Theatre

বিপন্ন নাট্যকর্মীদের বাঁচাতে একজোট সৌমিত্র-দেবশঙ্কর-কৌশিক-সুরজিৎ, অনলাইনে উপহার ‘পুজোর টানে’

সম্প্রতি, ‘সৌভ্রাতৃত্ব’ পুজোর তহবিল গড়তে অনলাইনে দেখাবে নাটক ‘পুজোর টানে’। এই কর্মকাণ্ডের সঙ্গে জড়িয়েছে ‘ওয়াশিংটন ডিসি’-র ‘এবং থিয়েট্রিক্স’।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ২১ সেপ্টেম্বর ২০২০ ২০:২২
Share:

নাট্যকর্মীদের পাশে দাঁড়ানোর প্রয়াস। ছবি: সংগৃহীত

প্রেক্ষাগৃহ বন্ধ। মঞ্চস্থ হচ্ছে না নাটক। যাঁরা শুধুই নাটকের সঙ্গে যুক্ত থেকে উপার্জন করেন, কী করে সংসার চলবে তাঁদের? এই ভাবনা থেকেই জন্ম ‘সৌভ্রাতৃত্ব’ ফাউন্ডেশনের। যার সঙ্গে যুক্ত দেবশংকর হালদার, কৌশিক সেন, বিপ্লব বন্দ্যোপাধ্যায়, শুভাশিস মুখোপাধ্যায়, সুরজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায়-সহ এক ঝাঁক নাট্যতারকা। লক্ষ্য একটাই, অতিমারি থাবা বসিয়েছে যাঁদের রোজগারে, তাঁদের পাশে থাকা।

Advertisement

গত মার্চ থেকে প্রতি মাসে নিয়ম করে রেশন, সংসার চালানোর টাকা ফাউন্ডেশন তুলে দিচ্ছে ১৭০ জন বিপন্ন নাট্যকর্মীর হাতে। কিন্তু পুজো কি শুধু এটুকুতে চলে? বাড়ির বড়দের ও ছোটদের গায়ে নতুন জামা না উঠলে বাঙালির শ্রেষ্ঠ উৎসবের আনন্দটাই যে মাটি!

কী ভাবে ভরবে সেই ফাঁক? কৌশিক সেন জানালেন, দীর্ঘ ৬-৭ মাস ধরে তাঁরা যে সমস্ত নাটক বা সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান অনলাইনে দেখিয়েছেন তার সঙ্গে যুক্ত ছিল বিদেশি কোনও না কোনও নাট্য গোষ্ঠী বা সংস্থা, যারা এই ত্রাণ তহবিলকে আরও পোক্ত করেছে। সম্প্রতি, ‘সৌভ্রাতৃত্ব’ পুজোর তহবিল গড়তে অনলাইনে দেখাবে নাটক ‘পুজোর টানে’। এই কর্মকাণ্ডের সঙ্গে জড়িয়েছে ‘ওয়াশিংটন ডিসি’-র ‘এবং থিয়েট্রিক্স’। স্বদেশ-বিদেশের এই যৌথ উদ্যোগ পুজোয় চওড়া হাসি ফোটাবে ওই ১৭০ জনের পরিবারের মুখে, দাবি অভিনেতা-নাট্য নির্দেশকের।

Advertisement

আরও পড়ুন: ‘এখানে আকাশ নীল’ বন্ধের প্রতিবাদে সোশ্যাল মিডিয়া উত্তাল, আত্মহত্যার হুমকি

কাদের টানে অনলাইনে ভিড় জমাবেন নেটাগরিকেরা? সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায় থেকে রুদ্রপ্রসাদ-স্বাতীলেখা-সোহিনী সেনগুপ্ত, দেবেশ চট্টোপাধ্যায় থেকে সুমন-নীল মুখোপাধ্যায়, মেঘনাদ ভট্টাচার্য, ঋদ্ধি সেন হয়ে আগের এবং এই প্রজন্মের বহু ব্যক্তিত্ব জড়িত এই নাটকটির সঙ্গে। এঁরাই ‘পুজোর টানে’-র অমোঘ টান।

আরও পড়ুন: সুশান্ত কাণ্ডে মাদক যোগ, জেরা করা হতে পারে সারা-শ্রদ্ধাকেও

২৬ এবং ২৭ সেপ্টেম্বর আলোচনায় বসবেন সবাই। অনলাইনে মঞ্চস্থ হওয়ার পর আগামী ৪ অক্টোবর তপন থিয়েটারের সামনে সংগৃহীত অর্থ থেকে মাসিক সাহায্য, রেশন ছাড়াও পুজো খরচের টাকা তুলে দেওয়া হবে নির্দিষ্ট নাট্যকর্মীদের হাতে।

আগামী পরিকল্পনার কথা বলতে গিয়ে অনুযোগ ধরা পড়ল কৌশিকের গলায়, ‘‘মনে হয় না পুজোর পরেই প্রেক্ষাগৃহ খুলবে। এ দিকে কেন্দ্র বা রাজ্য সরকারের আর্থিক অবস্থা সঙ্কটে। ফলে, সেখান থেকেও কোনও আর্থিক অনুদান পাওয়ার সম্ভাবনা নেই। উভয় সরকারের এই নিয়ে মাথাব্যথাও নেই। ফলে, আগামী দিনের ভাবনাও আমাদেরই ভাবতে হবে।’’

সেই ভাবনা থেকেই ‘সৌভ্রাতৃত্ব’ চেষ্টা করছে আগামী মার্চ-এপ্রিল পর্যন্ত এ ভাবেই দুঃস্থ নাট্যকর্মী, অভিনেতাদের পাশে থাকার।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন