‘ধুরন্ধর’ দেখে কী প্রতিক্রিয়া ২৬/১১-র প্রত্যক্ষদর্শী রাজিতা বগ্গার? ছবি: সংগৃহীত।
‘ধুরন্ধর’ ছবির নানা দৃশ্য নিয়ে আলোচনা হচ্ছে। তার মধ্যে অন্যতম মুম্বইয়ের তাজ হোটেলে জঙ্গি হামলার দৃশ্যটি। ওই দৃশ্যের পরে প্রেক্ষাগৃহে দর্শক হঠাৎ স্তব্ধ হয়ে যাচ্ছে। এমন দাবি বহু মানুষের। এমনকি, এই দৃশ্য দেখে গায়ে কাঁটা দিচ্ছে অনেকেরই। এ বার এই দৃশ্য নিয়ে মুখ খুললেন এমন একজন, যিনি ২৬/১১-র সন্ত্রাসবাদ নিজের চোখে দেখেছিলেন। সশরীরে উপস্থিত ছিলেন তাজ হোটেলে।
ছবিতে ওই দৃশ্য দেখানোর পরে পর্দার রং লাল হয়ে যায়। নেপথ্যে শোনা যায় বাস্তবের ঘটনার গোলাগুলির আওয়াজ ও সন্ত্রাসবাদীদের কণ্ঠ। দৃশ্যটি দেখে শিউরে উঠেছে সকলে। মুম্বইয়ে সেই দিন উপস্থিত ছিলেন রাজিতা বগ্গা। সন্ত্রাসবাদী হামলা থেকে সেই দিন স্বামী অজয় বগ্গার সঙ্গে নিরাপদে বেরিয়ে আসতে সক্ষম হয়েছিলেন তিনি। এক বিবৃতিতে তিনি লিখেছেন, “সেই রাতে আমরা সেই ভয়ানক হামলা থেকে বেঁচে ফিরতে পেরেছিলাম। ১৪ ঘণ্টা আটকে থেকে বেরিয়ে আসতে পারার সৌভাগ্য হয়েছিল।”
‘ধুরন্ধর’ ছবিতে দেখানো হয়েছে, আইএসআই আধিকারিক পাকিস্তান থেকে সন্ত্রাসবাদীদের নির্দেশ দিচ্ছে এবং আটকে থাকা সমস্ত মানুষকে হত্যা করতে বলছে। যখনই বোমা বিস্ফোরণ হচ্ছে, তারা উল্লাস করছে। এই দৃশ্য দেখে রাজিতা লিখেছেন, “এই দেখে যদি রাগ না হয় তা হলে আর কিসে রাগ হবে? ১৭ বছর কেটে গিয়েছে। কিন্তু যা ঘটেছিল, এবং আমাদের সঙ্গে সেই দিন যা হতে পারত, তা ভেবেই এখনও কেঁপে উঠি। খুব যন্ত্রণাদায়ক।”
সেই ভয়াবহ ঘটনার দৃশ্যায়নের জন্য ‘ধুরন্ধর’কে কুর্নিশ জানিয়েছেন তিনি। তাঁর কথায়, “আদিত্য ধরকে ধন্যবাদ। সেই দিন আসলে কী ঘটেছিল তা ২-৩ মিনিটের মধ্যে তুলে ধরায় নতুন প্রজন্মও সবটা জানতে পারবে। ওই দৃশ্যে রণবীরের অভিব্যক্তিও পুরো প্রজন্মকে কাঁপিয়ে দেবে।” রাজিতার পোস্টে উত্তর দিয়েছেন আদিত্য নিজেও। তিনি লিখেছেন, “আপনার কথাগুলোই প্রমাণ, কেন আমাদের সেই দিনের ঘটনাগুলি মানুষের কাছে তুলে ধরা উচিত।”