Nora Fatehi

বিশ্বকাপ ফাইনালে ভারতের ফুটবলপ্রেম রেখে এলেন নোরা, ট্রফি ছুঁয়েছেন দীপিকাও

‘লাইট দ্য স্কাই’-এ নোরা তো মাত করলেনই! আর্জেন্টিনা আর ফ্রান্সের হাড্ডাহাড্ডি ম্যাচে দিনটি অন্যতম সেরা ফাইনাল হয়ে থেকে গেল ফুটবলের ইতিহাসে। দীপিকার উদ্বোধন করা ট্রফি উঠল মেসির হাতে।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

মুম্বই শেষ আপডেট: ১৯ ডিসেম্বর ২০২২ ০৮:৫০
Share:

বিশ্বকাপ শেষ হলেও ‘লাইট দ্য স্কাই’ শুনে চলেছেন ফাইনালের ঘোর কাটিয়ে না উঠতে পারা দর্শক। সংগৃহীত

ঝালর দেওয়া কালো পোশাক, কালো স্টকিংসে নোরা ফতেহি যেন বিদ্যুতের ঝিলিক! নাচে-গানে ফুটবল বিশ্বকাপের সমাপ্তি অনুষ্ঠানে মন ভরিয়ে দিয়েছেন অভিনেত্রী। থিম গান ‘লাইট দ্য স্কাই’ তাঁর কণ্ঠে অন্য মাত্রা পেয়েছিল। সেই সঙ্গে কালো পোশাকে তাঁর মোহময়ী নাচ বিশেষ আবহ তৈরি করেছিল। তাঁর সঙ্গী ছিলেন বাল্কিস, রহমা রিয়াদ এবং মানাল। তাঁরা একসঙ্গেই সফল করলেন সেই অনুষ্ঠান। অন্য দিকে, ট্রফির উদ্বোধন করলেন দীপিকা পাড়ুকোন। এই প্রথম কোনও ভারতীয় তারকা এই সম্মান পেলেন।

Advertisement

নোরার পারফরম্যান্সের ভিডিয়ো সমাজমাধ্যমে ঘুরছে রবিবার রাত থেকেই। বিশ্বকাপ শেষ হলেও ‘লাইট দ্য স্কাই’ শুনে চলেছেন ফাইনালের ঘোর কাটিয়ে না উঠতে পারা দর্শক। বিশেষ করে নোরার কণ্ঠে গানটির হিন্দি সংস্করণ শুনতে খুবই ভাল লেগেছে ভারতীয় অনুরাগীদের। যেন বিশ্বকাপে ভারতের ফুটবলপ্রেম ছুঁয়ে দিয়ে এসেছেন নোরা।

প্রসঙ্গত, জন্ম কানাডায় হলেও ভারতের নাগরিকত্ব রয়েছে নোরার। সব সময়ে জানান, ‘‘হৃদয়ে আমি ভারতীয়’’। বলিউডে কেরিয়ার শুরু করার পর দেশও তাঁকে সেই কবেই আপন করে নিয়েছে।

Advertisement

অন্য দিকে, দীপিকা পাড়ুকোন তো ছিলেনই। ট্রফি উদ্বোধনে তাঁর ঝলমলে উপস্থিতিতেও আপ্লুত হয়েছিলেন সবাই। ফুটবলে অংশ না নিলেও পরতে পরতে ২০২২-এর বিশ্বকাপে জড়িয়ে ছিল ভারত। রণবীর সিংহ, কার্তিক আরিয়ান থেকে শুরু করে রবিবার বেশির ভাগ বলি-তারকাই ছিলেন কাতারের গ্যালারিতে।

ফ্রান্স না আর্জেন্টিনা? বিশ্বকাপ ময়দানে তখন ফাইনালের উত্তেজনা। ঠিক তার আগের রাতে নোরা ফতেহি গিয়েছিলেন ফিফার প্রেসিডেন্ট জিয়ানি ইনফ্যান্তিনোর কাছে। হাতে লাল টুকটুকে বাক্স, সবুজ ফিতে দিয়ে মোড়া। তাতে ছিল বিশেষ ভাবে নির্মিত একজোড়া স্পোর্টস শু। স্মারক হিসাবে নোরা সেই বাক্স উপহার দিয়েছিলেন জিয়ানিকে। কৃতজ্ঞতা জানিয়েছিলেন তাঁকে আহ্বান করার জন্য। আর চেয়েছিলেন, স্মৃতিতে থাকতে।

অস্বাভাবিক উজ্জ্বল সেই জুতো জোড়া ঘুরিয়ে-ফিরিয়ে দেখে জিয়ানি বলেছিলেন ‘‘বাহ্! আমার খুব পছন্দ হয়েছে। এটা সোজা আমার অফিসে যাবে।’’ তাঁকে খুশি হতে দেখে নোরাও আহ্লাদিত। বলেন, ‘‘আপনার পছন্দ হয়েছে, এতেই আমি ধন্য। এই জুতো জোড়া দেখলেই আপনার আমাদের কথা মনে পড়বে।’’

তার পর নোরা তো পারফরম্যান্সে মাত করলেনই। আর্জেন্টিনা আর ফ্রান্সের হাড্ডাহাড্ডি ম্যাচে দিনটি অন্যতম সেরা ফাইনাল হয়ে থেকে গেল ফুটবলের ইতিহাসে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন