Marilyn Monroe

মনরোর শৈশবে সর্পিল বাঁক, আরাম দেওয়ার বদলে ভয় দেখাল তাঁর বায়োপিক? ভেনিস প্রিমিয়ারে শোরগোল

বৃহস্পতিবার ভেনিসে ছবির প্রিমিয়ারে ‘ব্লন্ড’ দেখে একদল রীতিমতো মনঃকষ্টে ভুগছেন। তবে সকলেই প্রশংসা করলেন আনা দে আরমাসের ‘ক্ষিপ্র’ অভিনয়ের।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

লস অ্যাঞ্জেলেস শেষ আপডেট: ১০ সেপ্টেম্বর ২০২২ ১৩:০১
Share:

মেরিলিন মনরোর জীবনের মর্মান্তিক চিত্রায়ণ নিয়ে সমালোচকরা বিভিন্ন শিবিরে ভাগ হয়ে গিয়েছেন।

ভেনিসে প্রদর্শিত হল মেরিলিন মনরোর জীবননির্ভর ছবি ‘ব্লন্ড’। মনরোর ভূমিকায় কিউবার তারকা আনা দে আরমাস। ছবিতে হলিউড অভিনেত্রীর জীবনের মর্মান্তিক চিত্রায়ণ নিয়ে সমালোচকরা বিভিন্ন শিবিরে ভাগ হয়ে গিয়েছেন। কেউ বলছেন ভাল, কেউ খারাপ।

Advertisement

বৃহস্পতিবার ভেনিসে ছবির প্রিমিয়ারে ‘ব্লন্ড’ দেখে একদল রীতিমতো মনঃকষ্টে ভুগছেন। তবে সকলেই প্রশংসা করলেন আনা দে আরমাসের ‘ক্ষিপ্র’ অভিনয়ের। মনরোকে যথাযথ ফুটিয়েছেন তো বটেই, রেখে গিয়েছেন নিজের স্বাক্ষরও।

পঞ্চাশ থেকে ষাটের দশক। আমেরিকার স্পন্দন ছিলেন মনরো। অভিনয়ে, গানে, মডেলিংয়ে তাঁর উপস্থিতি মানুষের হৃদয়ে আবেগের পারদ চড়িয়ে দিত। কেবল ধ্রুপদী সৌন্দর্যের প্রতিমূর্তি নন, আবেদনময়ী মনরো ছিলেন যৌনতার প্রতীকও। সেই বৈগ্রহিক নারীর জীবনেও এত অন্ধকার? বড় পর্দায় যেন সে দিকে তাকানো যাচ্ছে না! তবু সে তো প্রদীপের নীচের আঁধারের মতোই বাস্তব। মনরোর শৈশব জুড়ে ট্রমা, যৌন হেনস্থার মিছিল, পাশাপাশি বাড়তে থাকা প্রত্যাশা, স্বপ্ন। সব মিলিয়ে গায়ে কাঁটা দেওয়া যাত্রাপথে প্রয়াত হলিউড অভিনেত্রীর জীবনের সঙ্গে সম্পৃক্ত হতে বাধ্য হন দর্শক। বাড়তে থাকে অস্বস্তিও।

Advertisement

নেটফ্লিক্স প্রযোজিত এ ছবি মুক্তি পেতেও অনেকখানি দেরি হয়েছে। তবে দেখা মাত্রই বোঝা গেল, এ বড় সহজ ফসল নয়।

জয়েস ক্যারল ওটসের লেখা আধা-কাল্পনিক বইয়ের উপর ভিত্তি করে চলচ্চিত্রটি নির্মিত। যা শৈল্পিক ভাবে বিকশিত হলেও নারীজীবনের নির্মম দিকগুলো বেআব্রু করে দেয়। তৎকালীন রাষ্ট্রপতি জন এফ কেনেডির মতো মানুষও চলে আসেন সেই প্রেক্ষাপটে।

অভিনেত্রী আরমাস ভেনিসে সাংবাদিকদের বলেছিলেন, “চিত্রগ্রহণের সময় মেরিলিনের উপস্থিতি অনুভব করতে পেরেছি। যে বাড়িগুলিতে সত্যিই বেড়ে উঠেছিলেন মনরো, মারা গিয়েছিলেন যেখানে, সেই সব বাড়িতেই শ্যুটিং হয়েছে। যেন স্বপ্ন দেখছিলাম। তাঁকে পাশে অনুভব করে কাজ করতে আরও ভাল লাগছিল।”

যদিও অনেক সমালোচকের মতে, এ ছবি অনেক ভাল কিছু বলতেও অহেতুক কার্পণ্য করেছে। কোনও কোনও আন্তর্জাতিক সংস্থা ‘ব্লন্ড’কে ‘অকারণ জটিল এবং বিড়ম্বনাময়’ বলেও মন্তব্য করেছে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন