সোশ্যাল মিডিয়ার ময়দানে

গ্রহণযোগ্যতা বাড়াতে ভরসা ভুয়ো ফলোয়ার্স, টুইট কেনাবেচা। অন্তর্জালে এ এক অন্য খেলাএখন সকলেই জেনে গিয়েছেন, কোনও সেলেবই নিজে পোস্ট করেন না। হাতে গোনা কয়েক জন অবশ্যই ব্যতিক্রম।

Advertisement

নিজস্ব প্রতিবেদন

শেষ আপডেট: ১৫ মে ২০১৯ ০০:২৭
Share:

কঙ্গনা

কিছু সেলেবের উপস্থিতি সোশ্যাল মিডিয়ায় সীমাবদ্ধ। বাস্তবে তাঁদের কাজের প্রতিফলন পাওয়া যায় না। সদ্য ইন্ডাস্ট্রিতে পা রাখা নায়িকার সোশ্যাল মিডিয়ায় কয়েক লক্ষ ফলোয়ার। দুই অভিনেতার তরজায় ভক্তকুল এমন কাণ্ড শুরু করল যে, টুইটার ট্রেন্ডিংয়ে বিষয়টা এক নম্বরে চলে এল। সিনেমার একটি গান রিলিজ় করতে না করতেই লক্ষ লক্ষ ভিউ এবং শেয়ার...

Advertisement

এখন সকলেই জেনে গিয়েছেন, কোনও সেলেবই নিজে পোস্ট করেন না। হাতে গোনা কয়েক জন অবশ্যই ব্যতিক্রম। সোশ্যাল মিডিয়া সামলানোর জন্য সেলেবরা পাবলিসিস্ট, এজেন্টের শরণাপন্ন হন। কত জন ফলোয়ার্স তা দিয়ে ব্র্যান্ড ভ্যালু মাপা হয় তারকার। সঙ্গে এনডোর্সমেন্ট থেকে শুরু করে অনেক রকম বিপণনই যুক্ত। আসলে অধিকাংশ ফলোয়ারই ভুয়ো। ফেক অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে জনপ্রিয়তা বাড়ানো হয়। টাকার বিনিময়ে পাওয়া যায় লাইক, শেয়ার...

এ তো গেল নিজস্ব প্রচার বা ব্র্যান্ড তৈরির কথা। সম্প্রতি কঙ্গনা রানাউত এবং হৃতিক রোশন নিজেদের পুরনো ঝামেলা ফের প্রকাশ্যে এনেছেন। এতে তাঁদের পাশাপাশি নেমে পড়েছে লক্ষ লক্ষ ফলোয়ার। দু’পক্ষের ম্যানেজার-পিআর পিআর এজেন্সি উঠেপড়ে লাগে কঙ্গনা আর হৃতিকের সমর্থনে লবি তৈরি করতে। সূত্রের খবর, এ ক্ষেত্রে কাজে লাগানো হয়েছে ভুয়ো অ্যাকাউন্ট। কেনা হয়েছে পোস্ট। সব এজেন্সির ডেটা বেসেই এমন লোকজন থাকে যাদের ব্যবহার করা হয়। এদের ব্রিফ করে দেওয়া হয় কী লিখলে সেই পোস্ট নজর কাড়বে। এজেন্সিগুলো কলেজ স্টুডেন্টদের এ ক্ষেত্রে কাজে লাগায়। টুইট বা পোস্ট পিছু নাকি দশ টাকা দেওয়া হয়। কঙ্গনা-হৃতিক বিতর্কে এ ভাবেই লবি তৈরি করে বিষয়টি উস্কে দেওয়ার কথা শোনা যায়।

Advertisement

দিল্লি দখলের লড়াই, লোকসভা নির্বাচন ২০১৯

সারা আলি খান বা অনন্যা পাণ্ডের মতো অভিনেত্রীরা ইন্ডাস্ট্রিতে আসার সঙ্গে সঙ্গে সোশ্যাল মিডিয়াতেও জনপ্রিয় হয়ে উঠেছেন। এর পিছনে পিআর এজেন্সির প্রভাব অস্বীকার করা যায় না। টলিউডেও নবাগতরা এ ভাবে এজেন্সির মাধ্যমে নিজেদের জনপ্রিয়তা বাড়িয়ে থাকেন। ছবির প্রচারে কাজে লাগানো হয় ভুয়ো প্রোফাইল। নয়তো যেখানে দর্শক বাংলা ছবি দেখতে সিনেমা হলে যান না, সেখানে একটা গান এক বেলার মধ্যে লক্ষাধিক ভিউ পায় কী করে!

প্রতিদ্বন্দ্বীকে কোণঠাসা করার জন্যেও নানা রকম কারসাজি চলে সোশ্যাল মিডিয়ায়। ধরা যাক, এক জন অভিনেতার ছবি রিলিজ় করল। তাঁর প্রতিপক্ষ নিজস্ব এজেন্সি দিয়ে ওই অভিনেতার ছবির নেগেটিভ পাবলিসিটি শুরু করলেন। টলিউডে এমন ঘটনার উদাহরণ কিন্তু রয়েছে।

যবে থেকে সোশ্যাল মিডিয়া প্যারালাল ইউনিভার্সের আকার নিয়েছে তবে থেকেই এগুলোর শুরু। আগামী দিনে হয়তো আরও চমক অপেক্ষা করছে!

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement
Advertisement