বিনোদন নয়, শুধুই বিরক্তি

কাহিনি দুর্বল তো বটেই, রমকম ছবির মজা কিংবা রোম্যান্স কোনওটাই প্রত্যাশা পূরণ করে না। বরং কমেডি তো কখনও কখনও ব্যুমেরাং হয়ে দাঁড়ায়।

Advertisement
শেষ আপডেট: ২২ জানুয়ারি ২০১৮ ০০:০৬
Share:

ইনস্পেক্টর নটি কে

Advertisement

পরিচালনা: অশোক পতি

অভিনয়: জিৎ, নুসরত ফারিয়া

Advertisement

৩/১০

পুলিশ ইনস্পেক্টরদের নিয়ে টলিউডে অনেক ছবি তৈরি হয়েছে। সেই তালিকায় একেবারে নীচের সারিতে থাকবে এই ছবি। কাহিনি দুর্বল তো বটেই, রমকম ছবির মজা কিংবা রোম্যান্স কোনওটাই প্রত্যাশা পূরণ করে না। বরং কমেডি তো কখনও কখনও ব্যুমেরাং হয়ে দাঁড়ায়। ভাঁড়ামো দিয়ে কি দর্শকের মন জয় করা যায়?

নব্বইয়ের দশকের সিনেমার মতোই এই ছবির ট্রিটমেন্ট। কিন্তু তাতে কোনও নতুনত্ব নেই। বিনোদন উপহার দিতেও ব্যর্থ। বরং গোটা ছবি জুড়ে এত অসঙ্গতি যা বিরক্তি জাগায়। বিশেষত, ইতালিতে সেখানকার পুলিশ যখন চোরের স্বীকারোক্তি পেতে ব্যর্থ, সেই সময়ে নায়কের লাঠির ঘায়ে চোরের দোষ স্বীকার একটু বাড়াবাড়ি হয়ে গেল না? এর সঙ্গে সম্পাদনার ব্যর্থতা রয়েছেই। যা অহেতুক দীর্ঘায়িত করেছে এই সিনেমাকে।

গল্পে দেখা যায়, চমকাইতলার নটবর ওরফে নটি (জিৎ) পুলিশ ইন্সপেক্টর হওয়ার জন্য শর্তমতো পাড়ি দেয় ইতালিতে। সেখানে সমীরার (নুসরত) প্রেমে পড়ে নটি। তবে সমীরা মোটেই পছন্দ করে না নটিকে। সে ভালবাসে অন্য একজনকে। তবে চিরাচরিত ছক মেনেই নটে গাছ মুড়োনোর মতোই শেষ পর্যন্ত নায়ক-নায়িকার মিলন হয়। সমীরাকে দেশে ফিরিয়ে আনে নটি। সিংহভাগ সময়েই স্ক্রিন জুড়ে জিৎ এবং নুসরতকে দেখা গেলেও তাঁরা গল্পের দুর্বলতা ঢাকতে ব্যর্থ। বিশেষত, দু’জনের রসায়ন একেবারেই দানা বাঁধে না। ছবির মিউজিকও নজর কাড়ে না।

সব শেষে প্রশ্ন, দর্শকমহলে জিতকে নিয়ে উন্মাদনা থাকলেও তার উপযুক্ত মর্যাদা কি দিতে পারলেন তিনি? বিশেষত, কিছু ক্ষেত্রে জিতের কমেডি নিয়েও প্রশ্ন ওঠে। পাশাপাশি নুসরতের অভিনয়ও যথেষ্ট দুর্বল।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement
Advertisement