Rafiath Rashid Mithila- Tahsan khan

দু’বছর আলাদা ছিলেন, তাহসানের সঙ্গে বিবাহবিচ্ছেদ মানতে কষ্ট হচ্ছিল মিথিলার!

তাহসানের সঙ্গে বিচ্ছেদের সময় মিথিলার মেয়ের বয়স এক বছর। তাঁর বিয়েটা যে ভেঙে যাচ্ছে, সেটা মানতে অসুবিধে হচ্ছিল অভিনেত্রীর!

Advertisement

আনন্দবাজার ডট কম ডেস্ক

শেষ আপডেট: ০৪ জুলাই ২০২৫ ১৮:২৭
Share:

প্রথম স্বামী তাহসানের সঙ্গে বিচ্ছেদ প্রসঙ্গে কী বললেন মিথিলা? ছবি: সংগৃহীত।

নতুন বছরের শুরুতেই জীবনের নতুন অধ্যায় শুরু করেছেন বাংলাদেশের জনপ্রিয় সঙ্গীতশিল্পী ও অভিনেতা তাহসান খান। অভিনেত্রী রাফিয়াত রশিদ মিথিলার সঙ্গে দীর্ঘ ১১ বছরের দাম্পত্য ছিল তাহসানের। ২০১৭-য় তাঁদের বিয়ে ভাঙে। ২০১৯-এর ডিসেম্বরে এ পার বাংলার পরিচালক সৃজিত মুখোপাধ্যায়ের সঙ্গে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন মিথিলা। যদিও মেয়ে আয়রার অভিভাবকত্ব যৌথ ভাবেই পালন করছেন তাহসান-মিথিলা। আয়রা অবশ্য বেশির ভাগ সময় থাকে মায়ের সঙ্গে। তাহসানের সঙ্গে বিবাহবিচ্ছেদের যন্ত্রণার কথা খোলাখুলি জানালেন মিথিলা।

Advertisement

এমনিতেই তাহসান-মিথিলা জুটি বাংলাদেশের নাটকের মাধ্যমে অত্যন্ত জনপ্রিয়। সেই জুটির বাস্তব বিয়ে, সন্তান সবই হল। কিন্তু সম্পর্ক দীর্ঘস্থায়ী হল না। বিচ্ছেদের পর তাহসানকে নিয়ে মন্তব্য করা বন্ধ করে দেন তিনি। এ বার মিথিলা একটি পডকাস্টে নিজের প্রথম বিয়ে নিয়ে এবং সেই সম্পর্কের ভাঙন নিয়ে আলোচনা করেন। তাঁদের বিবাহবিচ্ছেদ হয় ২০১৭ সালে। কিন্তু তার আগে দু’বছর আলাদা ছিলেন। মিথিলা বলেন, ‘‘২০১৫ সালে আমরা আলাদা হই, তার পরে আরও দু’বছর কেটে যায়। আমি অপেক্ষা করেছি, ভেবেছি যে এটা ঠিক হয়ে যাবে। মানসিক ভাবে এটা মেনেই নিতে পারছিলাম না। ২০১৭ সালে এসে সিদ্ধান্ত নিতে পারলাম, মনে হয় এই সম্পর্কটা আসলে কাজ করবে না।’’

যখন তিনি তাহসানের থেকে আলাদা হন তখন মেয়ে বয়স মাত্র এক বছর। তাই দোলাচলে ছিলেন অভিনেত্রী। বিয়ের পর শ্বশুরবাড়িতেই থাকতেন। কিন্তু বিচ্ছেদের পর বোঝেন, মেয়েদের কোনও নিজের বাড়ি হয় না। মিথিলা বলেন, ‘‘তখন অনেক অল্পবয়সি, তরুণী মা। আমি যে কোনটা ভাল, কোনটা মন্দ— বিচার করা বা সিদ্ধান্তে আসার শক্তিই ছিল না। কারণ, তখন আমার একটা এক বছরের বাচ্চা। আমার মানসিক অবস্থা এতটাও ভাল ছিল না যে, আমি একটা সিদ্ধান্ত নিতে পারব নিজের জীবনের।’’ যদিও মিথিলা এই জায়গা থেকেই নারীদের অর্থনৈতিক স্বাধীনতার উপর জোর দিয়েছেন। তাঁর কথায়, ‘‘মেয়েদের নিজেদের আসলে জায়গা থাকে না। শ্বশুরবাড়ি, নয়তো বাবার বাড়ি। থ্যাঙ্কফুলি এখন আমার নিজের জায়গা আছে। মেয়েদের সবার আগে যেটা দরকার, সেটা হল অর্থনৈতিক স্বাধীনতা। এই অর্থনৈতিক স্বাধীনতা ছাড়া জীবনের অন্য সিদ্ধান্ত নেওয়া কঠিন।’’

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement