ধ্রুব রাঠীর মতোই ‘ধুরন্ধর’-এর সমালোচনায় রাধিকা! গ্রাফিক: আনন্দবাজার ডট কম।
‘ধুরন্ধর’ বক্সঅফিসে ঝড় তুলেছে। পাশাপাশি নানা বিতর্কও তৈরি হয়েছে এই ছবিকে ঘিরে। আদিত্য ধরের ছবির সমালোচনা করলেন এ বার রাধিকা আপটে। ছবিতে অতিরিক্ত হিংসা ও রক্তারক্তি দেখানো হয়েছে, দাবি করেছেন অভিনেত্রী। এই একই দাবি করেছিলেন নেটপ্রভাবী ধ্রুব রাঠী।
ছবিতে আজকাল খুব স্বাভাবিক ও সহজ ভাবেই নির্মম হিংসার দৃশ্য দেখানো হচ্ছে, দাবি রাধিকার। এই দৃশ্যগুলি দেখে অস্বস্তি হচ্ছে অভিনেত্রীর। ছবিতে এত সহজেই রক্তারক্তির দৃশ্য দেখানোর জন্য চিন্তিত রাধিকা। এই পরিবেশে নিজের সন্তানকে কী ভাবে বড় করবেন এবং কী ভাবে বিনোদনজগতের সঙ্গে পরিচয় করাবেন, তা নিয়ে উদ্বিগ্ন অভিনেত্রী।
এক অনুষ্ঠানে গিয়ে রাধিকা বলেছেন, “আমার খুব অস্বস্তি হয়েছে ছবিটা দেখে, বিষয়টা নিয়ে খোলাখুলি কথাও বলা উচিত। যে ভাবে হিংসা ও অতিরিক্ত রক্তারক্তি দিয়ে বিনোদন দেখানো হচ্ছে, তা দেখে সত্যিই চিন্তা হচ্ছে। যে বিশ্বে হিংসাকেই বিনোদন হিসাবে দেখানো হচ্ছে, সেখানে কোনও শিশুর জন্ম দিতে চাই না। এই হিংসা আমি নিতে পারছি না।”
হিংসার দৃশ্য তো প্রথম নয়, এর আগেও নানা ছবিতে হিংসা প্রদর্শন হয়েছে। পাল্টা যুক্তি ধেয়ে আসে রাধিকার দিকে। তখন তিনি বলেন, “এক ব্যক্তি অন্যদের ধরে কেটে ফেলে। এই গল্পটা দেখাতে গেলে মানুষ কাটার দৃশ্য দেখানোর দরকার নেই। গল্প এই ভাবে বলা হয় না। এমন আগে আমি কখনও দেখিনি। এই ধরনের হিংসার প্রভাব সমাজে অত্যন্ত গভীর।”
ছবির ঝলকমুক্তির পরে হিংসার দৃশ্য দেখে আদিত্য ধরকে কটাক্ষ করেছিলেন ধ্রুব রাঠীও। ক্ষোভ উগরে তিনি বলেছিলেন, “কতটা নীচে নামা যায় তা দেখিয়ে দিয়েছেন আদিত্য ধর। সমস্ত সীমা অতিক্রম করে গিয়েছেন তিনি। এত হিংসা, এত রক্ত, এত নৃশংসতায় ভরা একটা ঝলক দেখা আর আইসিস-এর জঙ্গিদের হত্যালীলা দেখা— দুটোই সমান। একে ‘বিনোদন’ বলা হচ্ছে। এত অর্থের লোভ, যে নতুন প্রজন্মের মনে বিষ ঢালছেন। অপ্রত্যাশিত অত্যাচারকে গৌরবান্বিত করছেন উনি।”