশা দে মজুমদারের পর এ বার টলিপাড়ার আর এক অভিনেত্রী মঞ্জুষা নিয়োগীর ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার করা হয়েছে তাঁর পাটুলির বাড়ি থেকে। শুক্রবার মৃত অভিনেত্রী মঞ্জুষার মা বললেন, ‘‘এদের সামনে প্রচুর পয়সার হাতছানি। এরা ভাবে, যা খুশি তাই করব। আমার মেয়েও সব সময় উপরে ওঠার চিন্তা করত। সেটাই কাল হল।’’ প্রথমে পল্লবী এবং তার পর বিদিশার মৃত্যুর পরই মানসিক ভাবে ভেঙে পড়েছিলেন মঞ্জুষা। তাঁর মায়ের কথায়, ‘‘ও শুধু বলত বিদিশার কথা। ওরা খুব বন্ধু ছিল। ও চলে যাওয়ার পরই মৃত্যুর বাসনা আরও বেশি জেগে ওঠে আমার মেয়ের মধ্যে।’’ তাঁর দাবি, ‘‘ও আমাকে বলেছিল, ‘পল্লবীর বাড়িতেও সাংবাদিকরা এসেছিল, তোমার বাড়িতেও আসবে।’ আমি ওকে কত করে বোঝাতাম। কোনও লাভ হল না।’’

Advertisement

মঞ্জুষার মায়ের দাবি, মেয়ে চার-পাঁচ দিন আগেই বাপের বাড়িতে এসেছিল। তাঁর কথায়, ‘‘বিদিশা ওর বান্ধবী ছিল। একসঙ্গে ওরা অনেক কাজ করেছে। কাল সারা দিন বিদিশার কথাই বলছিল। বার বার বলছিল, আমিও বিদিশার মতো করব। কালও শ্যুটিং সেরে এসেছিল।’’

একই সঙ্গে মঞ্জুষার মা প্রশংসা করেছেন তাঁর জামাইয়ের। বলেছেন, ‘‘আমার জামাই খুব ভাল মানুষ।’ বিয়ের পর জামাই বলত যে, এত কাজ এক সঙ্গে করতে হবে না। মেয়ে এই ইন্ডাস্ট্রিতে ছিল বলে শরীর রোগা রাখত, খাওয়া-দাওয়া কম করত। আমিও বলতাম, ভাল করে খাওয়া দাওয়া করতে। না খেলে শরীর খারাপ হবে। কিন্তু তার আগেই ও নিজেকে শেষ করে দিল।’’

Advertisement

মঞ্জুষার মা বলেন, ‘‘মাত্র ছ’মাস আগে ওদের বিয়ে হয়েছে। জামাই ওকে দিন দুই আগে নিতে এসেছিল। কাজের জায়গায় হতাশা ছিল। ঠিক মতো কাজ পাচ্ছিল না। জামাই বলত, ‘এখন অত চিন্তার কিছু নেই। কাজ না পেলে না পাবে। ছেলে-মেয়ে হোক। তার পর আবার চেষ্টা করবে।’ জামাইয়ের কথা ওকে বললে, আমাকে বলত, ‘তুমি তোমার জামাইকে নিয়ে থাকো। আমি চললাম।’’

পুলিশ সূত্রে খবর, মঞ্জুষার ঘরের দরজা ভিতর থেকে বন্ধ ছিল। ডাকাডাকি করে দরজা না খোলায় দরজা ভেঙে ভিতরে ঢুকে মুঞ্জুষার ঝুলন্ত দেহ দেখতে পাওয়া যায়। প্রাথমিক ভাবে পুলিশের অনুমান, আত্মঘাতী হয়েছেন এই মডেল-অভিনেত্রী। কোনও সুইসাইড নোট উদ্ধার হয়নি। এই প্রতিবেদন প্রকাশ করা পর্যন্ত পরিবারের তরফেও কোনও অভিযোগ দায়ের করা হয়নি। মঞ্জুষার মা বলেন, ‘‘আমি পুলিশে অভিযোগ করব না। আমার জামাইয়ের কোনও দোষ নেই। এর পিছনে অন্য কেউ নেই। মারা যাওয়ার ইচ্ছা ওর মাথায় ঢুকেছিল।’’ পুলিশ সূত্রে খবর, ময়নাতদন্তের জন্য শুক্রবারই পাঠানো হবে দেহ। অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা দায়ের করেছে পুলিশ।

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তেফলো করুন আমাদের Google News, Twitter এবং Instagram পেজ

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন