Durnibar

দুর্নিবারের বিয়েতে মেনু কী? প্রথম জানালেন আনন্দবাজার ডিজিটালকে

বিশেষ দিনটার ঠিক ১ মাস আগে আনন্দবাজার ডিজিটালের কাছে সব প্ল্যান ফাঁস করলেন হবু বর-কনে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ২১ জানুয়ারি ২০২১ ১২:১৮
Share:

দুর্নিবার-মীনাক্ষী

টেলভিশনের পর্দায় প্রথম দেখা। এর পর হঠাতই একদিন সোশ্যাল মিডিয়ায় আলাপ। আলাপ থেকে বন্ধুত্ব। বন্ধুত্ব থেকে ভালবাসা। এ ভাবেই প্রেম শুরু হয় দুর্নিবার সাহা এবং মীনাক্ষী মুখোপাধ্যায়ের।

Advertisement

২০১৫ সালে ‘সা রে গা মা পা’-র মঞ্চে মীনাক্ষী প্রথম দেখেছিলেন দুর্নিবারকে। তখন যদিও জানতেন না তিনি কে। বাড়ির সদস্যদের পছন্দের গায়ককে তারপর খুঁজে বের করেছিলেন সোশ্যাল মিডিয়ায়। বাকিটা রূপকথা।

সম্পর্কের ২ বছরের মাথায় অর্থাৎ ২০১৭ সালে খাতায়-কলমে স্বামী-স্ত্রী হয়ে গিয়েছিলেন তাঁরা। এ বার পালা ঘটা করে সাত পাক ঘোরার। আগামী ২১ ফেব্রুয়ারি সামাজিক বিয়ে করছেন তাঁরা। বিশেষ দিনটার ঠিক ১ মাস আগে আনন্দবাজার ডিজিটালের কাছে সব প্ল্যান ফাঁস করলেন বর-কনে।

Advertisement

তাঁদের প্রেম যেন রূপকথার গল্প।

মীনাক্ষী জানালেন, তিনদিন ধরে চলবে বিয়ের অনুষ্ঠান। ২০ ফেব্রুয়ারি হবে মেহেন্দি এবং সঙ্গীত। তারপর দিন এক্কেবারে সাবেকি বাঙালি নিয়মে বিয়ে। ঠিক একদিন পর অর্থাৎ ২৩ তারিখ হবে বৌভাত।

বিয়ের জন্য এক্কেবারে সাবেকি লাল বেনারসি আর ধুতি পাঞ্জাবি বেছে নিলেও, সঙ্গীতের জন্য একটু অন্য রকম সাজে সেজে উঠবেন বর-কনে। হবু কনেকে দেখা যাবে লম্বা ঝুলের গাউনে আর দুর্নিবার তাক লাগাবেন শেরওয়ানি আর বন্ধ গলায়। সেই দিনটাকে কাছের বন্ধুদের সঙ্গে আনন্দ করার জন্য তুলে রেখেছেন তাঁরা।

হাসি-আড্ডা-মজা তো থাকবেই কিন্তু মিউজিক্যাল জুটির সঙ্গীত কি মিউজিক ছাড়া চলে?

দুর্নিবারের কথায়, “আমরা সব সময় গান-বাজনার মধ্যেই থাকি। সে দিন আমাদের অনেক বন্ধুরা পারফর্ম করবে। আমি আর মীনাক্ষীও গান করব।”

বিয়ে এবং রিসেপসনের জন্য নিউ টাউনের ‘স্বপ্নভোর’কে বেছে নিয়েছেন তাঁরা। অনুষ্ঠানের থিমের সঙ্গে মেনুও হচ্ছে বর-কনের পছন্দকে মাথায় রেখে। বিয়ের দিন অতিথি আপ্যায়ন হবে মাটন কষা এবং চিংড়ি মাছের মালাইকারিতে। বৌভাতও হবে রাজকীয় মোঘলাই মেজাজে। বিরিয়ানি, কাবাব আর ফিরনিতে হবে রসনাতৃপ্তি।

এত আনন্দ আয়োজনের মাঝে করোনা অতিমারির কথা ভুলে যাননি দুর্নিবার-মীনাক্ষী। তাঁদের কথায়, “সেফটি কামস ফার্স্ট।” তাই খুব অল্প সংখ্যক অতিথিদের নিয়েই সারবেন বিয়ের অনুষ্ঠান। শুভ দিনগুলিতে উপস্থিত থাকবেন তাঁদের কাছে আত্মীয় এবং বন্ধুবান্ধবরা।

এই তো গেল অনুষ্ঠানের পালা। আর হানিমুন? সেটা কোথায় হতে চলেছে?

দু’জনেইএক সুরে বললেন, “আমাদের আলাদা করে হানিমুন বলে কিছু নেই। ইচ্ছা হল ইউরোপ যাওয়ার। এই পরিস্থিতে হবে কি না জানিনা। যে দিকে দু’চোখ যাবে ব্যাগ গুছিয়ে রওনা দেব।”

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন