অমিতাভ বচ্চন, মোহনলাল ও হৃতিক রোশন
বলা হয়, যা মহাভারতে নেই, তা ভূ-ভারতে নেই। এমন একটা মহাকাব্যিক আখ্যান পরদায় তুলে ধরার ঝকমারিও কম নয়। সেই তোড়জোড় শুরু হয়ে গিয়েছে। এক হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে ‘মহাভারত’ তৈরি হবে। এক ঝলকে দেখে নেওয়া যাক, ছবি তৈরির নেপথ্যে কী কী আছে।
উদ্যোগ অবশ্য দক্ষিণ ভারতীয় ইন্ডাস্ট্রি নিয়েছে। কিন্তু এত বড় আয়োজন করা কারও একার পক্ষে সম্ভব নয়। তাই বলিউডও থাকছে। এই ছবি তৈরির পিছনের গৌরী সেন দুবাইয়ের এক ব্যবসায়ী।
প্রযোজক বি আর শেট্টির সংস্থার পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, হিন্দি, ইংরেজি, মালয়লম, কন্নড়, তামিল এবং তেলুগু ভাষায় ছবিটি তৈরি হবে। ভারতের বিভিন্ন প্রদেশের অভিনেতারা থাকবেন। আন্তর্জাতিক এবং অ্যাকাডেমি পুরস্কার প্রাপ্ত অভিনেতাদেরও নেওয়া হবে।
এত বড় প্রজেক্ট তৈরির দায়িত্ব কাকে দেওয়া হচ্ছে? খবর বলছে, বিজ্ঞাপন নির্দেশক ভি এ শ্রীকুমার মেনন। তিনি এর আগে সিেনমা পরিচালনা না করলেও, বিজ্ঞাপনের দুনিয়ায় বেশ বিখ্যাত। ‘মহাভারত’-এর মূল গল্প থেকে ছবি তৈরি হচ্ছে না। এম টি বাসুদেবন নায়ারের ‘রণডামুঝম’ বইয়ের আধারে ছবিটি তৈরি হচ্ছে। যেখানে গোটা বিষয়টি ভীমের চোখ দিয়ে বলা হচ্ছে। ছবির স্ক্রিনপ্লে এম টি বাসুদেবন নিজেই লিখছেন। ছবির প্রি প্রোডাকশনের কাজ চলছে। শ্যুটিং শুরু হতে বছর গড়িয়ে যাবে। দু’ভাগে গল্প বলা হবে। নির্মাতাদের আশা, প্রথম ছবি আসতে-আসতে ২০২০ হয়ে যাবে।
ছবি নিয়ে যে-আগ্রহ সবচেয়ে বেশি, তা হল ‘মহাভারত’-এর কোন চরিত্রে কে অভিনয় করবেন। দক্ষিণের নামী অভিনেতা মোহনলাল থাকছেন ভীমের চরিত্রে। বাকি চরিত্র নিয়ে বিভিন্ন নাম ঘোরাফেরা করছে। অমিতাভ বচ্চনকে ভীষ্মের চরিত্রের জন্য প্রস্তাব দেওয়া হতে পারে বলে শোনা যাচ্ছে। হৃতিক রোশন কিংবা মহেশ বাবুকে শ্রীকৃষ্ণের চরিত্রের জন্য ভাবা হচ্ছে।
ছবির খবর প্রকাশিত হওয়ার পর কিছু বিতর্ক ইতিমধ্যেই তৈরি হয়েছে। কামাল আর খান যেমন টুইটারে মোহনলালকে ব্যঙ্গ করে লিখেছেন, ‘ওঁকে দেখতে তো ছোটা ভীমের মতো। তা হলে উনি মহাভারতে ভীমের চরিত্র করবেন কী করে’। ইন্ডাস্ট্রির সিনিয়র অভিনেতাকে নিয়ে ব্যঙ্গ করার জন্য অবশ্য কেআরকে-কেই ট্রোল করা হচ্ছে। ‘মহাভারত’ তৈরির ভাবনা আমির খানের ছিল। এমনকী, কিছু দিন আগে শাহরুখ খানও ইচ্ছে প্রকাশ করেছিলেন। কিন্তু দু’জনেরই মত, একার চেষ্টায় এই মহাকাব্য পরদায় তুলে ধরা সম্ভব নয়। ভারতে সবচেয়ে বড় ক্যানভাসে এখনও পর্যন্ত হয়েছে ‘বাহুবলী’। সেই উদ্যোগটা দক্ষিণ ভারত থেকেই নেওয়া। ‘বাহুবলী’র পরিচালক এসএস রাজামৌলিরও ‘মহাভারত’ তৈরির ইচ্ছে ছিল। তবে এখনও পর্যন্ত যা খবর, এই প্রজেক্টে দক্ষিণ ভারত এবং বলিউড একসঙ্গে মিলেমিশে কাজ করবে।