টিআরপি তালিকায় ফের প্রথম ‘করুণাময়ী রাণী রাসমণি’

পরিচালক রাজেন্দ্রপ্রসাদ দাস বললেন, “প্রধান ফ্যাক্টর একটা হতে পারে যে রামকৃষ্ণ এবং দক্ষিণেশ্বর মন্দির। সিরিয়ালটা যখন আড়াই বছর আগে শুরু হয়েছিল তখন থেকে মানুষ জানত, এই গল্পটা একটা সময় আসবে। এটাই একমাত্র কারণ বলছি না, তবে অন্যতম কারণ।”

Advertisement

মৌসুমী বিলকিস

কলকাতা শেষ আপডেট: ০৯ জানুয়ারি ২০২০ ১৭:৩৯
Share:

মন্দির প্রতিষ্ঠা করছেন রাসমণি, সঙ্গে গদাই।

চলতি সপ্তাহের টিআরপি তালিকায় ‘করুণাময়ী রাণী রাসমণি’ ধরে রাখলো প্রথম স্থান। কয়েক সপ্তাহ আগে সিরিয়ালটি প্রথম স্থান থেকে তালিকায় পিছিয়ে পড়েছিল। তবেগত কয়েক সপ্তাহ ধরে ধারাবাহিকভাবে সিরিয়ালটি প্রথম স্থানে থাকছে। এর কারণ কী?

Advertisement

পরিচালক রাজেন্দ্রপ্রসাদ দাস বললেন, “প্রধান ফ্যাক্টর একটা হতে পারে যে রামকৃষ্ণ এবং দক্ষিণেশ্বর মন্দির। সিরিয়ালটা যখন আড়াই বছর আগে শুরু হয়েছিল তখন থেকে মানুষ জানত, এই গল্পটা একটা সময় আসবে। এটাই একমাত্র কারণ বলছি না, তবে অন্যতম কারণ।”

ধারাবাহিকের আর এক পরিচালক রূপক দে বললেন, “টিআরপি ভাল থাকলে সবারই ভাল লাগে। কিন্তু আসল উদ্দেশ্য থাকে ভাল এপিসোড দেওয়া। আজকে ক্রমাগত সেটা ‘রাসমণি’ (১০.৮) দিতে পেরেছে বলে দ্বিতীয় ‘শ্রীময়ী’-র (৮.৭) থেকে সংখ্যার হিসেবে দুই-এর বেশি আছে। তৃতীয় স্থানে রয়েছে ‘কৃষ্ণকলী’। এই টিমটা চেষ্টা করে যাবে এক নম্বর পজিশন ধরে রাখতে।”

Advertisement

মন্দিরসজ্জায় ব্যস্ত গদাই

মাঝখানে টিআরপি তালিকায় প্রথম স্থান থেকে বিচ্যুত হয়েছিল ‘রাসমণি’। তার কারণ কী হতে পারে? রূপক বললেন, “প্রবলেম যেটা হয়েছিল... নতুন জেনারেশনের গল্প ছিল... নতুন যে গ্রুপ অব অ্যাক্টর-অ্যাক্ট্রেস কাজ করতে এসেছিল তাদের চরিত্রগুলোর ভেতর দিয়ে যাওয়াটা হয়তো সহজ ছিল না। আর মানুষেরও হয়তো মনে হয়েছিল তাঁরা যা চাইছেন তা পাচ্ছেন না। আমাদেরই ফেলিওর যে আমরা তাঁদের মনের মতো এপিসোড দিতে পারিনি। তবে চেষ্টা সব সময় ছিল।”

রাজেন্দ্রপ্রসাদ যোগ করলেন, “টিআরপি একটা ইম্পর্ট্যান্ট বিষয় ঠিকই, কিন্তু টিআরপি সব নয়। একটা জিনিস ভুললে চলবে না। সিরিয়ালটার বয়স আড়াই বছর। এই মুহূর্তে দাঁড়িয়ে খুব কম সিরিয়াল আছে যেটা এতদিন চলছে। ‘রাসমণি’-র ক্ষেত্রে শুধু টিআরপি-টা ফ্যাক্টর নয়। এই সিরিয়ালে একজন মানুষের জীবনী বলা হচ্ছে। সাধারণ সিরিয়ালে কী হয়... টিআরপি পড়ে গেলে ড্রামাটিক গল্প দিয়ে টিআরপি বুস্ট আপ করার চেষ্টা করা হয়। কিন্তু আমরা সেটা কখনওই করতে পারি না। আমাদের জীবনের প্রত্যেকটা মুহূর্তই কি নাটকীয়? তা নয়। রাসমণির জীবনও তাই। কিন্তু টিআরপি বিভিন্ন কারণে ডাউন হতে পারে... হয়তো কোনও খেলা চলছে, অথবা কোনও ঘটনা চলছিল যেটা ওই মুহূর্তে দাঁড়িয়ে দর্শকের কাছে ‘রাসমণি’-র থেকে ইম্পর্ট্যান্ট। সেটা তো হতেই পারে।”

আরও পড়ুন-তিন খানকে কোনওদিনই এক ছবিতে দেখা যাবে না কেন? জানালেন সলমন

ব্রাহ্মণদের বাধা কাটিয়ে দক্ষিণেশ্বর মন্দির প্রতিষ্ঠা করেছেন রানি রাসমণি। মন্দিরে গদাই (রামকৃষ্ণ) এবং তাঁর ভাগ্নে হৃদে এসেছে।গদাইকে রাখা হয়েছে মন্দিরসজ্জার জন্য। কিন্তু সে যেভাবে সজ্জা করে তা মন্দিরের অন্য পুরোহিতদের পছন্দ নয়।সেটা নিয়ে রামকুমার চিন্তিত। কারণ, তিনি একাধারে মন্দিরের প্রধান পুরোহিত এবং গদাইয়ের দাদা। কিন্তু মথুর ও রানি রাসমণির ভরসা আছে গদাইয়ের ওপর। মন্দিরের বাইরের সমস্যা মিটেছে আপাতত। কিন্তু এখন মন্দিরের ভেতরের সমস্যা মাথাচাড়া দিয়ে উঠছে। এই সমস্যা রানি কী ভাবে সামলাবে সেই গল্পই বুনছে ‘করুণাময়ী রাণী রাসমণি’।

রাসমণির চরিত্রে দিতিপ্রিয়া

ধারাবাহিকের ‘মথুর’ গৌরব চট্টোপাধ্যায় বললেন, “এক নম্বর হলে তো ভালই লাগে। এটা নিয়ে খুব বেশি কিছু মনে করার নেই। কারণ এক উইকে এক নম্বর, আবার পরের উইকে তিন নম্বর, চার নম্বর। এটা হতেই থাকে। মানুষ কী রকম রেসপন্স করে সেটাই আসল।”

‘রানি রাসমণি’ দিতিপ্রিয়া রায় শেয়ার করলেন, “এগোনো পিছোনো তো থাকবেই। ক্লাসে ফার্স্ট, সেকেন্ড, থার্ড পজিশন পরিবর্তিত হয়, রোটেট হয়। এগোনো পিছোনো পুরোটাই দর্শকের ওপর। কিন্তু আমরা আমাদের সেরাটা দেওয়ার চেষ্টা করি। অবভিয়াসলি প্রথম হয়ে ভাল তো লাগবেই।”

আরও পড়ুন-নয়া বিতর্কে ‘ছপাক’, টিমের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা দায়ের করলেন লক্ষ্মীর আইনজীবী

তাহলে প্রথম স্থানটিই আপাতত চলবে? খোলসা করে না বললেও গল্প নিয়ে দর্শকের আগ্রহের কথা বললেন দিতিপ্রিয়া, “দর্শকের অপেক্ষার অবসান হয়ে গিয়েছে। দক্ষিণেশ্বর মন্দিরকে কেন্দ্র করে আর কী কী হতে যাচ্ছে সেটা নিয়ে দর্শক খুব এক্সাইটেড।”

রামকৃষ্ণের ভূমিকায় সৌরভ সাহা অবশ্য এ ব্যাপারে নিজের কৃতিত্ব মানতে নারাজ। বললেন, “একটা সিরিয়াল কারও একার জন্য তো তালিকায় প্রথম হয় না। তাতে পুরো টিমের কৃতিত্ব থাকে। হ্যাঁ, এটা ঠিক যে রামকৃষ্ণদেবের গল্প হয়তো দর্শকের অন্যতম পছন্দের বিষয়।”

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন