ছবি: উদয় চোপড়ার টুইটার হ্যান্ডল থেকে গৃহীত।
অভিনয়টা তেমন রপ্ত করতে পারেননি। তবে টুইটারে বরাবরই অকপট উদয় চোপড়া। সম্প্রতি গাঁজা সেবন বৈধ করার দাবি তুলেছিলেন। সে জন্য নেটিজেনদের বিস্তর প্রশংসাও কুড়িয়েছিলেন। তবে তাঁর মন্তব্য ভাল ভাবে নেয়নি মুম্বই পুলিশ। তাই সোশ্যাল মিডিয়ায় তাঁকে সতর্ক করে দেওয়া হয়েছে।
১৩ সেপ্টেম্বরের ঘটনা। সন্ধের দিকে পর পর বেশ কয়েকটি টুইট করেন অভিনেতা। তাতে গাঁজা সেবনের পক্ষে সওয়াল করতে দেখা যায় তাঁকে। তিনি লেখেন, ‘‘আমার মনে হয় ভারতে গাঁজা সেবন বৈধ হওয়া উচিত। কারণ প্রথমত, এটা আমাদের সংস্কৃতির সঙ্গে জড়িত। দ্বিতীয়ত, গাঁজা সেবন বৈধ হলে এবং তার উপর কর বসলে সরকারের আয় বাড়বে। আবার এর সঙ্গে যুক্ত সব ধরনের অপরাধমূলক কাজকর্মও বন্ধ হবে। তা ছাড়া গাঁজার চিকিৎসাজনিত সুবিধাও রয়েছে। যা কিনা সব চেয়ে গুরুত্বপূর্ণ।’’
তবে তিনি নিজে গাঁজা সেবন করেন না বলে সাফ জানিয়ে দেন উদয়। তাঁর কথায়, ‘‘আমি গাঁজা সেবন করি না। তবে গাঁজা সেবনকে বৈধতা দেওয়া বুদ্ধিমানের কাজ হবে বলে মনে হয়। ভারতের ইতিহাসের সঙ্গেও তো গাঁজা জড়িয়ে রয়েছে ওতপ্রোতভাবে। বছরের পর বছর দোলে ভাঙ খাওয়ার প্রথা চালু রয়েছে। যা কিনা গাঁজারই মতো। মহা শিবরাত্রিতে ভগবান শিবের অনুকরণে সাধুরা গাঁজা সেবন করেন। যদিও ধর্মীয় ক্ষেত্রেই গাঁজার ব্যবহার বেশি। কিন্তু সে তো আমাদের ঐতিহ্যের সঙ্গেই যুক্ত!’’
আরও পড়ুন: সিঙ্গলস্ক্রিন-মাল্টিপ্লেক্সে প্রাইম টাইমে বাংলা ছবির একটি শো বাধ্যতামূলক!
তাঁর এই টুইট নজর এড়ায়নি মুম্বই পুলিসের। দু’দিন পরই তাদের টুইটার হ্যান্ডল থেকে উদয়ের উদ্দেশে বার্তা দেওয়া হয়। তাতে বলা হয়, ‘‘স্যর, ভারতীয় নাগরিক হিসাবে জনসমক্ষে নিজের মতামত জানানোর অধিকার রয়েছে আপনার। তবে একটু সতর্ক হওয়া দরকার। কারণ ১৯৮৫ সালের মাদক আইন (নার্কোটিক ড্রাগস অ্যান্ড সাইকোট্রপিক সাবস্ট্যান্সেস অ্যাক্ট) অনুযায়ী এই মুহূর্তে ভারতে গাঁজা সেবন, মজুত রাখা এবং সরবরাহ শাস্তিযোগ্য অপরাধ হিসাবে গণ্য। আশাকরি এই তথ্য সকলকে জানিয়ে দেবেন আপনি।’’
মুম্বই পুলিশের টুইটের জবাবে এখনও পর্যন্ত কোনও মন্তব্য করেননি উদয় চোপড়া। তবে তিনিই প্রথম নন। গত কয়েক বছরে বিভিন্ন দেশে গাঁজা সেবন বৈধ করার দাবি উঠেছে। এ ব্যাপারে সব চেয়ে এগিয়ে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। শুধুমাত্র চিকিৎসা ক্ষেত্রে নয়, গাঁজার ব্যক্তিগত ব্যবহারও বৈধ করার দাবিতে দীর্ঘ সংগ্রাম হয়েছে সেখানে। যার জেরে ইতিমধ্যেই ২৯টি প্রদেশে চিকিৎসা ক্ষেত্রে গাঁজার ব্যবহার বৈধ হয়েছে। ব্যক্তিগত ব্যবহার বৈধ ৯টি প্রদেশে।
আরও পড়ুন: সারোগেসির মাধ্যমে সিঙ্গল মাদার হলেন শ্রেয়া পাণ্ডে
এ ছাড়াও ইজরায়েল, আর্জেন্টিনা, পুয়ের্তো রিকো, পানামা, মেক্সিকো, জাম্বিয়া এবং জিম্বাবোয়ে-সহ ১৪টি ইউরোপীয় দেশে চিকিৎসা ক্ষেত্রে গাঁজার ব্যবহার বৈধ। ভারতীয় চিকিৎসকদের একাংশকেও গাঁজা বৈধ করার পক্ষে সওয়াল করতে দেখা গিয়েছে।