দীপাবলিতে গর্জে উঠলেন শাহিদ-পত্নী মীরা। ছবি: সংগৃহীত।
দীপাবলিতে কলকাতা, দিল্লি, মুম্বই-সহ একাধিক শহরে শব্দবাজির দাপাদাপি। স্বাভাবিকভাবে বাতাসে দূষণের মাত্রাও বেড়েছে। এমনিতেই শব্দবাজির দাপটে প্রবীণদের অসুস্থ হয়ে পড়ার সম্ভাবনা থাকে। পশুপ্রেমীরা চিন্তায় থাকেন কুকুর-বিড়ালদের জন্য। যদিও শাহিদ কপূরের স্ত্রী মীরা কপূর চিন্তিত দিল্লির বায়ুদূষণ নিয়ে, পাশপাশি তাঁর উদ্বেগ শিশুদের নিয়েও।
দিল্লির মেয়ে মীরা। তাঁর পরিবার সেখানেই থাকে। এমনিতেই দিল্লির বায়ুদূষণ যে পর্যায়ে পৌঁছেছে, সেই নিয়ে উদ্বিগ্ন সকলেই। মঙ্গলবার রাতেও আদালতের নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করেই গভীর রাত পর্যন্ত চলেছে বাজি পোড়ানোর ধুম। ফলে বুধবার সকাল ৭টা নাগাদ দিল্লির বাতাসের গড় গুণমান সূচক (এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্স বা একিউআই) কেন্দ্রীয় দূষণ নিয়ন্ত্রক বোর্ড (সিপিসিবি)-র ওয়েবসাইটে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী ৩৪৫, যা ‘খুব খারাপ’ শ্রেণিতে পড়ে। তাতেই যেন উদ্বেগ বেড়েছে তারকা-পত্নীর। মীরা তোপ দেগেছেন, যাঁরা ফুলঝুরি জ্বালিয়ে ইনস্টাগ্রামে ছবি দিয়েছেন তাঁদেরও ধিক্কার জানিয়েছেন।
মীরা লেখেন, ‘‘কেন এখনও বাজি পোড়াচ্ছেন? আপনারা এখানে বাচ্চাদের খুশির দোহাই দেবেন না। কারণ এর আড়ালে বাজি পোড়ানোকে খুব স্বাভাবিক বিষয়ে পরিণত করে দেবেন না। এটা কোনও রীতিও নয় কিন্তু। আপনাদের শিক্ষা, পয়সা সব থাকতেও আপনাদের ন্যূনতম বুদ্ধি নেই, দেখেও খারাপ লাগে।’’ সর্বত্র দিল্লির বাতাসের গুণমান সূচকের যে মান দেখা যাচ্ছে, তা দেখে উদ্বিগ্ন হয়ে মীরা লেখেন, ‘‘দয়া করে বাচ্চাগুলোক নিঃশ্বাস নিতে দিন।’’ পাশাপাশি মীরা এও জানান, তিনি তাঁর সন্তানদের কখনও এমন পরিবেশে বের করবেন না।