ফের বিপাকে সলমন খান? ছবি: ফেসবুক।
তিনি কিছু করলেই সমস্যা! কখনও তাঁর কাঁধে কৃষ্ণসার হরিণ শিকারের দায়। সম্প্রতি তাঁর দিকে অভিযোগের আঙুল উঠেছে পানমশলার বিজ্ঞাপনে মুখ দেখানোর জন্য। সলমন খান এই প্রজন্মকে বিপথে ঠেলে দিচ্ছেন, অভিযোগে উঠে এসেছে এরকম বক্তব্য।
বিষয়টি নিয়ে অবশেষে মুখ খুলেছেন সলমন। তিনি সাফ বলেছেন, “কোনও রকম তামাকজাত দ্রব্যের বিজ্ঞাপনে মুখ দেখাইনি। যে বিজ্ঞাপনী ছবির জন্য এত বিতর্ক, আদতে সেটি তবক জড়ানো এলাচের বিজ্ঞাপন। কোনও ভাবেই পানমশলা বা তামাকজাত দ্রব্যের নয়।” তাঁর আরও দাবি, এই ধরনের এলাচজাত দ্রব্যের বিজ্ঞাপনে এখনও কোনও আইনি নিষেধাজ্ঞা নেই। সে সম্পর্কে বিস্তারিত জেনেই তিনি রাজি হয়েছিলেন।
একই কথা বলেছেন অভিনেতার আইনজীবী আশিস দুবে। তিনি আদালতকে জানিয়েছেন, তাঁর মক্কেল কোনও পানমশলা প্রস্তুতকারী সংস্থার বিজ্ঞাপনী মুখ নন। ফলে একজন ‘ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডর’-এর বিরুদ্ধে ‘উপভোক্তা স্বার্থবিরোধী’ অভিযোগ দায়ের করা আইনত অবৈধ। আইনজীবীর আরও মত, তিনি মামলাটিকে তাই সম্পূর্ণ অযৌক্তিক বলে মনে করছেন। তিনি বিস্মিত, অভিযোগকারী এমন এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে অভিযোগ এনেছেন, যিনি বছরের পর বছর সচেতন ভাবে তামাকজাত পদার্থের প্রচার থেকে দূরে থাকেন।
কোন বিজ্ঞাপনের কারণে সলমনের কাছে সাম্প্রতিক দায়ভার? খবর, রুপোলি তবক দেওয়া ‘মাউথ ফ্রেশনার’-এর বিজ্ঞাপনে মুখ দেখিয়েছেন ‘ভাইজান’। এর পরেই বিজেপি নেতা ইন্দর মোহন সিংহ হানি, সমাজকর্মী প্রদীপ ইন্সট্রাক্টর সিংহ হানি-সহ একাধিক আবেদনকারী অভিযোগ দায়ের করেন অভিনেতার বিরুদ্ধে। যুক্তি দেন, মাত্র পাঁচ টাকায় খাঁটি জাফরান বা রুপোর তবক দেওয়া সম্ভব নয়। আদতে তামাকজাত দ্রব্যের বিজ্ঞাপন করে তিনি তরুণ প্রজন্মকে ভুল বার্তা দিচ্ছেন। খবর, সলমন তাঁদের অভিযোগের জবাবে বিবৃতি দিলেও তাঁরা সন্তুষ্ট হননি। তাঁরা বিবৃতিতে অভিনেতার করা স্বাক্ষর নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করেছেন। বদলে সলমনকে আদালতে ডেকে পাঠানোর আবেদন জানিয়েছেন।