Ajoy Chakraborty on Anup Ghosal

‘গুপী গাইন..’ মুক্তির আগেই কলেজে বেঞ্চ বাজিয়ে গান গাইত অনুপ, আমরা আগেই শুনেছিলাম: অজয়

অনুপ ঘোষাল ও পণ্ডিত অজয় চক্রবর্তী একই বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তনী। গায়কের প্রয়াণে কলেজের দিনগুলি ফিরে দেখলেন আর এক শিল্পী।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ১৫ ডিসেম্বর ২০২৩ ১৮:৫৬
Share:

(বাঁ দিকে) অনুপ ঘোষাল (ডান দিকে) পণ্ডিত অজয় চক্রবর্তী। ছবি: সংগৃহীত।

সঙ্গীত পরিবারে জন্ম। অল ইন্ডিয়া রেডিয়ো থেকে সঙ্গীতজীবনের শুরু প্রয়াত শিল্পী অনুপ ঘোষালের। তবে তিনি খ্যাতি পান সত্যজিৎ রায় পরিচালিত ‘গুপী গাইন বাঘা বাইন’, ‘হীরক রাজার দেশে’র মতো ছবিগুলির মাধ্যমে। শুধু যে বাংলা গান গেয়েছেন তেমনটা নয়। হিন্দি, ভোজপুরী, অসমিয়া ভাষায়ও অসংখ্য গান গেয়েছেন। তার মধ্যে যে গানটির পরিচিতি সর্বাধিক সেটি হল ‘মাসুম’ ছবির ‘তুঝসে নারাজ নেহি জ়িন্দেগি’। তপন সিন্‌হা পরিচালিত ‘সাগিনা মাহাতো’ চলচ্চিত্রে তাঁর গান শ্রোতারা এখনও ভোলেননি। তাঁর ও রবি ঘোষের গাওয়া ‘ভূতের রাজা দিল বর’ গানটি রীতিমতো বৈগ্রহিক পর্যায়ে পৌঁছে গিয়েছে। শুক্রবার কলকাতার একটি বেসরকারি হাসপাতালে প্রয়াত হন গায়ক। আনন্দবাজার অনলাইনের কাছে গায়কের স্মৃতিচারণায় কলেজবেলায় ফিরে গেলেন পণ্ডিত অজয় চক্রবর্তী।

Advertisement

এক বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার সুবাদে আলাপ-পরিচিতি ছিল অনুপ-অজয়ের। অজয়ের কথায়, ‘‘ও ‘গুপী গাইন বাঘা বাইন’ ছবির গানগুলির জন্য অধিক পরিচিতি পেয়েছিল। তবে আমরা কিন্তু ছবির মুক্তির আগে কলেজেই শুনে ফেলেছিলাম গানগুলো। কলেজে বসে বেঞ্চ বাজিয়ে গানগুলো গাইত। তখনও কিন্তু গান প্রকাশ হয়নি। অনুপ গাইত, আমাদের শোনা হয়ে যেত। ওর কথা বলতেই কলেজের এই স্মৃতিগুলো মনে পড়ে যায়। যদিও পরবর্তী কালে ওর সঙ্গে যোগাযোগ কমে যায়। ওর প্রয়াণ ভীষণ দুঃখের। তবে একটাই কথা বলব, মানিকমামা যে ভাবে ওকে ব্যবহার করেছেন, তার তুলনা নেই। তা ছাড়া নজরুলগীতি জনপ্রিয় করে তোলার পিছনে ওর যথেষ্ট অবদান ছিল। বড্ড তাড়াতাড়ি চলে গেল।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন