তৃণমূলে ফিরেই শান্তি সোহেল দত্তর। ছবি: সংগৃহীত।
তৃণমূলের ২১ জুলাইয়ের সমাবেশে হাজির ছিলেন সোহেল দত্ত। টেলিপাড়ার অন্য তারকাদের সঙ্গে এ দিনের সমাবেশে হাজির ছিলেন সোহেল। শিশুশিল্পী হিসেবে সোহেলের পরিচিতি ছিল দর্শকমহলে। ২০২১ সালে যখন ঝাঁকে ঝাঁকে টলিউডের তারকা বিজেপিতে যোগ দিচ্ছেন ও ভোটে দাঁড়াচ্ছেন, সেই সময় সোহেলও যান বিজেপিতে। কিন্তু মাত্র বছর দুয়েকের মধ্যে প্রত্যার্বতন। বিজেপির নীতিগত আর্দশের সঙ্গে মানিয়ে নিতে অসুবিধা হচ্ছিল বলে তাঁর দাবি। মন থেকে কখনও তাদের নীতি সমর্থন করে উঠতে পারেননি। তবু তৃণমূলের প্রতি খারাপ লাগা ছিল। সেখান থেকেই নাকি এমন ভুল করে বসেন। কিন্তু ফের তৃণমূলে ফেরার পর লোকে যদি ‘সুবিধাবাদী’ বলেন, তাতে কি ভয় পান, না কি ২০২৬-এর বিধানসভা নির্বাচনে প্রার্থী হওয়া লক্ষ্য সোহেলের? আনন্দবাজার ডট কমকে জানালেন অভিনেতা।
২০২১ সালের বিধানসভা নির্বাচনের আগে শ্রাবন্তী চট্টোপাধ্যায় থেকে পায়েল সরকার, পার্নো মিত্র, বনি সেনগুপ্ত একাধিক তারকা বিজেপিতে যোগ দেন। তাঁদের আগেই অবশ্য বিজেপিতে চলে গিয়েছিলেন সোহেল। খানিকটা অভিমান থেকেই নাকি এই সিদ্ধান্ত নেন। এ ছাড়াও ছিল বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর আশ্বাস। সোহেলের কথায়, ‘‘আমার বাড়িতে এসে মা-বাবাকে বলে উনি যান, আপনার ছেলের দায়িত্ব আমার। যদিও বাবা-মা বারণ করেছিল। কিন্তু আমি একটা ভুল করে বসি ওঁকে বিশ্বাস করে। আমি আসলে ওই দলে গিয়েছিলাম রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে সুসম্পর্কের কারণে। গিয়ে বুঝলাম, কত বড় ভুল করেছি। ওই দলের নীতিগত আর্দশ কোনও দিনও মন থেকে মেনে নিতে পারিনি। এ ছাড়াও ওঁরা শিল্পীদের সম্মান করতে পারেন না। প্রতিটা শিল্পীকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ব্যক্তিগত ভাবে চেনেন, তাঁদের ধারাবাহিক দেখেন। তিনি যা সম্মান আমাদের দিয়েছেন আর কোনও সরকার দেয়নি। তৃণমূলে ফিরতে পেরে শান্তিতে আছি।’’
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে সোহেল। ছবি: সংগৃহীত।
২০০৮ সাল থেকেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে আলাপ। সেই সময় থেকেই তৃণমূলের বিভিন্ন অনুষ্ঠানে যেতেন তিনি। তখন অবশ্য শিশুশিল্পী হিসেবে যেতেন। তার পর ২০১১-এ ক্ষমতায় আসে তৃণমূল সরকার। তখন যেন সেই বন্ধন আরও দৃঢ় হয়। কিন্তু হঠাৎই একটা পদক্ষেপ করে বসেন সোহেল। তবে ‘ভুল’ শুধরে নিতে পারায় স্বস্তিতে তিনি। যদিও নির্বাচনের আগে দলের কাছাকাছি আসার প্রচেষ্টা থেকেই একুশের সমাবেশ মঞ্চে সোহেল! তাঁর কথায়, ‘‘না, কিছু পাওয়ার জন্য নয়। আমি ২০২৬ নির্বাচনে দাঁড়াব, না কি অন্যের জন্য প্রচার করব, সবটাই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সিদ্ধান্ত। কিন্তু আমি দলের কর্মী। আমাকে যেমন যা বলা হবে সেটা করব। তবে হ্যাঁ, ইচ্ছে একটা অবশ্যই আছে জীবনে একবার নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি হওয়ার।’’ এই মুহূর্তে ২৭ বছর বয়স সোহেলের আপাতত রাজনীতিতে হাত পাকানোর আরও সময় বাকি পথ বাকি।