প্রতিদিন ফেসবুকে কত ছবি আপলোড হয় জানেন? প্রায় ৩৫ কোটি!
দাঁড়ান, হিসেবটা আর একটু সহজ করে দিই। প্রতি সেকেন্ডে ফেসবুকে আপলোড করা হয় ৪০৫০টা ছবি। ঠিকই পড়েছেন, প্রতি সেকেন্ডে!
ইন্সটাগ্রাম-স্ন্যাপচ্যাটের ক্ষেত্রেও সংখ্যাটা প্রায় ওই রকমই।
আর এই ছবির বেশির ভাগই যে মোবাইলে তোলা তা বলে দিতে আর বিশেষজ্ঞ হওয়ার দরকার নেই। বারাক ওবামা থেকে নরেন্দ্র মোদী, নোভাক জোকোভিচ থেকে বিরাট কোহলি— ইন্সটাগ্রাম ফলো করলেই দেখতে পাবেন নিজের মোবাইল ফোনে তোলা ব্যক্তিগত মূহূর্ত শেয়ার করতে সেকেন্ডও দেরি করছেন না এঁরা।
তা হলে আপনি কেন পিছিয়ে পড়বেন! আপনাদের জন্য থাকল কয়েকটা টিপস:
শুধু তোমাকেই চাই
যার ছবি তুলতে চান, তার মুখ যদি ঝাপসা হয়ে যায় তবে আর সে ছবির দরকারই বা কী! তার জন্য দরকার ছবির বিষয়বস্তুতে ফোকাস করা। ফোন যত স্মার্টই হোক না কেন, ফোকাস ঠিক না থাকলে ছবি ভাল উঠবে না। স্বাভাবিক ভাবে ফোন নিজে থেকেই ফোকাস ঠিক করে নেয়, কিন্তু ছবির যে অংশটায় (কারও মুখ বা কোনও বিল্ডিং) ফোকাস করতে চান, সেই জায়গায় দু’বার ট্যাপ করুন। এতে ফোকাস লকড হয়ে যাবে। ফোন নড়ে গেলেও ফোকাসটা আগের জায়গাতেই থাকবে। ছবি তুলতে গিয়ে যার ছবি তুলতে চাইছেন, তার মুখটা আর ঝাপসা হয়ে যাবে না।
অল্প আলোর জন্য
কম আলোতে মোবাইল ক্যামেরায় ছবি তোলা একটা সাঙ্ঘাতিক যন্ত্রণা। রাতের পার্টির ছবি তুললেন, সকালে দেখলেন একজনেরও ছবি ওঠেনি। সবই অন্ধকার। চিন্তা করবেন না। আপনার ফোনেই তার ব্যবস্থা আছে। ভাববেন না, শুধু দামি ডিএসএলআর-এই এক্সপোজার নিয়ন্ত্রণ করার ব্যবস্থা থাকে। ফোনের স্ক্রিনে একবার ট্যাপ করে আঙুলটাকে উপরে তুলুন। এতে এক্সপোজার বাড়বে, ফলে ক্যামেরার সেন্সরে বেশি আলো যাবে। রাতে অল্প আলোয় তোলা ছবিও ঝ কঝক করবে। আর বেশি আলোয় ছবি ঝাপসা হয়ে যাওয়ার ভয় থাকলে উল্টোটা করুন। ট্যাপ করে আঙুল নীচের দিকে নামান। এতে এক্সপোজার কমবে। ছবি ভাল উঠবে।
একদম না
যত দাম দিয়েই ফোন কিনুন না কেন, এতে কিন্তু কোনও অপটিকাল জুম নেই। শুধু মাত্র ডিজিটাল জুম। অর্থাৎ ছবি তোলার সময় জুম করা মানে ছবির কোয়ালিটি খারাপ হতে বাধ্য। যত জুম করবেন তত ছবির পিক্সেল কম হবে। তাই মোবাইলে ছবি তোলার সময় কক্ষনও জুম করবেন না। ক্রিকেট বা ফুটবল মাঠের ছবি তুললেও, জুম না করেই তুলুন। পরে দরকার মতো অংশটা কেটে (ক্রপ করে) নেবেন। এতে ছবি পিক্সেলেটেড হয়ে যাবে না।
জীবন চাইছে আরও বেশি
এমনটা নিশ্চয়ই অনেক বার হয়েছে। বিচে ছুটি কাটাতে গিয়েছেন। সূর্যাস্ত দেখে মোহিত হয়ে গেছেন। ছবিও তুলে রাখলেন বেশ কয়েকটা ফেসবুকে পোস্ট করবেন বলে। কিন্তু বাড়ি ফিরে দেখলেন ফোনের ছবির সঙ্গে মনের ছবি মিলছে না একেবারে। এই সব ক্ষেত্রে আপনার স্মৃতি ফোনে ধরে রাখার সেরা উপায় এইচডিআর (হাই ডায়নামিক রেঞ্জ) মোড। এতে বিভিন্ন এক্সপোজারে তিনটে ছবি তোলে, তার পর নিজে থেকেই তিনটে ছবির সেরা অংশগুলো নিয়ে সেরা ছবিটা তৈরি করে। একটু বেশি সময় লাগলেও ছবি উঠবে চমৎকার। বিশেষ করে সূর্যোদয়, সূর্যাস্ত বা আলোর উল্টো দিকে ছবি তুললে এই মোড ব্যবহার করুন। তবে মনে রাখবেন চলন্ত গাড়িতে বা যেখানে অনেক লোক সব সময় চলাফেরা করছে — এমন জায়গায় কক্ষনও এইচডিআর ব্যবহার করবেন না। আর কী! লেগে পড়ুন ছবি তুলতে। পুরনো কথাটা মনে রাখবেন, প্র্যাকটিসের কোনও বিকল্প নেই।