‘গল্প যেন স্টার পাওয়ারের চেয়ে বড় হয়’

বলছেন আলি আব্বাস জ়াফর। ইদে ছবি মুক্তি পাওয়ার আগে আনন্দ প্লাসের সামনে পরিচালক। শুনলেন শ্রাবন্তী চক্রবর্তী। আমরা আবু ধাবি, মল্টার মতো জায়গায় শুট করেছি। সলমনের মেকআপ এবং প্রস্থেটিক লুকের জন্য অনেক সময় দিতে হয়েছে। সঙ্গে ধৈর্যও। 

Advertisement
মুম্বই শেষ আপডেট: ২৩ মে ২০১৯ ০০:০৫
Share:

আলি আব্বাস জ়াফর।

প্র: সলমন খানের সঙ্গে এই নিয়ে তিনটে ছবি করে ফেললেন। ওঁর মেজাজ সামলাতে হয়েছে কখনও?

Advertisement

উ: (হাসতে হাসতে) এই প্রশ্নের জবাব দেওয়া কঠিন! সলমনের সেন্স অব হিউমর বা মেজাজমর্জি— সব কিছুরই আমি সাক্ষী। তবে ওর সঙ্গে কোনও দিন আমার ছবির খুঁটিনাটি নিয়ে মতভেদ হয়নি। ওর অভিজ্ঞতা সব দিক থেকেই আমার চেয়ে বেশি। সলমনের সবচেয়ে বড় গুণ হল, সেটে পরিচালক যা চান, ও সেটাই করে দেয়। একে অপরের প্রতি ভরসাটাই আমাদের সবচেয়ে বড় ইউএসপি।

প্র: ‘ভারত’ কি ‘টাইগার জ়িন্দা হ্যায়’ এবং ‘সুলতান’-এর মতো হিট হবে বলে মনে করেন?

Advertisement

উ: আমার ছবির হিরো গল্প। সলমনের সঙ্গে আমার ছবি হিট করার ইকুয়েশনটা যে খুব ভাল, সেটা মানছি। কিন্তু ওর সঙ্গে যখনই ছবি করেছি, খেয়াল রেখেছি গল্প যেন সলমনের স্টার পাওয়ারের চেয়ে বড় হয়। ‘সুলতান’ দেখার পরে সবাই বলেছিলেন, ও কঠিন পরিশ্রম করেছে। কিন্তু আমার মনে হয়, ‘ভারত’ দেখার পরে লোকের ধারণা বদলে যাবে। আমরা আবু ধাবি, মল্টার মতো জায়গায় শুট করেছি। সলমনের মেকআপ এবং প্রস্থেটিক লুকের জন্য অনেক সময় দিতে হয়েছে। সঙ্গে ধৈর্যও।

প্র: শোনা গিয়েছিল, সলমন ছবিতে নিজের বেশি বয়সের লুক নিয়ে সচেতন হয়ে পড়েছিলেন?

উ: হ্যাঁ ছিলেন। আমরা অনেক এক্সপেরিমেন্ট করেছিলাম। সলমন খুব উত্তেজিতও ছিল। ও আমাকে সব সময়ে বলে, ‘আমি এখন যতটা হ্যান্ডসাম, বুড়ো বয়সে এর চেয়েও বেশি হ্যান্ডসাম লাগবে দেখতে!’ ছবিতে সলমনের অল্প বয়সের লুক ‘কর্ণ অর্জুন’ থেকে নেওয়া হয়েছে। আর বেশি বয়সের লুকের জন্য লন্ডন থেকে প্রস্থেটিক মেকআপের স্পেশ্যাল টিম আনা হয়েছিল। তার সঙ্গে ভিএফএক্স-এর সাহায্যও নেওয়া হয়েছে।

প্র: প্রিয়ঙ্কা চোপড়া ‘ভারত’কে ‘না’ বলার পরে আপনি ক্যাটরিনা কাইফকে প্রস্তাব দিয়েছিলেন ছবির?

উ: প্রিয়ঙ্কা যখন ‘না’ করে দেয়, তখন ওর জীবন ঘটনাবহুল ছিল (মুচকি হেসে)। আমরা একসঙ্গে বসেই সিদ্ধান্ত নিই। একটা ব্যাপারে নিশ্চিত ছিলাম যে, ছবি ইদেই রিলিজ় করবে। ক্যাটরিনা তখন ‘জ়িরো’র শুটিং করছিল। আমি ফোনে কথা বলে ওকে স্ক্রিপ্ট পাঠাই। সেই দিনই ক্যাটরিনা ফোন করে আমাকে জিজ্ঞেস করে, কবে শুটিং শুরু হবে। আর কাউকে যেন এই রোলটা অফার না করি! আসলে আমি যখন চিত্রনাট্য লিখি, তখন নজর রাখি মহিলাদের চরিত্র যেন খুব পাওয়ারফুল হয়। ক্যাটরিনাকে আমি এর আগেও ডিরেক্ট করেছি। ও আগের চেয়ে অনেক বেশি মনোযোগী। ‘জ়িরো’ আমার মতে, ক্যাটরিনার শ্রেষ্ঠ কাজ।

দিল্লি দখলের লড়াই, লোকসভা নির্বাচন ২০১৯

প্র: ‘ভারত’ বাবা এবং ছেলের সম্পর্ক নিয়ে। আপনি সলমন এবং ওঁর বাবা সেলিম খানকে খুব ভাল করে চেনেন। ওঁদের দু’জনের সম্পর্কটা ঠিক কেমন?

উ: সলমন যদি শের হয়, তা হলে সেলিম আঙ্কল হলেন সওয়া শের! সলমনকে একমাত্র উনিই নিয়ন্ত্রণ করতে পারেন। ‘ভারত’-এর স্ক্রিপ্ট যখন লিখছিলাম, ফার্স্ট ড্রাফ্টটা সেলিম আঙ্কলকে দেখিয়েছিলাম

ওঁর ইনপুট নিতে। ওঁর মতো বড় মাপের লেখক আমাদের ইন্ডাস্ট্রিতে কমই আছেন।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন