কবিতা আর একা নয়।সে হাত ধরেছে গল্প, সুর, ছবি, আলো, সিনেমার সঙ্গে। যে কথা বলা হয়নি, যে কবিতা লেখা হল না বারো বছরেও, সেই কবিতাই মঞ্চে বলবেন রাজা। সাত অধ্যায়ে কবিতাকে ছন্দে, সম্পর্কে, প্রতিবাদে, ভালবাসায় সাজিয়েছেন রাজা। কবিতার কথা বলতে গিয়ে ব্রত চক্রবর্তী আর কবীর চট্টোপাধ্যায়ের কবিতার কোলাজে বলেছেন নিজের কথা। ‘‘ কোনও হিট কবিতা পড়া নয়। যে কবিতার চরিত্র আমি হয়ে উঠতে পারি সেটাই আমার কবিতা। আমার বলার জায়গা’’ বলছেন রাজা। কবিতা পাঠের ইতিহাসকে ছুঁয়ে যাচ্ছেন তিনি মঞ্চে। নতুন প্রজন্মের সামনে ঝলসে উঠবেন শম্ভু মিত্র, প্রদীপ ঘোষ, পার্থ ঘোষ, গৌরী ঘোয, ঊর্মিমালা বসু, জগন্নাথ বসু, সতীনাথ মুখোপাধ্যায় থেকে ব্রততী বন্দ্যোপাধ্যায়। মঞ্চে ভেসে উঠবে তাঁদের কণ্ঠ, কবিতা। বেজে উঠবে রেডিয়োর সুর ভরা দিন। শিকড়ে ফিরবে ‘রাজার স্টুডিয়ো’। আর ঠিক তার পরেই আশা অডিও থেকে প্রকাশিত হবে কবিতার সিঙ্গলস্। হোয়াটস্অ্যাপ ফেসবুকের দেওয়ালের ভালবাসাবাসিও কবিতায় নিয়ে আসছেন রাজা। নীরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তী, সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়, শক্তি চট্টোপাধ্যায়, জয় গোস্বামীর কবিতা বুনে বন্ধুতা, বিচ্ছেদ আর ফেসবুক চ্যাটিং –এর গপ্পো তৈরি হবে।কিন্তু শুধু কাব্যে জীবন চলে না। কবিতার ভাষা দিয়ে প্রতিবাদের মঞ্চ তৈরি করবেন রাজা। আর এই যজ্ঞে রাজা একা নয়। জয় সরকারের সুরের মধ্যে তৈরি হবে কিংবদন্তির কথন। আশু-অভিষেকের ব্যাকগ্রাউন্ড স্কোরে মঞ্চ আর সিনেমা মিশবে কবিতায়। ২৪ মে কলামন্দিরে উত্তীয় জানার আলোয়, অতনু পালের স্থিরচিত্রে তৈরি হবে কবিতার এক অন্য ভুবন। নতুন বাতাস।