ধর্মেন্দ্রের জন্মদিনে স্মরণে সলমন খান, ঈশা দেওল। ছবি: সংগৃহীত।
এক জন তাঁর কন্যা। অন্য জনকে তিনি ‘ছেলে’ বলে ডাকতেন। ঈশা দেওল আর সলমন খান তাঁর খুব কাছের। দু’জনেই আশা করেছিলেন, ধর্মেন্দ্র দেওল থাকবেন। ৯০তম জন্মদিন সবার সঙ্গে পালন করবেন। সোমবার, ৮ ডিসেম্বর তাঁকে ছাড়াই তাঁর জন্মদিন!
এমন দিনে দূর থেকে ‘বাবা’র কাছে আবদার জানাতে ভুললেন না ঈশা। ধর্মেন্দ্রের উদ্দেশে খোলা চিঠিতে লিখলেন, “বাবা, আমরা কিন্তু একসঙ্গেই থাকব।” একই ভাবে ‘বিগ বস্ ১৯’-এর সমাপ্তি অনুষ্ঠানে পুরনো ঝলক দেখতে দেখতে কেঁদে ফেললেন সলমন। সব প্রতিযোগীদের বললেন, “তোমরা তখন ‘বিগ বস্’-এর ঘরে। ধরমজি বিদায় নিলেন।”
ধর্মেন্দ্র-হেমা মালিনীর বড় মেয়ে ঈশা। অভিনেতা বাবা ব্যস্ততার মধ্যেও সময় দিতেন তাঁকে। আগলে রাখতেন। ছবি নির্বাচন বা জীবনের যে কোনও সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে তাই সব সময় বাবার সঙ্গে আলোচনা করে নিতেন তিনি। সে কথা এ দিন ঈশার বেশি করে মনে পড়েছে। তিনি লিখেছেন, “বাবার কাছে থাকার মত নিরাপদ আশ্রয় আর কিচ্ছু নয়। যত দিন তোমার কাছে থেকেছি, আমাদের জড়িয়ে থেকেছ। সেই বাঁধন কিন্তু আলগা হয়নি। আমরা আগামী দিনেও একই ভাবে ‘বেঁধে বেঁধে’ থাকব।”
সলমনের মনে পড়েছে, ‘বিগ বস্’ মানেই ধর্মেন্দ্রের উপস্থিতি। নিয়ম করে প্রত্যেক নতুন পর্বে আসতেন অভিনেতা। তিনি আসতেন কারণ, সলমনকে তিনি নিজের ‘বড় ছেলে’র মতো ভালবাসতেন। নিজের স্বভাবের অনেক কিছু ‘দবং’ অভিনেতার মধ্যে দেখতে পেতেন। শো-এ এসে সে কথা নিজের মুখে স্বীকার করেছিলেন অভিনেতা। ধর্মেন্দ্র বলেছিলেন, “সলমনের শো-এ আমি আসব না? আর কেউ আসুন না আসুন, আমি আসব।” ঝলকে ধর্মেন্দ্রের এই কথা শুনতে শুনতে কেঁদে ফেলেন সলমন। ‘বিগ বস্ ১৯’-এর সমাপ্তি অনুষ্ঠানের এই অংশের ঝলক ইতিমধ্যেই ভাইরাল। ঝলকে তখনও অসুস্থ ধর্মেন্দ্র বলছেন, “পরের বার আবার সলমন এই শো নিয়ে ফিরবে। আমিও আবার আসব ওর অনুষ্ঠানে। কথা দিয়ে গেলাম।” ভিডিয়ো দেখতে দেখতে চোখ ভিজেছে উপস্থিত সব প্রতিযোগীর।