কী বললেন পরিণীতি? যে তাঁকে সরাসরি ‘মিথ্যেবাদী’ তকমা দেওয়া হল

অক্ষয়কুমার মুম্বইয়ে মহিলাদের সেল্ফ ডিফেন্স প্রশিক্ষণের যে অ্যাকাডেমি খুলেছেন, সেখানে এসেছিলেন পরিণীতি। ছোটবেলার গল্প করতে গিয়ে পরিণীতি বলেন, আর্থিক সমস্যার জন্য বাসের টাকা জোগাড় করতেও তাঁর পরিবারের সমস্যা হতো।

Advertisement
শেষ আপডেট: ৩১ মে ২০১৭ ১০:০০
Share:

পরিণীতি

ছোটবেলার স্ট্রাগলের গল্প বলে দর্শক আর মিডিয়ার কাছ থেকে সমবেদনা আদায়ের উপায়টা বেশ পুরনো। অনেক সেলেব্রিটিই এই কাণ্ড ঘটিয়ে থাকেন। খানিকটা অতিরিক্ত ফুটেজ পাওয়ার চেষ্টা আর কী! পরিণীতি চোপড়াও এ বার সেই তালিকায় নাম লেখালেন। কিন্তু পার পেলেন না।

Advertisement

অক্ষয়কুমার মুম্বইয়ে মহিলাদের সেল্ফ ডিফেন্স প্রশিক্ষণের যে অ্যাকাডেমি খুলেছেন, সেখানে এসেছিলেন পরিণীতি। ছোটবেলার গল্প করতে গিয়ে পরিণীতি বলেন, আর্থিক সমস্যার জন্য বাসের টাকা জোগাড় করতেও তাঁর পরিবারের সমস্যা হতো। তাই সাইকেল চালিয়ে স্কুলে যেতেন তিনি। রাস্তায় ছেলেরা সেই সময় তাঁর দিকে অশালীন ইঙ্গিতও করত। পরিণীতি চাইতেন বাসে করে স্কুলে যেতে, কিন্তু তাঁর বাবা চেয়েছিলেন মেয়ে সব রকম পরিস্থিতির সঙ্গে মানিয়ে নিক। পরিণীতির এই বক্তব্যের ভিডিয়ো দেখে তাঁরই স্কুলের একাধিক সহপাঠী তীব্র বিরোধিতা করেন।

আরও পড়ুন
সোনিকার পরিবার শুধু চায়, প্রকৃত সত্যটা সামনে আসুক

Advertisement

আম্বালাতে নায়িকার সঙ্গেই স্কুলে পড়তেন কানু গুপ্ত। তিনি ফেসবুকে পরিণীতিকে সরাসরি মিথ্যেবাদী বলেন। লেখেন, ‘স্কুলে ওর বাবার গাড়ি আমরা সকলেই চিনতাম। আর আর্থিক অবস্থার জন্য নয়, ওই সময় সাইকেল চালিয়ে স্কুলে আসাটাই একটা ফ্যাশন ছিল’। কানুর বক্তব্যকে সমর্থন জানিয়ে অন্যান্য সহপাঠীরাও মন্তব্য করতে থাকেন ওই পোস্টে। একজন আবার লিখেছেন, ‘আর্থিক সমস্যা থাকলে ও লন্ডনে পড়াশোনা করতে গেল কী করে’!

গোটা চাপানউতোর সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হতে সময় নেয়নি। পরিস্থিতি সামলাতে পরিণীতি টুইটারে একটি বিবৃতি প্রকাশ করেন। যেখানে তিনি লিখেছেন, ‘আমার কথার ভুল ব্যাখ্যা হচ্ছে। ভাইয়েরা বাসে করে স্কুলে যেত, আমি সাইকেলে যেতাম। বাবার গাড়ি থাকলেও সেটা আমরা স্কুলে আসার জন্য ব্যবহার করতাম না। বাবা অফিস যাওয়ার জন্য গাড়ি নিতেন। আমি সাইকেলে করে আসার সময় বাবাও পিছন পিছন আসতেন আমি ঠিক মতো পৌঁছচ্ছি কি না দেখতে। হঠাৎ করে দেখছি, আমাদের গাড়ি ছিল কি ছিল না, সেই নিয়েই আলোচনা হচ্ছে। খুবই অদ্ভুত! আমি কোনও মিথ্যে বলিনি’।

তবে এতেও রক্ষা হয়নি। কারণ পরিণীতি ওই ভিডিয়োতে স্পষ্ট বলেছিলেন যে, তাঁর বাবার কোনও গাড়ি ছিল না। অতএব বিবৃতি দেওয়ার পরেও তাঁর ‘ট্রোলিং’ থামছে না।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement
Advertisement