ছবিতে দেখানো হয় অপরাধী প্রেফতারের পর একবার ফোন করার অনুমতি পান। কিন্তু বাস্তবে স্থানীয় এলাকার মধ্যে তিনটি সম্পূর্ণ ফোন কল করার অধিকার রয়েছে।
মারকাটারি অ্যাকশন সিকোয়েন্স। হঠাৎ কোনও একপক্ষ গ্রেনেডের পিন দাঁত দিয়ে খুলে অপর পক্ষের দিকে ছুঁড়ে দিলেন। কিন্তু আদতে কি সেটা সম্ভব? না। দাঁত দিয়ে গ্রেনেড পিন খোলা সম্ভব নয়। একমাত্র ভেঙে ফেলা সম্ভব।
বলিউডের বিভিন্ন ছবিতে আকছারই দেখা যায়, রোগীর হৃদস্পন্দন এক্কেবারে বন্ধ হয়ে গিয়েছে। তখন ডেফিব্রিলেটর যন্ত্রের ব্যবহারে হৃদস্পন্দন ফিরে আসে। তা কিন্তু হয় না। এটা তখনই কাজ করে, যখন হৃদপিন্ড ধীর গতিতে কাজ করে।
সামান্য ক্লোরোফর্মে গোটা একটা দিন কাউকে অজ্ঞান করে রাখা যায়। কিন্তু না, সামান্য কিছু সময় পর্যন্ত ক্লোরোফর্ম কাজে আসে।
বুলেট তালা ভেঙে ফেলে। তালা শক্ত লোহা জাতীয় ধাতু দিয়ে তৈরি করা হয়। কিন্তু বুলেট সেই তালা এক্কেবারেই ভেঙে ফেলতে পারে না।
এক্কেবারে সরাসরি রোগীর বুকে ইনজেকশন প্রয়োগ করলে তাঁর জীবন বাঁচানো সম্ভব হয়। কিন্তু চিকিৎসা শাস্ত্র কিন্তু উল্টোই বলছে। অনেক সময় এতে শরীরের ভিতরে রক্তক্ষরণ হতে পারে অথবা হার্ট বিকল হয়ে যেতে পারে।
ছবিতে প্রায়ই দেখা যায়, পুলিশকে সার্চ ওয়ারেন্ট ছাড়া বাড়ি তল্লাশি করা সম্ভব ন।। কিন্তু বাস্তবে যদি স্পষ্ট ভাবে অপরাধীর বাড়িতে ঢুকে সার্চ ওয়ারেন্ট ছাড়া তল্লাশি চালানো যায়।
ছবিতে দেখা যায়, মেশিন গান একবার লোড করার পর অনির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত ব্যবহার করা যায়। কিন্তু তা নয়। একটি মেশিন গান এক সেকেন্ডে ৭০০ রাউন্ড গুলি চালাতে পারে। যদি অনবরত গুলি চালানো হয়, তবে তিন সেকেন্ড পর পর মেশিন গান রিলোড করতে হয়।
মুখোমুখি গাড়ি সংঘর্ষে, একটি গাড়ি আকাশে উড়বেই। কিন্তু বাস্তবে গাড়ি মুখোমুখি সংঘর্ষে গাড়িতে আগুন ধরে যায়। কিন্তু কোনও গাড়িই উড়ে যায় না।
বলিউডি ছবিতে দেখা যায় গ্রহাণু ক্ষেত্র বেস ঘিঞ্জি। আর মহাকাশ যানকে খুব কষ্ট করে সামনের দিকে এগিয়ে যেতে হয়। গহাণু ক্ষেত্র ছবিতে যেমন ঘিঞ্জি ভাবে দেখানো হয়, তেমনটা কিন্তু নয়। গহাণুরা একে অপরের চেয়ে প্রায় ১০ লক্ষ মাইল দূরে অবস্থিত।