Shweta Basu Prasad

‘কেন সাদা জামা পরেন সব সময়?’ গুলজ়ারের কাছে জানতে চেয়েছিলেন ছোট্ট শ্বেতা

২০২২ সালের নভেম্বর মাস। মুক্তি পেয়েছিল বিশাল ভরদ্বাজ পরিচালিত ‘মকড়ি’। থ্রিলারধর্মী সেই ছবিতে দ্বৈত চরিত্রে অভিনয় করেছিলেন শ্বেতা। জমিয়ে দিয়েছিলেন যথারীতি। যদিও সিনেমার কিছুই বুঝতেন না তখনও।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

মুম্বই শেষ আপডেট: ০১ ডিসেম্বর ২০২২ ১১:৪৪
Share:

আনাড়ি অবস্থায় ছবি করার চুক্তিতে ঢুকে পড়েছিলেন শ্বেতা, চিনতেনও না কোনও তারকাকে। ফাইল চিত্র

গত দু’দশক ধরে তিনি বিনোদনের জগতে আছেন, তবু ক’জন শ্বেতা বসু প্রসাদের নাম শুনেছেন, সন্দেহ! তাঁর প্রথম ছবি ‘মকড়ি’ ২০ বছরে পা দিল। অভিনেত্রীর নিজেরই বয়স এখন ৩১। শিশুশিল্পী হিসাবে পর্দায় কাজ শুরু করেছিলেন তিনি। পরে জনপ্রিয় চরিত্র হিসাবে আত্মপ্রকাশ করেন। ‘তাশকেন্ত ফাইলস্‌’ এবং ‘সিরিয়াস মেন’-এর মতো ছবিতে নজর কেড়েছিলেন অভিনেত্রী। ইন্ডাস্ট্রিতে এত বছর কাটিয়ে ফেলার পর বহু স্মৃতি পিছনে ফেলে এসেছেন তিনি। এক সাক্ষাৎকারে ভাগ করে নিলেন ছবির সঙ্গে জড়িত সেই সব নেপথ্যকাহিনি।

Advertisement

২০২২ সালের নভেম্বর মাস। মুক্তি পেয়েছিল বিশাল ভরদ্বাজ পরিচালিত ‘মকড়ি’। থ্রিলারধর্মী সেই ছবিতে দ্বৈত চরিত্রে অভিনয় করেছিলেন শ্বেতা। চুন্নি আর মুন্নি দুই যমজ বোন— শ্বেতাই দু’টি চরিত্রে জমিয়ে দিয়েছিলেন। জাতীয় পুরস্কারও জিতেছিলেন সেই অভিনয়ের সুবাদে। তবে শ্বেতার দাবি, তিনি তখন কিছুই বুঝতেন না। আনাড়ি অবস্থায় ছবি করার চুক্তিতে ঢুকে পড়েছিলেন। চিনতেনও না কোনও তারকাকে।

সেটের প্রথম অভিজ্ঞতার কথা আজও মনে আছে তাঁর। শ্বেতার কথায়,‘‘সে বার শাবানা আজমির সঙ্গে দেখা। আমি তখনও খুব বেশি ছবি দেখিনি তাঁর। মায়ের জোরাজুরিতে শুধু ‘মাসুম’ দেখেছিলাম। গুলজার কে, আমি জানতামই না! বিশালজিকেও চিনতাম না। কিন্তু আমার মনে পড়ে, সেটে যথেষ্ট খাতির করা হত আমায়, ওই বয়স থেকেই। সবাই খুব ভালবাসতেন।’’ শ্বেতা বলে চলেন, “ওল্ড গোয়ায় শুটিং হচ্ছিল। আমাদের রিসর্টে যে সুইমিং পুলটা ছিল, সেটা সন্ধ্যা ৭টায় বন্ধ হয়ে যেত। আমি জানতামই না কী ভাবে সাঁতার কাটতে হয়। এ দিকে পুলে নামার শখ ছিল ষোলো আনা। এক দিন বিশালজিকে গিয়ে বললাম, ‘শুট শেষ হতে সন্ধ্যা হয়ে যাচ্ছে, আমি পুলে নামার সময় পাচ্ছি না’, শোনা মাত্রই সে দিন ৩টে থেকে ৪টের মধ্যে আমার শুটিং শেষ করে দিয়েছিলেন তিনি, যাতে আমি খুশি হই। পুলে নেমে গিয়ে আমিও ১০ মিনিটের জন্য জল ছেটাই। জীবনের অন্যতম সেরা স্মৃতি হয়ে থাকবে এটাই।”

Advertisement

আর এক বার গুলজারকেও নাকি চমকপ্রদ প্রশ্ন করে বসেছিলেন ছোট্ট শ্বেতা। সেটে গুলজ়ারকে বলেছিলেন, “কেন সব সময় সাদা পোশাক পরেন আপনি?” গুলজ়ার খুব একচোট হেসে উত্তর দিয়েছিলেন, “এক দিন তোমার জন্য রংচঙে শার্ট পরে আসব। কেমন?” তবে শ্বেতার কথায়, “সেই দিন আজও আসেনি। আর আমি খুশিই তাতে, না হলে ওঁর অনুরাগীরা আমায় মেরে ফেলতেন।”

নাগেশ কুঙ্কুরের ‘ইকবাল’ (২০০৫) ছবিতে আর এক গুরুত্বপূর্ণ শিশু চরিত্রে অভিনয় করেছিলেন শ্বেতা। বহু হিন্দি এবং তেলুগু টেলিভিশন ধারাবাহিকেও সহ-অভিনেত্রী হিসাবে দেখা গিয়েছে তাঁকে। সম্প্রতি মধুর ভান্ডারকরের ছবি ‘ইন্ডিয়া লকডাউন’-এ অতিমারি-ক্লিষ্ট যৌনকর্মীর ভূমিকায় অভিনয় আত্মপ্রকাশ করতে চলেছেন শ্বেতা। ২ ডিসেম্বর জি ফাইভে মুক্তি পাচ্ছে ছবিটি।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন