প্রকাশ কৌরের সমস্যা ছিল না ধর্মেন্দ্র ও হেমার সম্পর্ক নিয়ে। ছবি: সংগৃহীত।
প্রয়াত ধর্মেন্দ্র। বর্ষীয়ান তারকার অভিনয়জীবন নিয়ে আলোচনা হয়। তবে তাঁর ব্যক্তিগত জীবনও বার বার উঠে এসেছে চর্চায়।
১৯৫৪ সালে মাত্র ১৯ বছর বয়সে বিয়ে করেছিলেন ধর্মেন্দ্র। প্রথম স্ত্রী প্রকাশ কৌর। তখনও অভিনয়সফর শুরু হয়নি অভিনেতার। প্রথম স্ত্রীর সঙ্গে মোট চার সন্তান ধর্মেন্দ্রের। দুই পুত্র সানি দেওল ও ববি দেওল। দুই কন্যা বিজেতা ও অজিতা।
১৯৬০ সালে ধর্মেন্দ্রের অভিনয়জীবনের শুরু। তখন প্রথম সন্তানের অর্থাৎ সানি দেওলের বাবা হয়ে গিয়েছেন অভিনেতা। ১৯৭০ সাল থেকে হেমা মালিনীর সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা শুরু হয়েছিল ধর্মেন্দ্রের। ‘সীতা অউর গীতা’, ‘রাজা রানি’, ‘জুগনু’র মতো ছবিতে জুটি বেঁধেছিলেন তাঁরা। পর্দার রসায়ন বাস্তবেও প্রতিফলিত হতে শুরু হয়। ১৯৮০ সালে হেমা মালিনীকে বিয়ে করেছিলেন ধর্মেন্দ্র। তখনও প্রথম স্ত্রীর সঙ্গে আইনি মতে বিবাহিত ছিলেন অভিনেতা।
ধর্মেন্দ্রের দ্বিতীয় বিয়ে নিয়ে শুরু হয় বিতর্ক। শোনা গিয়েছিল, সেই সময়ে ধর্মেন্দ্র ও হেমা দু’জনই ধর্ম পরিবর্তন করেছিলেন। ভিন্ধর্মে বহুবিবাহের অনুমতি রয়েছে বলেই নাকি তাঁরা ধর্ম পরিবর্তন করেছিলেন। কারণ ‘হিন্দু ম্যারেজ অ্যাক্ট’ অনুযায়ী, আইনত একজন স্বামী বা স্ত্রীই থাকতে পারে। তবে এই জল্পনা কখনওই স্বীকার করেননি ধর্মেন্দ্র বা হেমা কেউই। তবে ধর্মেন্দ্রের দ্বিতীয় বিয়ে হয়ে গেলেও, আপত্তি ছিল না প্রথম স্ত্রীর। তিনিও বিচ্ছেদের পথে হাঁটেননি কখনওই। বরং নিজের স্বামীর হয়ে প্রকাশ্যে সওয়াল করেছিলেন।
এক সাক্ষাৎকারে প্রকাশ কৌর প্রশ্ন তুলেছিলেন, “কার এত বড় সাহস, আমার স্বামীকে রমণীমোহন বলছেন? এই ইন্ডাস্ট্রির অর্ধেক মানুষ তো তেমনই। সব নায়কই তো দ্বিতীয় বিয়ে করছেন। উনি সেরা স্বামী না-ই হতে পারেন। কিন্তু উনি আমার সঙ্গে যথেষ্ট ভাল ভাবেই থাকেন। তবে বাবা হিসাবে উনিই সেরা। ওঁর সন্তানেরা ওঁকে খুব ভালবাসে।”
হেমা মালিনীর সঙ্গে সম্পর্ক ও বিয়ে নিয়েও প্রকাশ কৌর বলেছিলেন, হেমা এতই সুন্দর যে কোনও মানুষ ওর প্রেমে পড়ে যাবে। এমনকি হেমাকে কটাক্ষ করা হলে, তাঁর প্রতিবাদও করেছিলেন প্রকাশ। তবে দাবি করেছিলেন, তিনি হেমার জায়গায় থাকলে কখনওই এমনটা করতেন না।