Mega Serial

পিঙ্ক ক্যাব নয়, হলুদ ট্যাক্সি চালিয়ে আসছে ঊর্মি

দাবি, ‘বৃদ্ধাশ্রম’ মেগায় অভিনয়ের সময়েই গাড়ি চালাতে শিখেছিলাম। সেই চালানো আর এই চালানোর মধ্যে যদিও বিস্তর ফারাক।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ১২ এপ্রিল ২০২১ ১৬:০৩
Share:

‘আমাদের এই পথ যদি না শেষ হয়’ ধারাবাহিকে ঊর্মি

এক ছটফটে তরুণী। সারাক্ষণ মজা করতে ভালবাসে। একটু একটু সব কিছুই জানে সে। নাচ, গান, আঁকা, পড়াশোনা, আবৃত্তি। ট্যাক্সি চালানোও জানে? তাও আবার পিঙ্ক ক্যাব নয়, হলদে বড় ট্যাক্সি! মানতে কষ্ট হলেও এটাই হচ্ছে ১২ এপ্রিল থেকে। রাত ১০টায় ট্যাক্সি নিয়ে সোম থেকে শুক্র রোজ পৌঁছে যাবে ঊর্মি। সঙ্গে থাকবে তার কড়া, রাগী প্রশিক্ষক সাত্যকি। পুরোটাই হবে ছোট পর্দায়, জি বাংলায়। হঠাৎ মহিলা ট্যাক্সিচালকের জীবন কেন ছোট পর্দায়? চ্যানেল কর্তৃক্ষের দাবি, এর আগে দর্শকেরা মহিলা টেনিস, ফুটবল খেলোয়াড়, গয়না প্রস্তুতকারী, ঢাকি, পোশাক ডিজাইনারকে মেনে নিলে ট্যাক্সি ড্রাইভার নয় কেন? ২১ শতকে এই পেশা যথেষ্ট পরিচিত।

Advertisement

ঊর্মিরও এই যুক্তি। তাই ধনি পরিবারের মেয়ে হয়ে, অনেক কিছু শিখেও জীবনটাকে উপভোগ করবে বলে, নিজের পায়ে দাঁড়াবে বলে নিজের ইচ্ছেয় বেছে নিয়েছে ট্যাক্সি চালানো। এর আরও এটি কারণ সাত্যকি। এক দিন বাড়ি ফেরার সময় এক দল বখাটে ছেলে শ্লীলতাহানির চেষ্টা করে ঊর্মির। সে দিন প্রায় ভগবানের মতো তাকে রক্ষা করেছিল সাত্যকি। ওই দিনই সাত্যকির ক্যাব চালানোর দক্ষতা দেখে মুগ্ধ ঊর্মি।

নাছোড়বান্দা ঊর্মি এর পরেই ধরে সাত্যকিকে। একটু একটু করে শিখেও নেয় গাড়ি চালানোর খুঁটিনাটি। এ দিকে মধ্যবিত্ত ঘরের সাত্যকিকে দারুণ পছন্দ ঊর্মির দাদুর। তাকে যখন হবু নাত জামাই হিসেবে ঠিক করেই ফেলেছেন তখনই অঘটন। কী সেটা? জানতে গেলে দেখতে হবে নতুন ধারাবাহিক ‘আমাদের এই পথ যদি না শেষ হয়’। মুখ্য ভূমিকায় অভিনয় করছেন অন্বেষা হাজরা, ঋত্বিক। ছোট পর্দায় অন্বেষা চেনা মুখ। এর আগে ‘বৃদ্ধাশ্রম’, ‘চুনি পান্না’ ধারাবাহিকে তাঁর অভিনয় দর্শকমনে এখনও টাটকা।

Advertisement

আনন্দবাজার ডিজিটালকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে অন্বেষা জানিয়েছিলেন হলুদ ট্যাক্সি চালানোর অভিজ্ঞতা, ‘‘যে দিন স্টিয়ারিং ধরেছিলাম সে দিনের কথা আর কী বলব! ভয়ে কুঁকড়ে আমি একটুখানি। প্রাণ যেন গঙ্গাজল। দু’পাশ দিয়ে গাড়ি বেরিয়ে যাচ্ছে। যা-তা অবস্থা।’’

যদিও গাড়ি চালানোর অভ্যেস তাঁর নতুন নয়। দাবি, ‘বৃদ্ধাশ্রম’ মেগায় অভিনয়ের সময়েই গাড়ি চালাতে শিখেছিলাম। সেই চালানো আর এই চালানোর মধ্যে যদিও বিস্তর ফারাক। তিনি জানিয়েছেন, তখন প্রশিক্ষণ হত ভোর ৫টায়। রাস্তা ফাঁকা। তাছাড়া, ট্রেনিং সেন্টারের গাড়িতে কন্ট্রোল, ব্রেক থাকত। তিনি বললেন, " গাড়ি একটু গড়ালেই মনে হত কত ভাল গাড়ি চালাতে পারি! ট্যাক্সিতে পাওয়ার স্টিয়ারিং নেই। বদলে গিয়ার, ক্লাচ, এক্সিলেটর, স্টিয়ারিং, সবই হার্ড। পুরো ঘেঁটে ‘ঘ’। ভীষণ শক্ত ব্যাপার। গাড়ি চালানো থেকে ধোওয়া, এই সুযোগে সবটাই খুঁটিয়ে শিখে নিচ্ছি।’’

মেগার পরিচালক স্বর্ণেন্দু সমাদ্দার। টাইটেল ট্র্যাক গেয়েছেন নচিকেতা চক্রবর্তী। খবর, ধারাবাহিকের গানে নচিকেতা স্বয়ং স্বর্ণেন্দু এবং শ্রুতি দাসের কণ্ঠ ব্যবহার করতে চেয়েছিলেন। শ্রুতি আপাতত অন্য চ্যানেলের সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ। তাই সমস্যা এড়াতে গানে জুটি বাঁধেননি পরিচালক-অভিনেত্রী।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন