হার্ভি ওয়াইনস্টেইনকে। ছবি: এএফপি।
ব্রিটিশ অ্যাকাডেমি অব ফিল্ম অ্যান্ড টেলিভিশন আর্টস (বাফটা) আগেই সরিয়ে দিয়েছিল। এ বার অস্কার বোর্ড থেকেও ছেঁটে ফেলা হল হলিউডের বিতর্কিত প্রযোজক হার্ভি ওয়াইনস্টেইনকে।
কয়েক দিন আগেই অ্যাকাডেমি অব মোশন পিকচার্স জানিয়েছিল, একের পর এক যৌন হেনস্থা এবং ধর্ষণের অভিযোগে বিদ্ধ হার্ভিকে নিয়ে তারাও বৈঠকে বসছে। লস অ্যাঞ্জেলেসে সেই বৈঠকের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, অস্কার বোর্ড থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে নামী এই প্রযোজককে। হলিউডের তারকাদের বেশির ভাগই এই সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছেন। অ্যাকাডেমি বোর্ডের সাফ কথা, ‘‘এক ব্যক্তি শুধু তাঁর সহকর্মীদের সম্মান করেন না বলে যে আমরা তাঁকে বাদ দিচ্ছি, এমন নয়। আমাদের ইন্ডাস্ট্রিতে যে ভাবে পৈশাচিক যৌন আচরণকে সম্মতিসূচক উপেক্ষার চোখে দেখা হয় বা লজ্জায় মুখ বুজে মেনে নেওয়া হয়, এ বার সেই দিন শেষ— এই বার্তাই দিতে চাই আমরা।’’
বোর্ডের মতে, ‘‘সমস্যাটা খুবই উদ্বেগের। আমাদের সমাজে এর কোনও জায়গা নেই।’’ নব্বই বছরের ইতিহাসে অ্যাকাডেমি এক জনকেই এর আগে বহিষ্কার করেছিল। অভিনেতা কার্মিন কারিডি। ২০০৪ সালে অ্যাকাডেমির লিখিত নিয়ম লঙ্ঘন করে ৮৩ বছরের ওই অভিনেতা স্ক্রিনার কপি প্রকাশ করে ফেলেছিলেন। তবে যৌন হেনস্থা বা পারিবারিক হিংসার অভিযোগ উঠলেও রোমান পোলানস্কি, বিল কসবি বা মেল গিবসনের মতো পরিচালক-অভিনেতাদের বহিষ্কার করেনি অ্যাকাডেমি।
আগেই হার্ভির বিরুদ্ধে মুখ খুলেছিলেন হলিউড অভিনেত্রী কেট উইস্লেট। ২০০৯ সালে ‘দ্য রিডার’ ছবির জন্য অস্কার পাওয়ার পরে ১৯ জনকে ধন্যবাদ জানিয়েছিলেন কেট। অনুষ্ঠানের আগে তাঁকে বলা হয়েছিল, হার্ভিকেও যেন ধন্যবাদ জানান তিনি। কেট বলেছিলেন, ‘‘যদি কেউ ভদ্র না হয়, তাঁকে ধন্যবাদ দেব কেমন করে!’’