‘রণবীর আমার মুখে হাসি ফোটাতে পারে’

কেরিয়ার ও প্রেম, দুই জীবনেই শীর্ষ আসনে আলিয়া ভট্ট। তাঁর সামনে আনন্দ প্লাসরণবীর তো আমাকে সব সময়েই ভাল বলে। ‘কলঙ্ক’ নিয়ে রণবীরও খুব এক্সাইটেড।  

Advertisement

শ্রাবন্তী চক্রবর্তী

মুম্বই শেষ আপডেট: ১২ এপ্রিল ২০১৯ ০০:০০
Share:

আলিয়া ভট্ট।

প্র: ‘কলঙ্ক’-এ আপনার লুক নিয়ে তো অনেক চর্চা চলছে।

Advertisement

উ: এর কৃতিত্ব পরিচালক অভিষেক বর্মণ আর ডিজ়াইনার মণীশ মলহোত্রের। আমি ক্যামেরার সামনে অভিনয় করেছি মাত্র। এর আগে এত ভারী গয়না বা ড্রেস কোনও দিন পরিনি। মাথার উপরে এত ভারী ঘোমটা থাকত যে, ঘাড়ে ব্যথা করত। তবে ‘কলঙ্ক’ করে আমি কস্টিউম ড্রামার ফ্যান হয়ে গিয়েছি।

প্র: ছবির ট্রেলার দেখে আপনার পরিবার এবং রণবীর কপূরের কী প্রতিক্রিয়া?

Advertisement

উ: মা খুব একটা কিছু বলেননি। বাবাকে ট্রেলার পাঠিয়েছিলাম। জবাবে প্রশংসা করে একটা লম্বা মেসেজ পাঠিয়েছিলেন। রণবীর তো আমাকে সব সময়েই ভাল বলে। ‘কলঙ্ক’ নিয়ে রণবীরও খুব এক্সাইটেড।

প্র: মাধুরী দীক্ষিতের সঙ্গে নাচতে হবে না জেনে নাকি আশ্বস্ত হয়েছিলেন?

উ: ভাগ্যিস নাচতে হয়নি! আমি অভিষেককে বলেছিলাম, যেন আমাদের একফ্রেমে নাচতে না হয়। প্রার্থনা করছিলাম, শটের সময়ে যেন নার্ভাস না হয়ে যাই। মাধুরী ম্যামের সঙ্গে ডায়েট নিয়ে আলোচনা করতাম। আমরা দু’জনেই কিটো ডায়েট ফলো করছি এখন।

প্র: আপনার আর বরুণ ধওয়নের এটি চতুর্থ ছবি। আপনাদের বন্ডিং নিয়ে কিছু বলবেন?

উ: আমাদের মধ্যে পাস্ট লাইফ কানেকশন আছে। এটা আমি বরুণকেও বলি। আমাদের মধ্যে বোঝাপড়া খুব ভাল। দু’জনে মজা করতেও ভালবাসি।

প্র: রণবীর কপূরের সঙ্গে কাজ করার অভিজ্ঞতা কেমন?

উ: ওর সঙ্গে অনেক দিন ধরেই কাজ করতে চাইছিলাম। রণবীর এমন এক জন অভিনেতা, যার সামনে কেউ খারাপ অভিনয় করতে পারবে না। ছবিতে অমিতাভ বচ্চন, নাগার্জুনের মতো অভিনেতা রয়েছেন। এই ছবিতে কাজের অভিজ্ঞতা সারা জীবন মনে থাকবে। আমি, রণবীর, বচ্চন স্যর একসঙ্গে মুম্বইয়ে শুট করছিলাম। সেটা শুনে বাবা শুটিংয়ে আসতে চান। কিন্তু বচ্চন স্যর বাবাকে বারণ করেন। আসলে তখন আমরা সকলেই খুব টেন্‌স ছিলাম।

প্র: আপনার আর রণবীরের বিয়ের কথা শোনা যাচ্ছে। বিষয়টা একটু খোলসা করবেন।

উ: এই প্রশ্নের জবাব দিতে গিয়ে আমি ক্লান্ত হয়ে গিয়েছি। এই মুহূর্তে বিয়ের পরিকল্পনা নেই। যে দিন বিয়ের সিদ্ধান্ত নেব, সে দিন গেইটি-গ্যালাক্সি (মুম্বইয়ের জনপ্রিয় মুভি থিয়েটার), বান্দ্রা ব্যান্ড-স্ট্যান্ডে গিয়ে চিৎকার করে সবাইকে জানিয়ে দেব।

প্র: আপনাকে দেখে মনে হচ্ছে, এই সম্পর্কটা খুব উপভোগ করছেন...

উ: জীবনে প্রথম বার আমার রিলেশনশিপ নিয়ে কথা বলছি। কারণ এই সম্পর্কটা নিয়ে কোনও শো অফ করতে চাই না। এই মুহূর্তে ভালবাসা উপভোগ করছি। আমাদের ভালবাসার জায়গাটা খুব পবিত্র। আমাদের মধ্যে খুব ভাল বন্ধুত্ব গড়ে উঠেছে। এর জন্য রণবীরের কাছে আমি কৃতজ্ঞ। ও আমার চোখে একটা বিশেষ চমক আনতে পারে আর আমার মুখে হাসি ফোটাতে পারে। এর বেশি আর কী বলব (লজ্জা পেয়ে)!

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন