কী বললেন রাজ? ছবি: সংগৃহীত।
পরনে জাম রঙের শাড়ি। গলায় মানানসই হার, মাথায় ফুল— এই ভাবেই সে দিন সেজেছিল শুভলক্ষ্মী। আর আদৃতের পরনেও ছিল একরঙা পাঞ্জাবী। টালিগঞ্জের স্টুডিয়োয় এ দিন চূড়ান্ত ব্যস্ততা। ধারাবাহিকের সেটে এমনিই সারাক্ষণ তাড়াহুড়ো লেগে থাকে। সে দিন ছিল আরও একটু বাড়তি চাপ। কারণ, নিউ ইয়র্ক থেকে কলকাতায় এসেছে তারা। ‘গৃহপ্রবেশ’ ধারাবাহিকে গৃহে প্রবেশের বিশেষ পর্বের শুটিং। তবে দিনটা অন্যান্য দিনের মতো নয়। ফ্লোরের চারিদিক সাজানো হয়েছে ফুল। আলোর রোশনাইয়ে ঝলমলে চারিদিক। সেই ব্যস্ততার মাঝে হাজির আনন্দবাজার ডট কম। শটের ফাঁকে কিছুক্ষণের বিরতি। তখনই ফ্লোর থেকে বেরোলেন নায়ক এবং নায়িকা। ঊষসী রায় এবং সুস্মিত মুখোপাধ্যায়। তাঁদের কাছে এই দিনটা আরও বিশেষ। কারণ, এ দিন শুধু পরিবারের সদস্যেরা নয়, উপস্থিত টলিপাড়ার অনেক বিশেষ অতিথি। শুভশ্রী গঙ্গোপাধ্যায়, কাঞ্চন মল্লিক, অদিতি মুন্সী-সহ এসেছিলেন অনেকেই।
ঊষসী বললেন, “সেটে এসে মনে হচ্ছে, দুর্গাপুজো অনেক আগেই এসে পড়েছে। ভাল লাগছে। রোজই শুটিং হয়। কিন্তু অতিথিরা এলে ভাল তো লাগবেই।” এই ধারাবাহিকের প্রযোজক আবার শুভশ্রী এবং রাজ চক্রবর্তী। এ দিন ফ্লোরে উপস্থিত হয়েছিলেন রাজও। ‘অ্যাকশন’ বললেন পরিচালক। আর শট দিলেন নায়িকা। যদিও সেই প্রযোজক হিসাবে শুভশ্রীকেই এগিয়ে দিয়েছিলেন রাজ। বললেন, “ও রোজ রীতিমতো আমার থেকে হিসাব নেয়, কত খরচ হল।” সবটাই যে মজা, বুঝতে বাকি ছিল না কারও।
গরমে সিল্কের পাঞ্জাবী আর ধুতি পরে কিছুটা ক্লান্ত নায়ক সুস্মিত। বললেন, “খুব হুল্লোড় হচ্ছে। ক্লান্ত লাগলেও খুব মজা পাচ্ছি আজ শুটিং করে। গল্পে দেখানো হচ্ছে, আমরা দেশে ফিরেছি। আমার তো মনে হচ্ছে পুজোর কোনও পর্ব শুটিং করছি। মাঝে মাঝে এই ধরনের শুটিং স্বাদ বদলায়।” ততক্ষণে কাঞ্চন নিজের কাজ সেরে গন্তব্যের দিকে রওনা দিয়েছেন। কিন্তু এত কিছুর মাঝে শুভশ্রীকে সকলের প্রশ্ন, তিনি কি সত্যিই কড়া প্রযোজক? হাসতে হাসতে নায়িকা জবাব দিলেন, “হ্যাঁ, সবটা তো জানতেই হবে। তবে আমি কিন্তু এমন প্রযোজক, যেখানে খেয়াল রাখি সবাই নিজেদের সুবিধা পাচ্ছেন কিনা। কারও যাতে কোনও অসুবিধা না হয় সে কথা সব সময় আমার মাথায় থাকে।”