Rahul Raj on Pratyusha Banerjee

মদের নেশায় ডুবে থাকতেন প্রত্যুষা, কী এমন করতেন অভিনেত্রীর বাবা! প্রকাশ্যে আনলেন প্রেমিক রাহুল

আত্মহত্যার পথ বেছে নেন বছর ২৪-এর প্রত্যুষা। এ বার পাল্টা প্রত্যুষার বাবার দিকে অভিযোগের আঙুল তুললেন প্রেমিক রাহুল।

Advertisement

আনন্দবাজার ডট কম ডেস্ক

শেষ আপডেট: ২২ জুলাই ২০২৫ ২০:৪৯
Share:

প্রত্যুষার বাবাকে নিয়ে কী অভিযোগ রাহুলের? ছবি: সংগৃহীত।

হিন্দি টেলিভিশনের পরিচিত মুখ বাঙালি অভিনেত্রী প্রত্যুষা বন্দ্যোপাধ্যায়। ২০১৬ সালে ‘বালিকা বধূ’ ধারাবাহিক-খ্যাত অভিনেত্রীর মৃত্যুতে নড়ে বসে গোটা দেশ। অভিনেত্রীর মৃত্যুতে মূল অভিযুক্ত ছিলেন তাঁর একত্রবাসের সঙ্গী প্রেমিক রাহুল সিংহ। দীর্ঘ দিন ধরে চলতে থাকা এই মামলায় মুক্তির আবেদন করেন রাহুল। তবে সেই আবেদন খারিজ করে দেয় আদালত। অভিযোগ, প্রেমিকের হাতে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতনের শিকার হয়েছিলেন অভিনেত্রী। সেই কারণেই আত্মহত্যার পথ বেছে নেন বছর ২৪-এর প্রত্যুষা। এ বার পাল্টা প্রত্যুষার বাবার দিকে অভিযোগের আঙুল তুললেন রাহুল।

Advertisement

মেয়ের মৃত্যুর পর প্রেমিক রাহুল সিংহের বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩০৬ (আত্মহত্যায় প্ররোচনা), ৫০৪ (ইচ্ছাকৃত অপমান), ৫০৬ (অপরাধমূলক ভয় দেখানো) ও ৩২৩ (স্বেচ্ছায় আঘাত করা)-সহ একাধিক ধারায় মামলা করেন অভিনেত্রীর মা। প্রত্যুষার প্রেমিকের বিরুদ্ধে অভিযোগের আঙুল তোলেন তাঁর দুই বন্ধু কাম্য পঞ্জাবি ও বিকাশ গুপ্ত। মৃত্যুর আগে শেষ বার নাকি রাহুলকেই ফোন করেন প্রত্যুষা। এ বার অভিনেত্রীর মৃত্যু নিয়ে চাঞ্চল্যকর মন্তব্য করলেন রাহুল। তিনি জানান, মদের নেশায় আসক্ত ছিলেন প্রত্যুষা। এই মদের জোগান তাঁকে দিতেন তাঁর বাবা। প্রত্যুষাকে মানা করেন। প্রেমিকের কথা সায় দিয়ে মদ্যপান কমিয়ে দেন। কিন্তু একবার পেটে দু’পাত্র পড়লে হুঁশ থাকত না বাবা-মেয়ের। রাহুলের কথায়, ‘‘এতটা মদ না খেতে ওকে বার বার বারণ করতাম। কারণ ও যদিও এ ভাবে মদ্যপান করতে থাকে, তাহলে ওর সঙ্গদোষে আমিও শুরু করে দেব। এমনিতে ওদের পরিবার ভালই ছিল। কিন্তু মদ খেলে আর হুঁশ থাকত না বাবা-মেয়ের। পরিস্থিতি এমন হত যে হাতাহাতির জায়গা চলে যেত। ওর প্রথম ধারাবাহিক শেষ হওয়ার পর থেকেই বাবার সঙ্গে সম্পর্ক নষ্ট হতে থাকে প্রত্যুষার।’’ অভিনেত্রীর মৃত্যুর পর প্রত্যুষার বন্ধুবান্ধব থেকে সকলেই আঙুল তুলেছেন রাহুলের দিকে। যদিও সম্প্রতি রাহুল জানান, প্রত্যুষাকে বাঁচিয়ে রাখার তাঁর সব থেকে বেশি প্রয়োজন ছিল।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement