সোমি আলি। ছবি-সংগৃহীত।
সলমন খানের প্রাক্তন প্রেমিকা তথা অভিনেত্রী সোমি আলি সম্প্রতি ‘মিটু’ আন্দোলন নিয়ে মুখ খুললেন। বর্তমানে সোমি সমাজকর্মী। তিনি মহিলাদের অধিকার নিয়ে প্রায়ই সমাজমাধ্যমে কথা বলেন। পারিবারিক হিংসা ও মহিলাদের পাচারের বিরুদ্ধে সরব হন সমাজমাধ্যমে।
সোমি এক সাক্ষাৎকারে জানিয়েছেন, অন্যান্য দেশে ‘মিটু’ আন্দোলনের মাধ্যমে মহিলারা যতটুকু কথা বলার অধিকার পেয়েছেন, ভারতে সেটুকুও হয়নি। সেই ভাবে এ দেশে এই আন্দোলন ততটা মর্যাদা পায়নি। ভারতে প্রথম ‘মিটু’ আন্দোলনকে হাতিয়ার করে সরব হয়েছিলেন অভিনেত্রী তনুশ্রী দত্ত। এই সময়ে মডেল ডায়ান্ড্রা সোরস-ও সরব হয়েছিলেন। সমাজমাধ্যমে অনেকেই একে একে সরব হয়েছিলেন এই আন্দোলন নিয়ে।
কিন্তু যাঁরা এক সময়ে যৌন হেনস্থার শিকার হয়েছিলেন, তাঁদের দিকেই আঙুল তোলা শুরু হয় বলে দাবি করেছেন সোমি। কিন্তু আমেরিকা-সহ অন্যান্য দেশে চিত্রটা এমন নয়। সেখানে নির্দ্বিধায় কথা বলতে পেরেছেন নির্যাতিতারা। যদিও তাঁদেরও সুবিচার পেতে দীর্ঘ সময় লেগেছে।
সোমি বলছেন, ‘‘মডেল ডায়ান্ড্রা আমার ভাল বন্ধু। তনুশ্রীর পরে ও ‘মিটু’ আন্দোলনের সময়ে সরব হয়েছিল। আমেরিকার মতো দেশে এই ‘মিটু’ আন্দোলনের সময়ে জেফ্রি এপস্টিন ও বিল কসবির বিরুদ্ধে সরব হতে ১৮ বছর লেগে গিয়েছিল। তা হলে ভারত ও পাকিস্তানে সেটা কত সময় নেবে এবং সুবিচার পেতে কত সময় লাগবে, সেটা আন্দাজ করাই যায়।’’
সোমি আরও একটি ঘটনার উল্লেখ করে বলছেন, ‘‘ও জে সিম্পসন সম্প্রতি মারা গেলেন। সবাই জানে, তিনি তাঁর স্ত্রী ও স্ত্রীর প্রেমিককে হত্যা করেছিলেন। কিন্তু খুন করেও তিনি পার পেয়ে গেলেন। কেউ কথা বললেন না, কারণ তাঁরা ভয় পাচ্ছিলেন। কিন্তু কর্মফল ভোগ করতেই হয়। ‘হার্ড রক’ ক্যাফে থেকে একটি স্মারক চুরি করার জন্য তাঁর জেল হয়।’’ সর্বোপরি সোমি মনে করছেন, হেনস্থাকারীদের বিরুদ্ধে মুখ খোলার জন্য যথার্থ পরিসর প্রয়োজন।