সুপ্রিয়াদেবী। ইনসেটে শর্মিলা ঠাকুর।
খবরটা জানতামই না!
শোনার পর এক লহমায় মনে হল, বেণুদি কেন চলে যাবেন? কতই বা বয়স? ভাবতে চেষ্টা করলাম কত বড় আমার থেকে?
হ্যাঁ, ভাবতে হল। আসলে এত মজাদার, হুল্লোড়ে ওঁকে দেখেছি মনেই হতো না আমার থেকে বড়!
উত্তমবাবু যখন মুম্বইতে তখন বেণুদিও সঙ্গে। সেই সময় কাছ থেকে ওঁকে দেখেছি। মনের মধ্যে কাছে টানার একটা মায়া ছিল। তখন প্রচুর আড্ডা হতো আমাদের। বেশ অনেকক্ষণের আড্ডা! রান্না নিয়ে তো প্রচুর কিছু বলতেন। ওঁর রান্নার বইটা আমার খুব প্রিয়। খুব যত্ন করে রেখেছি বইটা আমার কাছে।
‘কলঙ্কিনী কঙ্কাবতী’-র সময় কাজ করতে গিয়ে ওঁকে যেন আরও চিনেছিলাম। শুধু নিজের অভিনয় বা কাজ নিয়ে উনি মশগুল থাকতেন না। সংসার ধরে রাখা, বিশেষ করে উত্তমবাবুকে যত্ন করা, নিজে রান্না করে খাওয়ানো, এই বিষয়গুলোতে উনি খুবই সক্রিয় থাকতেন। এগুলো উনি খুব উপভোগও করতেন।
আরও পড়ুন, ‘আন্টি দিদুর কাছে দাদুর গল্প সে ভাবে শোনা হয়নি’
অন্যের ভাল চাইতে পারতেন বেণুদি। আমার মনে আছে, আমার বেশ কিছু সোনার গয়না উনি নিজে পছন্দ করে গড়িয়ে দিয়েছিলেন। কী যে চমৎকার হয়েছিল! ওই যে বললাম, একটা দিদির মতো মায়া ছিল ওর মধ্যে!
উনি শান্তিতে থাকুন। মনটা খারাপ হয়ে গেল আজ!
আরও পড়ুন, ‘রান্না নয়, সংসার করতে শিখিয়েছিলেন বেণুদি’
আশা করি সোমা সব সামলে নেবে।
সোমার জন্য ভালবাসা।