সুশান্তের মতোই পরিণতি দিশার। ছবি: সংগৃহীত।
কয়েক মাস আগে সিবিআই জানিয়ে দেয়, আত্মঘাতীই হয়েছিলেন সুশান্ত সিংহ রাজপুত। সিবিআই-এর চূড়ান্ত রিপোর্টে জানানো হয়, আত্মহত্যা ছাড়া অন্য কোনও দিক উঠে আসেনি সুশান্তের মৃত্যুর তদন্তে। একই পরিণতি হল দিশা সালিয়ান মামলারও। মুম্বই পুলিশ তাদের চূড়ান্ত রিপোর্ট জমা দিয়েছে বম্বে হাই কোর্টে। সেই রিপোর্ট অনুযায়ী, দিশাও আত্মহত্যাই করেছিলেন।
গত মার্চে নতুন করে আদালতে মেয়ের মৃত্যুর তদন্তের দাবি করেছিলেন দিশার বাবা সতীশ সালিয়ান। তাঁর অভিযোগ ছিল, দিশাকে গণধর্ষণ করে হত্যা করা হয়েছিল। কিন্তু সেই সমস্ত অভিযোগের কোনও ভিত্তি নেই বলে জানিয়ে দিয়েছে মুম্বই পুলিশ।
সুশান্তের মৃত্যুর ঠিক এক সপ্তাহ আগে, ২০২০ সালের ৮ জুন মৃত্যু হয়েছিল দিশার। বহুতল আবাসনের ১৪ তলা থেকে পড়ে মৃত্যু হয়েছিল সুশান্তের ম্যানেজারের। তাঁর ময়নাতদন্তের রিপোর্টে ধর্ষণ বা যৌন হেনস্থার কোনও ঈঙ্গিত পাওয়া যায়নি বলে হাইকোর্টকে জানায় পুলিশ। তাদের দাবি, পারিবারিক সমস্যা এবং কাজের চাপ ইত্যাদি কারণে মানসিক অস্থিরতার মধ্যে ছিলেন দিশা। তাই এই চরম সিদ্ধান্তের পথ বেছে নেন।
দিশার বাবার অভিযোগের নিশানায় ছিলেন শিবসেনা নেতা আদিত্য ঠাকরে। তবে মুম্বই পুলিশের চূড়ান্ত রিপোর্টে জানানো হয়েছে, এই ঘটনায় তাঁর কোনও ভূমিকা নেই।
বলিউড অভিনেতা সুশান্ত সিংহ রাজপুতের ম্যানেজার হিসাবে কাজ করতেন দিশা। মুম্বই পুলিশের দাবি, ২০২০ সালের ৮ জুন নিজের বাড়ির বারান্দা থেকে পড়ে মারা যান দিশা। প্রাথমিক তদন্তের পর পুলিশ এটিতে আত্মহত্যা বলেই দাবি করেছিল। কিন্তু দিশার বাবা বার বার অভিযোগ করেছিলেন, তাঁর মেয়েকে গণধর্ষণ করে খুন করা হয়েছে।