Pallabi Chattopadhyay

খিচুড়ি কি গেছে চুরি? কী বললেন অভিনেত্রী পল্লবী চট্টোপাধ্যায়?

‘‘খিচুড়ি রেসিপি আবার চুরি করা যায় নাকি?’’ পল্লবী জানান, ইন্ডাস্ট্রির বন্ধুরা মিলে ইন্ডাস্ট্রিরই কিছু মানুষের পাশে দাঁড়ানোর জন্য তাঁরা এ ভাবে উদ্যোগী হয়েছেন।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ১২ জুন ২০২০ ২০:৪৮
Share:

খিচুড়ি-র পো পোস্টার। ছবি: সংগৃহীত।

‘‘এ খিচুড়ি সম্পূর্ণ আমার রান্না। আর কারও নয়,’’—আনন্দবাজার ডিজিটালকে বললেন পল্লবী চট্টোপাধ্যায়।

Advertisement

বেশ কয়েক দিন আগে লকডাউনে ভিন্ন স্বাদের খিচুড়ি রান্না করে সকলকে চমকে দিয়েছিলেন অভিনেত্রী পল্লবী চট্টোপাধ্যায়। এ খিচুড়িতে হাত মিলিয়েছেন তাঁর দাদা অভিনেতা প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়, ঋতুপর্ণা সেনগুপ্ত, মীর, তনুশ্রী চক্রবর্তী, রূপম ইসলাম থেকে ঊষা উত্থুপ, শান্তনু মৈত্রের মতো ব্যক্তিত্ব।

পল্লবী শুধু পাকা রাঁধুনি নন। তাঁর হাতের রান্না খাননি ইন্ডাস্ট্রিতে এমন মানুষ কম আছেন। নিজে হাতে রেঁধে বাড়ি বাড়ি রান্না পাঠানো তাঁর স্বভাব। মানুষ মুখিয়ে থাকে তাঁর হাতের রান্না খেতে।

Advertisement

পল্লবীর এই ‘খিচুড়ি’ (পড়ুন শর্ট ফিল্ম) নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন ভারতীয় বিজ্ঞান সংস্থা-র বর্তমান ও প্রাক্তন একদল গবেষক। তাঁদের দাবি, পল্লবীর আগেই তাঁরা খিচুড়ি বানিয়ে ফেলেছিলেন। তাঁরা দাবি করেন, খিচুড়ির উপর প্রথম অধিকার তাঁদের। পল্লবী তাঁদের পরে খিচুড়ি রেঁধেছেন শুধু নয়, খিচুড়ি রান্নার পদ্ধতিও নাকি হুবহু তাঁদের থেকে নেওয়া! আনন্দবাজার ডিজিটালকে বললেন পল্লবী, ‘‘খিচুড়ি রেসিপি আবার চুরি করা যায় নাকি?’’ পল্লবী জানান, ইন্ডাস্ট্রির বন্ধুরা মিলে ইন্ডাস্ট্রিরই কিছু মানুষের পাশে দাঁড়ানোর জন্য তাঁরা এ ভাবে উদ্যোগী হয়েছেন। বিনা পারিশ্রমিকে শিল্পীরা এই শর্ট ফিল্মে কাজ করেন। পল্লবী বলেন, ‘‘দুটো ভিডিয়ো দেখলেই বোঝা যাবে বিষয়টা কত আলাদা। এখন লকডাউনে বেশির ভাগ ক্ষেত্রে সব ভিডিয়ো ওই ভাবে হচ্ছে। ফরম্যাটিংয়ে মিল থাকতে পারে। তবে এটা থেকে ফান্ড তোলা হয়েছে। দুঃস্থ বা বয়স্ক শিল্পী, টেকনিশিয়ান ভাইদের জন্য এই কাজ। আমার নিজস্ব কনটেন্ট হাব আছে, নতুন ছেলেমেয়েদের কাজ কপি করতে হবে এ রকম অবস্থায় পৌঁছইনি আমি।’’

আরও পড়ুন: মহানদীর বুকে জেগে উঠল ৫০০ বছর পুরনো মন্দিরের ‘মস্তক’

অভিযোগ শুধু নামে নয়, পোস্টার কপি করার ক্ষেত্রেও উঠেছে। এ ক্ষেত্রে পল্লবীর জবাব, ‘‘দুটো মানুষের কোনও ফরম্যাটে ভাবনা মিললেই সেটা কপি? আরে খিচুড়ি নামে তো সিরিয়ালও আছে। সেটাকেও কি কপি বলব? খিচুড়ি সকলের। কারও একলার হতে পারে না।’’

আরও পড়ুন: কোয়রান্টিন সেন্টারেই চলছে দেদার ক্রিকেট ম্যাচ

চুরির অপবাদকে অস্বীকার করে পল্লবী বলেন, ‘‘ছোট ছেলেমেয়েরা উদ্যোগী হয়ে নিজেদের মতো যে কাজ করেছে তাকে কখনওই ছোট করছি না। তাদের ভাবনায় সামাজিক দূরত্বের কথা আছে। খুব ভাল উদ্যোগ। ওরা সোশ্যাল মেসেজের কথা ভেবে বানিয়েছে। আমরাও বন্ধুদের নিয়ে ফান্ড রেজ করার ভাবনা থেকে বানিয়েছি। কপির কোনও প্রশ্নই ওঠে না।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন