১৯৮০ সালের ১৩ মে। কবিপক্ষ। সংঘাত পেরিয়ে একই মঞ্চে দাঁড়ালেন কণিকা বন্দ্যোপাধ্যায় - সুচিত্রা মিত্র। একসঙ্গে গাইলেন ‘আজি এ আনন্দসন্ধ্যা’।
কাট টু ২০১৫। ঠিক পঁয়ত্রিশ বছর বাদে সুচিত্রা-কণিকার সেই গান আবার এক সিডিতে। গাইছেন সুচিত্রার ভাইঝি সুদেষ্ণা চট্টোপাধ্যায় এবং কণিকার ভাইঝি সোহিনী মুখোপাধ্যায়। পিসিমণিরা আজ নেই। আছে তাঁদের গানের স্মৃতি।
১৯ সেপ্টেম্বর সুচিত্রা মিত্রের জন্মদিন, আজ ১২ অক্টোবর কণিকার জন্মদিন। দুই কিংবদন্তি শিল্পীর জন্মদিন উপলক্ষে প্রকাশিত হল এই সিডি—যার নাম ‘লেগাসি’। কণিকা ভ্রাতুষ্পুত্রী সোহিনী বললেন,
‘‘আমরা নিজেদের মতো করে গেয়ে সুচিত্রা ও কণিকার শ্রোতাদের কাছে নতুন করে পৌঁছতে চাইছি। যাতে করে ওঁদের গান সময়ের স্রোতে মুছে না যায় সে জন্যই এই প্রচেষ্টা।’’ অন্য দিকে সুচিত্রার ভাইঝি সুদেষ্ণা বললেন, ‘‘পলা (সোহিনী) আমাকে উদ্বুদ্ধ করেছে। বারবার বলেছে, ‘চল আমরা পিসিমণিদের গান নিয়ে একটা কিছু করি।’’ এই সিডি কি বিজ্ঞাপনী চমক? সোহিনী বললেন, ‘‘ধারণাটা একেবারেই ভুল। আমরা নতুন প্রজন্ম। তাই নতুন প্রজন্মের কাছে সুচিত্রা-কণিকার গান আবার ফিরিয়ে আনতে চাই। জেনেটিক ভাবেই আমরা পিসিমণিদের গানের উত্তরাধিকারী হয়েছি।’’ প্রশ্ন হল সুচিত্রা–কণিকার গান যদি শুনতেই হয় তবে তাঁদের গলায় না শুনে তাঁদের ভাইঝিদের গলায় কেন শুনবে শ্রোতারা? সুদেষ্ণা বললেন, ‘‘পিসিমণিদের গাওয়া গানে কেমন করে আমি আর পলা নিজস্বতা ঢেলে দিয়েছি, সেটা নিশ্চয়ই শ্রোতারা শুনতে আগ্রহী হবেন ।’’