About Zubeen Garg

জ়ুবিনকে হারিয়ে কী ভাবে দিন কাটাচ্ছেন বৃদ্ধ বাবা আর স্ত্রী? অসমে গিয়ে দেখে এলেন জোজো

পরপর ঘনিষ্ঠ জনের প্রয়াণ। প্রথমে বন্ধু জ়ুবিন গার্গ। এর পর সদ্য শাশুড়িকে হারিয়েছেন। সেই শোক সামলে জোজো পৌঁছে গিয়েছিলেন অসমে, প্রয়াত গায়কের বাবা-স্ত্রীকে দেখতে।

Advertisement

আনন্দবাজার ডট কম সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১১ নভেম্বর ২০২৫ ১৩:৩৭
Share:

জু়বিন গার্গকে মিস করছেন জোজো মুখোপাধ্যায়। ছবি: ফেসবুক।

গরিমা গার্গ শইকীয়া থাকলে বন্ধু জ়ুবিন গার্গ এ ভাবে হয়তো চলে যেতেন না। প্রতি মুহূর্তে এমনই উপলব্ধি গায়িকা জোজো মুখোপাধ্যায়ের। সে কথা তিনি জানিয়েওছেন বন্ধুপত্নীকে। আনন্দবাজার ডট কম-এর সঙ্গেও ভাগ করে নিয়েছেন সে কথা।

Advertisement

জোজো প্রশ্ন তুলেছেন, জ়ুবিন বরাবর ‘রাতজাগা তারা’। তাঁকে ঘুমোতে না দিয়ে সকাল সকাল স্কুবা ডাইভিংয়ে কী করে নিয়ে যাওয়া হল? কেউ বাধা দিলেন না!

বন্ধুর প্রয়াণে মুষড়ে পড়েছিলেন। সে সময়ে জ়ুবিনের পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে দেখা করতে যেতে পারেননি। রবিবার জোজো উত্তরবঙ্গে গিয়েছিলেন সদ্যপ্রয়াত শাশুড়িমাকে শ্রদ্ধা জানাতে। সেখান থেকে উড়ে যান অসম। প্রয়াত বন্ধুর অসুস্থ বাবা আর স্ত্রীর সঙ্গে দেখা করেন তিনি।

Advertisement

জ়ুবিন গার্গের সমাধিক্ষেত্রে জোজো মুখোপাধ্যায়। ছবি: সংগৃহীত।

গায়িকা জানিয়েছেন, অসম এখনও ভুলতে পারেনি তাদের ভূমিপুত্রকে। ভোলা সম্ভবও নয়। জোজো দেখেছেন, গায়কের সমাধিস্থল যেন মন্দিরে পরিণত হয়েছে। বাইরে বিক্রি হচ্ছে ফুল, ‘গামোছা’। দর্শনার্থীরা সে সব নিয়ে ভিতরে গিয়ে শ্রদ্ধা জানাচ্ছেন। নির্দিষ্ট সময় পেরিয়ে যাওয়ার পরেও জনস্রোত সেখানে। একই ভাবে রাস্তায়, গলিতে, পথের মোড়ে বাজছে শিল্পীর গান। রাস্তা সাজানো প্রয়াত গায়কের ছবিতে। স্কুল, কলেজ, জনসমাবেশ-সহ সমস্ত অনুষ্ঠান শুরুর আগে স্মরণ করা হচ্ছে জ়ুবিনকে।

সব দেখে মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মার ঘনিষ্ঠদের কাছে গায়িকার বার্তা, “আপনারা প্রতি বছর জ়ুবিনের নামে একটা উৎসব করুন। এ ভাবেই বেঁচে থাকুন শিল্পী।”

জ়ুবিনকে হারিয়ে কী ভাবে দিন কাটছে গায়কের বৃদ্ধ বাবা, স্ত্রীর? জোজোর কথায়, “অসুস্থই ছিলেন জ়ুবিনের বাবা। এখন আরও অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। ছেলের শোকে মানসিক, শারীরিক— সব দিক থেকেই বিপর্যস্ত। কথা বলার শক্তিটুকুও বুঝি হারিয়েছেন। স্থবির হয়ে গিয়েছেন যেন।” ফলে, শারীরিক খোঁজখবর এবং সান্ত্বনা দেওয়া ছাড়া গায়িকার বেশি কথা হয়নি অশীতিপর বৃদ্ধের সঙ্গে। গরিমা অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে। তাঁর সঙ্গেও বেশি কথা বলা সম্ভব হয়নি তাঁর। তবে গায়িকা গরিমারকে অনুযোগ জানিয়েছেন, তিনি সিঙ্গাপুরে জ়ুবিনের সঙ্গে থাকলে কিছুতেই বন্ধুর মৃত্যু হত না। বরাবর রাত জেগে গান বাঁধতেন জ়ুবিন। পরের দিন সকাল থেকে বিশ্রাম নিতেন। সেই বিশ্রামে ব্যাঘাত ঘটিয়ে তাঁকে জলের নীচে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল কেন? হতবাক জোজো।

কথায় কথায় জোজো ফিরে গিয়েছেন অতীতে। বলেছেন, “জ়ুবিন খুব বন্ধুবৎসল। নিজেকে আড়াল করতে জানত না। কলকাতাকে খুব ভালবাসত। একবার এক রিয়্যালিটি শো-এর শুটিংয়ে আমরা একসঙ্গে। পরের দিন আমার জন্মদিন। মনটা একটু খারাপ। কাজের চাপে পার্টি করতে পারব না। আমার মুখে বুঝি মনখারাপের ছায়া পড়েছিল। সেটা বুঝতে পেরেছিল জ়ুবিন।” কারণ জানার পরেই গায়িকার জন্য নিজের উদ্যোগে উদ্‌যাপনের আয়োজন করেছিলেন তিনি! জোজোর প্রশ্ন, “আজকের দিনে কার মন এত উদার?”

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement