জনপ্রিয় দক্ষিণী নায়িকা সাই পল্লবী। সৌজন্য: ফেসবুক পেজ।
“আমি কী করব ওই ধরনের বিজ্ঞাপন থেকে টাকা রোজগার করে?” বললেন সাই পল্লবী।
বেশ কিছুদিন আগে তিনি দু-কোটি টাকার একটি ফেয়ারনেস ক্রিমের বিজ্ঞাপনের প্রস্তাব নাকচ করেছেন। সম্প্রতি একটি সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, “ওই ধরনের বিজ্ঞাপন করা মানে ভারতীয় নারীকে অপমান করা। যেটা আমি কখওনই করতে পারব না, এটাই ভারতীয়দের রং।”
একজন মানুষের চামড়ার রঙ কালো হতেই পারে, তাই বলে ফর্সা হবার ক্রিম ব্যবহার করার প্রয়োজন নেই, মনে করেন পল্লবী। আফ্রিকানদেরও চামড়ার নিজস্ব রঙ আছে। তাই তিনি এই বিজ্ঞাপনটিকে সমর্থন করেননি। টাকার অঙ্ক বড় হলেও তাঁর কাছে আত্মসম্মান সবার ওপরে।
তাঁর কথায়, “আমার চাহিদা কম, শুধুমাত্র টাকা উপার্জন করা আমার লক্ষ্য নয়। আমার চারপাশের মানুষ খুশি থাকুক সেটাই আমি চাই। আমি বাড়ি গিয়ে পরিবারের সঙ্গে একই টেবিলে খাব, এর থেকে বেশি কিছু আশা করি না”।
A post shared by Sai Pallavi (@saipallavi.senthamarai) on
কিছু বছর আগে বলিউড অভিনেত্রী কঙ্গনা রানাউতও এই ধরনের বিজ্ঞাপনে কাজ করতে প্রত্যাখ্যান করেন। পরিচালক এবং একই সঙ্গে অভিনেত্রী নন্দিতা দাস ‘ডার্ক ইজ বিউটিফুল’ একটি অভিযান করেছিলেন। তাঁর বক্তব্য ছিল, এই রকমের বিজ্ঞাপন দেখলে নারীরা নিজেদের প্রতি আত্মবিশ্বাস হারিয়ে ফেলে। আপনার মধ্যে যে খামতি রয়েছে তা বারবার চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দেয়। এই সব বিজ্ঞাপন আসলে ক্ষতিকারক, অনেক সময় এই ধরনের ফেয়ারনেস ক্রিম থেকে ক্যন্সারের মত মারণরোগ শরীরে বাসা বাঁধে। কিন্তু তার পরেও মানুষ নিজেদের সুন্দর দেখানোর ফাঁদে পা দেয়।
‘ফিদা’ ও ‘প্রেমাম’-এ দারুণ সাফল্যের পর তামিল অভিনেত্রী সাই পল্লবীর চর্চা এখন তুঙ্গে। মালয়ালম, তামিল এবং তেলুগু ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রিতেও জনপ্রিয়তা অর্জন করেছেন সাই পল্লবী। তিনি এখন পরবর্তী ছবি এন জি কে-এর মুক্তির অপেক্ষায় রয়েছেন।