জ়ুবিন গার্গ স্মরণে লোপামুদ্রা মিত্র। গ্রাফিক: সনৎ সিংহ।
এমনই অমরত্বের স্বপ্ন দেখেন বুঝি সব শিল্পী। জ়ুবিন গার্গের জন্য কাঁদছে গোটা অসম, যা ছুঁয়ে গিয়েছে বাংলার শিল্পী লোপামুদ্রা মিত্রকে। প্রয়াত শিল্পীকে কোনও দিন কাছে থেকে দেখেননি। তাঁর প্রতি অসমবাসীদের ভালবাসা বুঝি নতুন করে জ়ুবিন সম্পর্কে ভাবতে বাধ্য করেছে শিল্পীকে।
একই সঙ্গে তিনি কি জ়ুবিন গার্গের মতোই অমরত্ব কামনা করেছেন?
লোপামুদ্রা মিত্র এবং তাঁর সুরকার স্বামী জয় সরকার আপাতত বিদেশে। গানের অনুষ্ঠান উপলক্ষে। তাই আনন্দবাজার ডট কম তাঁকে ফোনে ধরতে পারেনি। বদলে গায়িকা তাঁর মনের কথা প্রকাশ করেছেন বার্তায়। কিছু প্রশ্নও তুলেছেন। যেমন লোপামুদ্রা লিখেছেন, “জ়ুবিন কিন্তু অসমের রাজা। তার প্রমাণ আমরা পেলাম জুবিন চলে যাওয়ার পর। গোটা অসম নেমে এসেছিল পথে। এটা শুধুই জুবিনের স্টারডমের জন্য? হতে পারে না। এর নাম ভালবাসা।”
এই ভালবাসাকে তিনি কুর্নিশ জানিয়েছেন। পাশাপাশি এ-ও লিখেছেন, “জুবিন গর্গের সাথে পরিচয় ছিল না। শুধু কিছু গল্প লোকমুখে শুনেছি। ভাল-মন্দ মিলিয়ে নানা কথা জানি। সত্যি-মিথ্যে বিচারে যাই না।” তবে গায়িকার দাবি, জ়ুবিনের মৃত্যু আবার প্রমাণ করেছে, “ভালবাসার কোনও ছক নেই। সে ভালবাসা অন্ধ। এই ভালবাসার জন্য মানুষকে আবেগি হতে হয়। জ়ুবিনও নিশ্চয়ই ছিলেন তেমনই আবেগি। হিসেব করেননি কোনও। অসমবাসীকে স্যাল্যুট। দেখিয়ে দিলেন, ‘ভালবাসা কারে কয়'।”
জ়ুবিনের যাপিত জীবন নিয়ে শিল্পীর মত, “ক’জন পারি আমরা নিজের শর্তে বাঁচতে? সারাক্ষণ তাড়া করে বেড়ায় একটাই আতঙ্ক, পাছে লোকে কিছু বলে!” জ়ুবিন সে সবের তোয়াক্কা করেননি। লোপামুদ্রা খুশি। প্রয়াত শিল্পী এরকম ছিলেন বলেই হয়তো অসমে ঘন্টার পর ঘন্টা মানুষ অপেক্ষা করতেন তাঁর গান শুনবেন বলে, তাঁকে দেখবেন বলে।