(বাঁ দিক থেকে) লতা মঙ্গেশকর, ওরি, ফাল্গুনী পাঠক। ছবি: সংগৃহীত।
বলিউডের তারকাদের প্রাণের বন্ধু তিনি। অম্বানীদের পুত্রবধূ থেকে শাহরুখ-কন্যা সুহানা, শ্রীদেবী-কন্যা জাহ্নবী— সকলের শোয়ার ঘরে পর্যন্ত ঢোকার অনুমতি আছে তাঁর। মাত্র চার বছরের মধ্যে তারকা হয়ে উঠেছেন এই ওরি ওরফে ওরহান অবত্রামণি। এ হেন ওরি নাকি লতা মঙ্গেশকরকেই চেনেন না! ফাল্গুনী পাঠককে বলেন, ‘ফাল্গুনী পিকক’। ভিডিয়ো ভাইরাল হতেই ওরির উপর চটল নেটপাড়া।
তিনি কোনও ছবিতে অভিনয় করেন না। শুধুই ছবি তোলেন। অথচ তাঁর সঙ্গে ছবি নেই, এ দেশে এমন তারকা খুঁজে পাওয়াই দুষ্কর! তারকাদের সঙ্গে ছবি তুলেই নাকি লক্ষ লক্ষ টাকা উপার্জন করেন তিনি! সেই অর্থের অঙ্কটা নাকি দৈনিক ২০-৩০ লক্ষ থেকে কখনও কখনও ৫০ লক্ষ পর্যন্ত পৌঁছে যায়। নবরাত্রির সময় তিনি গিয়েছিলেন গুজরাতি গায়িকা ফাল্গুনী পাঠকের ‘গরবা’র অনুষ্ঠানে। মঞ্চে ফাল্গুনী গাইছেন ‘ইয়াদ পিয়া কি’। সেই শুনে ওরি বলেন, ‘‘ওমা! আমি ভাবলাম ফাল্গুনী পিকক গাইছেন, কে ইনি?’’
‘ইন্ডি-পপ’ গানের অন্যতম জনপ্রিয় শিল্পী ফাল্গুনী পাঠক। ২০০০ সালের শুরুর দিকে বহু বাণিজ্যসফল গান গেয়েছেন তিনি। অন্য দিকে, ফাল্গুনী পিকক হলেন এই প্রজন্মের অন্যতম খ্যাতনামী পোশাকশিল্পী। দু’জন মানুষের মধ্যে ভ্রম হয়েছে ওরির। তবে এখানেই শেষ নয়। ‘গরবা’ গানকে ভেবে বসলেন গজ়ল। এমনকি সেই গান লতা মঙ্গেশকর গাইছেন ভেবেও ভুল করেন ওরি। সেখানেও থামেননি। ওরি বলেন, ‘‘আমি তো ভাবলাম লতা মঙ্গেশকরই গজ়ল গাইছেন। আমি তো তা-ই জানি।’’ প্রখ্যাত গায়িকার নামও তিনি ঠিক করে জানেন না? ওরির এই ধরনের মন্তব্য শুনে অনেকেই তাঁকে ‘নির্বোধ’ আখ্যা দিয়েছেন। কেউ বলেছেন, ‘‘কোনটা রসিকতা আর কোনটা অসম্মান করা, সেটা ওরি জানেন না।’’ কেউ ক্ষিপ্ত হয়ে কুকথা বলেছেন তাঁকে। তবে সে সবে পাত্তা দেননি ওরি।