শুভশ্রী গঙ্গোপাধ্যায়ের ঠোঁটে জয়তী চক্রবর্তীর গান। ছবি: সংগৃহীত।
সৃজিত মুখোপাধ্যায় বা ইন্দ্রদীপ দাশগুপ্ত তাঁর কাছে নতুন নন। নতুন নয় কীর্তনাঙ্গের গান গাওয়াও। নতুন, এই প্রথম বাংলা ছবিতে জয়তী চক্রবর্তীর কণ্ঠে ১০টি গান! এর ফলে ছাত্রীর গাওয়া গান শ্রোতারা এ বার শুনতে পাবেন তাঁর শিক্ষিকার কণ্ঠে।
সোমবার প্রকাশ্যে এসেছে সৃজিত মুখোপাধ্যায়ের আগামী ছবি ‘লহ গৌরাঙ্গের নাম রে’-র প্রথম গান। নটী বিনোদিনীরূপী শুভশ্রী গঙ্গোপাধ্যায়ের ঠোঁটে শোনা গিয়েছে জয়তীর কণ্ঠ। গায়িকা আনন্দবাজার ডট কম-কে জানিয়েছেন, ইন্দ্রদীপ দাশগুপ্তের সুরে ‘দ্যাখো দ্যাখো কানাইয়ে’ কীতর্নাঙ্গের গানটি ইতিমধ্যেই অনেকে শুনেছেন। প্রশংসাও করেছেন।
কিন্তু জয়তী মানেই যে রবীন্দ্রসঙ্গীত! অন্তত তাঁর অনুরাগী শ্রোতারা তেমনই মনে করেন।
‘দ্যাখো দ্যাখো কানাইয়ে’ গানের দৃশ্যে শুভশ্রী গঙ্গোপাধ্যায়। ছবি: সংগৃহীত।
গায়িকার জবাব, “আমার গানজীবন আধুনিক গান দিয়ে শুরু হয়েছে। ইন্দ্রদীপদার সুরে এর আগেও আধুনিক গান গেয়েছি। হ্যাঁ, এটা ঠিক, শ্রোতা আমার কণ্ঠে রবীন্দ্রসঙ্গীত বেশি পছন্দ করেন। তার মানে এটা নয়, আমি অন্য গান গাই না।” জয়তী আরও জানিয়েছেন, সঙ্গীত তাঁর পড়াশোনার একটি বিষয় ছিল। সেই সময়ে তাঁকে সব ধরনের গান শিখতে হয়েছে। পরীক্ষায় শোনাতেও হয়েছে। তাই সব ধরনের গান গাইতে তিনি অভ্যস্ত। পাশাপাশি, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর বা কাজী নজরুল ইসলামের কীর্তনাঙ্গের গানও তিনি গেয়েছেন। আধুনিক গানের সুরকারের সুর দেওয়া কীর্তনাঙ্গের গান এই প্রথম।
জয়তী আরও একটি কারণে উত্তেজিত। এই প্রথম কোনও ছবিতে তিনি মোট ১০টি গান গাইলেন! “১০টি গানের পাঁচটি পূর্ণাঙ্গ গান। পাঁচটি সংলাপধর্মী। প্রত্যেকটি গান যাতে সঠিক ভাবে পরিবেশন করতে পারি, তার জন্য যথেষ্ট পরিশ্রম করতে হয়েছে। কারণ, গানগুলি ঐতিহাসিক দিক থেকে ভীষণ সমৃদ্ধ।” যেমন, নটী বিনোদিনীর কণ্ঠের ‘হরি মন মজায়ে লুকালি কোথায়’ গানটি। এই গান প্রথম গেয়েছিলেন সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায়। পরে মানবেন্দ্র মুখোপাধ্যায়ের কণ্ঠেও শোনা যায়।
চলতি বছরের শুরুতে রামকমল মুখোপাধ্যায়ের ‘নটী বিনোদিনী’ ছবিতে একই গান গাইতে শোনা গিয়েছে শুচিস্মিতা চক্রবর্তীর কণ্ঠে। বছরশেষে একই গান যখন জয়তী গাইবেন...কথা ফুরোতে দেননি গায়িকা। মৃদু হেসে জবাব দিয়েছেন, “শুচিস্মিতা অল্প সময়ের জন্য আমার কাছে রবীন্দ্রসঙ্গীত শিখেছে। সেইমতো ও আমার ছাত্রী। ওকে নিয়ে গর্ব করি। তাই ছাত্রী-শিক্ষিকার মধ্যে কখনও, কোনও দিন তুল্যমূল্য বিচার বা প্রতিযোগিতা আসবে না।” এই প্রসঙ্গে তাঁর দাবি, “গানটা গাওয়ার আগে প্রত্যেকের গান শুনেছি। সেই তালিকায় কিন্তু আমার ছাত্রী শুচিস্মিতাও ছিল।”