ফারহা খান: আমি যদি কিছু বলি তা হলে সেটা ভীষণ বিতর্কিত হয়ে যাবে। তাই দূরে দূরে থাকছি। আমি শুধু বিশ্বাস করি ব্যক্তিগত জীবনে মানুষকে স্পেস দিতে। এখানেও বা ব্যতিক্রম হবে কেন?
১৪ এপ্রিল কলকাতায়। আবারও বেঙ্গালুরু রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স দলের সঙ্গে অনুষ্কা।
ভাইচুং ভূটিয়া: মিডিয়া এই ব্যাপারটা নিয়ে বড় বেশি বাড়াবাড়ি করছে। কখনও কখনও মিথ্যে লেখা হচ্ছে, যেটা খুব অন্যায়। ওরা দুজনেই হাইপ্রোফাইল। তাই মিডিয়া লিখবেই। বাড়াবাড়ি করে নেগেটিভও লিখবে। তা বলে মিথ্যে লিখবে কেন? আমার তো দেখে খুব ভাল লাগছে যে ওরা নিজেদের সম্পর্কটা গোপন করেনি। আমার মনে হয় সেটার প্রতি সম্মান জানিয়ে ওদের ব্যক্তিগত জীবন থেকে মিডিয়ার একটু সরে থাকা উচিত।
১৮ মে, বেঙ্গালুরুতে আইপিএল-এর কোড অফ কন্ডাক্ট ভেঙে অনুষ্কার সঙ্গে বিরাট। ছবি পিটিআই।
রাইমা সেন: মিডিয়া ওদের রোম্যান্সের মধ্যে বড় বেশি ঢুকে পড়ছে। হ্যাঁ, আমি একমত যে ওরা বড় সেলিব্রিটি। দু’জনেই ইউথ আইকন। তবু এটা তো ওদের ব্যক্তিগত জীবন। মিডিয়া সেখানে এত উঁকিঝুঁকি দেবে কেন? আমার মতে ড্রয়িং রুমেই ঢোকার চেষ্টা করা উচিত নয়। এরা তো দেখছি প্রায় বেডরুমে ঢুকে পড়তে চায়।
বিরাটের করা সেই টুইট। অনুষ্কাকে প্রথম প্রকাশ্যে ‘মাই লভ’ বলে সম্বোধন।
অর্চনা বিজয়া: বিশ্বকাপ সেমিফাইনালে বিরাট রান না পাওয়ার পর যে ভাবে অনুষ্কাকে আক্রমণ করা হয়েছিল সেটা খুব হাস্যকর। অবাঞ্ছিতও। এমন ভাবে প্রচার হচ্ছিল যেন অনুষ্কাও ব্যাট হাতে নেমেছিল কিন্তু রান করতে পারেনি। ওই চাপের মধ্যে বিরাট-অনুষ্কা যেমন দৃঢ় ভাবে দাঁড়িয়েছিল সেটা দেখে আমার খুব ভাল লেগেছে। ওরা ওদের প্রেমকে কলঙ্কিত হতে দেয়নি। প্রচণ্ড চাপের মুখে যা হামেশাই হয়ে থাকে।
সেলিম খান: প্রেম করা আর ঝগড়া করার মধ্যে কোনটা ভাল? আপনি কি কোনও দিন প্রেম করেছেন? কেমন লাগে যখন লোকে আপনার ব্যক্তিগত জীবনে নাক গলায়? যারা ঝগড়া করে তাদের চেয়ে যারা প্রেম করে তারা হাজার গুণে ভাল। তাই বিরাট-অনুষ্কাকে নিজেদের মতো থাকতে দিন। ওঁরা অল্পবয়েসি। প্রেমটাকে নিজদের মতো করে প্রকাশ করছে। সেটা নিয়ে এত লেখালেখি কীসের? ভালবাসাকে সম্মান জানান।