কত কেজি ওজন ঝরালেন শঙ্কর? ছবি: সংগৃহীত।
বাঙালির কাছে আজও বাবা-কাকা হিসাবে পরিচিত। বাংলা ধারাবাহিকে অভিনয় করেন এ সব চরিত্রেই। কিন্তু বাঙালির মনে এখনও ধূসর হয়ে যাননি ‘গনশা’। আশির দশকের শেষ দিকে ‘বিবাহ অভিযান’ ধারাবাহিকই তাঁকে দিয়েছিল জনপ্রিয়তা। তিনি শঙ্কর চক্রর্তী। প্রায় তিন দশক পরে তিনি বদলে গিয়েছেন অনেকখানি। জীবনের টানাপড়েন ছাপ ফেলেছে শরীরে। গত কয়েক বছরে ওজন বেড়েছিল অনেকখানি। এ বার নিজের দিকে নজর দিচ্ছেন অভিনেতা। ফিরতে চাইছেন সুস্থতার দিকে।
তাঁর বাবা খুবই স্বাস্থ্যসচেতন ছিলেন। বাবাকে দেখে তিনিও এক সময় চেহারা, ওজন নিয়ে সতর্ক থাকতেন। কিন্তু ২০০৯ –এর পরে নিজের স্বাস্থ্য, চেহারা ধরে রাখার আগ্রহ হারিয়েছিলেন অভিনেতা শঙ্কর চক্রবর্তী। ১৬ বছর আগেই তাঁকে ছোট পর্দায় নায়ক হিসাবে দেখেছিলেন দর্শক। তার পর বেশির ভাগ সময়েই বাবা, কাকার চরিত্রে দেখা গিয়েছে তাঁকে। সেই থেকে নিজের মধ্যে অনীহা তৈরি হয়েছিল তাঁর। তখন থেকেই নিজের চেহারা, স্বাস্থ্যের উপর আর নজর দেওয়ার ইচ্ছা হারিয়েছিলেন শঙ্কর।
কয়েক মাস আগে প্রায় ৯৬ কেজি ওজন হয়ে গিয়েছিল তাঁর। তবে গত ছ’মাসের অধ্যাবসায়ে তিনি এখন ভিতর থেকে ঝরঝরে। আরও সতেজ অনুভব করছেন। কড়া নিয়ম মেনে গত ছ’মাসে ২১ কেজি ওজন কমিয়েছেন শঙ্কর। কী কী খাওয়া বাদ গেল তাঁর ডায়েট থেকে?
আনন্দবাজার ডট কমকে অভিনেতা বললেন, “মাঝে মনে হয়েছিল বাবা-কাকার চরিত্রেই তো অভিনয় করব। আর স্বাস্থ্যসচেতন হয়ে কী লাভ হবে। তবে এখন আর তা ভাবি না। মিষ্টি আর মদ্যপান দুটো একেবারে বন্ধ। যদিও আমি যে খুব মদ্যপানে আসক্ত ছিলাম তা নয়। তবে এখন একেবারে বন্ধ। আর ঘড়ি ধরে খাওয়াদাওয়া করছি।” টক দই, শসা, মাপা ৫০ গ্রাম চালের ভাত, সব্জি, নির্দিষ্ট ওজনের মাছ, আর ঘুম থেকে উঠে পুষ্টিবিদের দেওয়া সাপ্লিমেন্ট— আপাতত এই হল অভিনেতার রোজের খাওয়াদাওয়া। শুটিং থাকলে নিয়ম মেনে খাওয়াদাওয়ার একটু অসুবিধা। কিন্তু শটের ফাঁকে ঠিক হয়ে যায়। কিন্তু মঞ্চে অভিনয়ের সময় সন্ধ্যা সাড়ে সাতটায় তাঁর রাতের খাবারের সময়টা এ দিক ও দিক হয়ে যায়। অভিনেতা বললেন, “ভিতর থেকে নিজেকে সতেজ লাগছে। রক্তপরীক্ষার সব রিপোর্ট ঠিক এসেছে। ভাল লাগছে।” শুধু ডায়েট নয়, সঙ্গে হাঁটা এবং যোগাভ্যাসও ওজন কমাতে সাহায্য করেছে তাঁকে।