Sohini-Sayantani

সোহিনীর বিয়ের পর ‘প্রাক্তন প্রেমিক’কে কটাক্ষ! সায়ন্তনীর ‘রুচিহীন’ মন্তব্যের জবাব রণজয়ের

সদ্যবিবাহিতা বন্ধু সোহিনী সরকারের ‘প্রাক্তন প্রেমিক’কে নিয়ে পোস্ট সায়ন্তনীর। পাল্টা জবাব এল রণজয়ের তরফে।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২৩ জুলাই ২০২৪ ১৭:১৮
Share:

সায়ন্তনীর করা পোস্টের পাল্টা জবাব রণজয়ের! গ্রাফিক: সনৎ সিংহ।

‘প্রাক্তন প্রেমিক’ থেকে সতর্ক থাকুন। সোহিনী সরকারের বিয়ের পরই এক নায়ককে বিঁধে লম্বা পোস্ট দেন সোহিনীর বন্ধু অভিনেত্রী সায়ন্তনী গুহঠাকুরতা। আনন্দবাজার অনলাইনের কাছে সায়ন্তনী বলেন, ‘‘সোহিনী সরকার আমার খুব ভাল বন্ধু। শোভন গঙ্গোপাধ্যায়ের সঙ্গে সবে সাত পাকে বাঁধা পড়েছেন। প্রাক্তন প্রেমিক অভিনেতা শুভেচ্ছা না জানাতেই পারেন। তা বলে সারা ক্ষণ নিজেকে মনখারাপের মোড়কে মুড়ে সহানুভূতি কুড়োনোর চেষ্টা করবেন!” এ ছাড়াও সমাজমাধ্যমে নাম না করে যে পোস্ট দিয়েছেন, তাতে পরিচালক রাজর্ষি দে-র সরস মন্তব্য, “নমো বিষ্ণু, নমো বিষ্ণু, নমো বিষ্ণু!” শোভনের সঙ্গে বিয়ের আগে একটা লম্বা সময় অভিনেতা রণজয় বিষ্ণুর সঙ্গে সম্পর্কে ছিলেন সোহিনী। এ কথা সকলেরই প্রায় জানা। যদিও ‘প্রাক্তন প্রেমিক’কে খোঁচা দেওয়া সায়ন্তনীর এই পোস্টে সমর্থন জানান সোহিনীও। এ বার এই প্রসঙ্গে কী উত্তর দিলেন রণজয়?

Advertisement

সায়ন্তনী তাঁর পোস্টে সিখেছিলেন, ‘‘প্রাক্তন প্রেমিকার বিয়ে হয়ে যাওয়ার পর সেটাকে নিয়ে পাবলিসিটি করতে খুব কম গুণী মানুষই পারেন… এঁরা হলেন তাঁরা, যাঁরা মৃতদেহের পাশে শুয়েও ইন্টারভিউ দিতে পারেন। কারণ, পাবলিক সিমপ্যাথি বাড়লে এঁদের ফলোয়ারও বাড়বে।’’

যদিও সায়ন্তনীর এই পোস্ট প্রসঙ্গে রণজয় বলেন, ‘‘শোভন-সোহিনী একসঙ্গে খুব ভাল আছে। আমি আমার জীবনে ভাল আছি। কিন্তু, এরা কারা? এ সব বলে জোর করে গুরুত্ব নেওয়া হয়ে যাচ্ছে না! অম্বানীদের যেমন অনেক টাকা, কী ভাবে খরচ করবেন, বুঝতে পারেন না, তেমনই কিছু মানুষেরও অনেকটা সময় থাকলে কী ভাবে খরচ করবে বুঝতে পারে না।’’

Advertisement

সায়ন্তনী তাঁর পোস্টে এ-ও লেখেন, সেই প্রেমিকের এই সমবেদনার মাধ্যমেই পরবর্তী প্রেমিকা বা ‘নতুন এটিএম কার্ড’ জোগাড় করতে সুবিধে হবে। অভিনেত্রী লেখেন, ‘‘আসলে সোনার ডিমপাড়া মুরগি চলে গেলে খারাপ তো সকলেরই লাগে! আমার মনে হয়, নতুন এটিএম কার্ড থেকে বোধ হয় এখনও টাকা তোলা যায়নি। মেয়েরা সতর্কও থাকুন এই সব কালজয়ী অভিনেতাদের থেকে, যাঁরা পর্দায় এবং বাস্তব জীবনে একসঙ্গে তাল মিলিয়ে অভিনয় করে যাচ্ছে। হায় রে নির্বোধ দর্শক!” রণজয় অবশ্য জানান, রুচিহীন মন্তব্যের মধ্যে নিজেকে জড়াতে চান না। তিনি শোভন-সোহিনীর ভাল চেয়েছেন, তার মধ্যে কেউ যদিও খারাপ কিছু খুঁজে পান, সেটা তাঁদের সমস্যা।

রণজয় বলেন, ‘‘একজন মানুষের মধ্যে যখন কোনও কিছু খারাপ খুঁজে পাওয়া যায় না, তখন জোর করে খারাপ বলে কেউ ভাল থাকলে থাকুন। আমাদের প্রতিবেশী দেশে গণতন্ত্রের বিরুদ্ধ মত প্রকাশ করতেই ছাত্রমৃত্যুর মতো ঘটনা ঘটছে, সারা বিশ্বে অস্থির পরিস্থিতি, সেখান থেকে বেরিয়ে এসে নিজেদের জীবন থেকে আমাকে নিয়ে কেউ এতটা গুরুত্ব দিচ্ছেন, তাঁদের প্রতি সম্মান দ্বিগুণ বেড়ে গেল।’’

শেষে রণজয়ের সংযোজন, ‘‘ যদি কেউ কাউকে নিয়ে কোনও মন্তব্য করেন কিংবা অভিযোগ আনেন, সেটা নিয়ে হাওয়ায় কথা না ভাসিয়ে সরাসরি কথা বলা উচিত।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement
Advertisement