পূজা জৈন। ফাইল চিত্র।
জনপ্রিয় হতে অনেক সময় লাগে, সে সব ধারণা এখন অতীত। ইউটিউব, ফেসবুক, টুইটারের মতো সোশ্যাল মিডিয়ার দৌলতে যে কেউ তারকা হয়ে উঠতে পারে রাতারাতি। তবে সে ‘ফেম’ কত সময় থাকবে, সেটা কেউই হলফ করে বলতে পারে না...
পূজা জৈন
তেইশ বছরের পূজা জৈনের জনপ্রিয় ‘ঢিনচ্যাক পূজা’ হয়ে ওঠা অবশ্যই রাতারাতি। দিল্লির গুরু গোবিন্দ সিংহ ইন্দ্রপ্রস্থ বিশ্ববিদ্যালয়ে ইংরেজিতে এমএ পড়া ছাত্রী, বছরখানেক আগে একটা ভিডিয়ো পোস্ট করেছিলেন। নিজের গাওয়া ‘সোয়াগওয়ালি টোপি’ ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়ে। তবে জনপ্রিয়তা বলতে যা বোঝায়, সেটা আসে ‘সেলফি ম্যায়নে লে লি আজ’ ভিডিয়ো দিয়ে। ভিউয়ারশিপ হয় দু’কোটির কাছাকাছি! শোনা যাচ্ছে, ইউটিউবের বিজ্ঞাপন থেকে পূজার রোজগার হয়েছে সাত লক্ষ টাকা। তবে যথারীতি খ্যাতির সঙ্গে বিড়ম্বনাও কম হয়নি। তাঁর নতুন ভিডিয়ো ‘ডিলন কা স্কুটার’-এ হেলমেট ছাড়া স্কুটার চালানোয় দিল্লি পুলিশের কাছে অভিযোগ জানিয়েছেন অনেকে।
সাওন দত্ত
রান্নার ভিডিয়ো ব্লগের জনপ্রিয়তা আর কার্যকারিতা কেউ অস্বীকার করতে পারবে না। তবে সাওন দত্তর ইউটিউব ভিডিয়ো ‘মাছের ঝোল’কে ঠিক রেসিপি বলা যায় না। শুধুই কী ‘মাছের ঝোল’? ‘শুক্তো’, ‘ঝালমুড়ি’ কিছুই বাদ যায়নি সাওনের রান্না-গানে। রেসিপির আড়ালে বাঙালির জীবনধারাকেই আসলে তুলে ধরেছিলেন সাওন। গানের ব্যাপারে অবশ্য সাওন নতুন নন। স্কুল অব প্ল্যানিং অ্যান্ড আর্কিটেকচার থেকে স্নাতক হয়ে চলে আসেন বিজ্ঞাপনের জগতে। অনেক টিভি শো আর থিয়েটার স্কোর রেকর্ড করেন তিনি। ‘ইন্ডিয়ান ওশেন’ ব্যান্ডের প্রথম দিকের সদস্যও ছিলেন সাওন। ফলে তাঁর গানের মান নিয়ে পূজার মতো বিতর্ক তৈরি হয়নি।
সাওন দত্ত ও লিলি সিংহ।
তাহের শাহ
করাচির তাহের শাহও প্রশিক্ষিত গায়ক। তবে জনপ্রিয়তা আসে সেই সোশ্যাল মিডিয়ার দৌলতেই। কুড়ি বছর ধরে তৈরি করা গান ‘আই টু আই’ তাঁকে রাতারাতি জনপ্রিয় করে তোলে। এক দিনের মধ্যেই তাঁর গান দেখে ফেলেন ২০ লক্ষ দর্শক। গত বছর রিলিজ করা তাঁর ভিডিয়ো ‘এঞ্জেল’ও একই রকম ভাইরাল। অদ্ভুত বেগুনি রঙের পোশাক আর ব্র্যান্ডেড লোফার্স বিদ্রুপের মুখোমুখি হলেও, অনলাইনে তাঁর জনপ্রিয়তায় ভাটা পড়েনি।
লিলি সিংহ
ইউটিউবে জনপ্রিয়তার নিরিখে প্রথম নামটা অবশ্যই লিলি সিংহের। গত মাস পর্যন্ত ইউটিউবে তাঁর সাবস্ক্রাইবারের সংখ্যা এক কোটির উপর। প়ঞ্জাবি পরিবারে জন্মানো লিলির কেরিয়ারের শুরু ক্যালিফোর্নিয়ায়। মনস্তত্ত্বে স্নাতক লিলি সোশ্যাল মিডিয়ার পাল্স বুঝতে সময় নেননি। শোনা যায়, ইউটিউব থেকে তাঁর রোজগার ছাড়িয়ে গিয়েছে সাত মিলিয়ন ডলার।