আবার কি বিয়ে করবেন নোবেলের প্রাক্তন স্ত্রী সালসাবেল? ছবি: সংগৃহীত।
তাঁর বিরুদ্ধে অপহরণ এবং ধর্ষণের অভিযোগ করেছিলেন এক তরুণী। তার ভিত্তিতেই সংশোধনাগারে যেতে হয়েছিল বাংলাদেশি সঙ্গীতশিল্পী মইনুল আহসান নোবেলকে। আবার আদালতের নির্দেশে সেই অভিযোগকারিণীকেই ঢাকার কেরানীগঞ্জ কেন্দ্রীয় সংশোধনাগারের প্রধান ফটকে বিয়ে করেন গায়ক। যদিও এটা তাঁর প্রথম বিয়ে নয়। সালসাবেল মেহমুদকে বিয়ে করেছিলেন তিনি। শোনা যায়, নোবেলের খারাপ স্বভাবের জন্যই তাঁদের সম্পর্ক ভেঙেছিল। এক দিকে, নোবেলের আবার সংসার পাতা নিয়ে আলোচনা তুঙ্গে। এরই মাঝে প্রশ্ন, আবার কি বিয়ে করবেন নোবেলের ‘প্রাক্তন’ সালসাবেল? সম্প্রতি লাইভ ভিডিয়োয় তাঁকে এই ধরনের বেশ কিছু প্রশ্নের সম্মুখীন হতে হয়। তখনই সালসাবেল বলেন, “হ্যাঁ, বিয়ে করতে পারি। কিন্তু পাত্রকে আমার মা-বাবার সঙ্গে কথা বলতে হবে।”
নোবেলের এই বিতর্ক প্রসঙ্গে পরোক্ষ ভাবে মন্তব্য করেছিলেন সালসাবেলও। সালসাবেল লেখেন, “এক ব্যক্তি প্রবাসে গিয়েছিল বৌকে বাংলাদেশে রেখে। কোর্ট নাকি নির্দেশ দিয়ে তার বৌকে আর এক জনের জামাইয়ের সঙ্গে বিয়ে দিয়ে দিয়েছে— খুবই হাস্যকর! গোপালগঞ্জের মানুষ বলে কথা!” নোবেল গোপালগঞ্জের বাসিন্দা। অর্থাৎ পরোক্ষ ভাবে যে নোবেলের উদ্দেশেই এই বার্তা, তা আন্দাজ করা যায়। সালসাবেলের দাবি, নোবেলের সঙ্গে পাকাপাকি বিচ্ছেদ এখনও হয়নি তাঁর। তা হলে কী করে আবারও বিয়ে করতে পারেন তিনি? যদিও এখনও পর্যন্ত এ প্রসঙ্গে কোনও কথা বলেননি নোবেল। দিনপাঁচেক আগেই এই বিয়ের কথা জানা গিয়েছিল। এ বার জানা গিয়েছে, নোবেলের বাবা হওয়ার খবর। আপাতত নোবেল জামিনে মুক্ত।
গত কয়েক বছর ধরেই নানা মামলায় জড়িয়েছেন নোবেল। নাম জড়িয়েছে একাধিক বিবাহ, প্রতারণা, গার্হস্থ্য হিংসার মতো অভিযোগে। মাত্র কয়েকমাস আগেই তিনি নেশামুক্তি কেন্দ্র থেকে ছাড়া পেয়েছিলেন। কিন্তু তার পরেই ফের গ্রেফতার হন। অপহরণ এবং যৌন হেনস্থার অভিযোগে নোবলেকে গ্রেফতার করে স্থানীয় ডেমরা থানার পুলিশ। গত ২০ মে থেকে সংশোধনাগারে ছিলেন নোবেল। তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছিলেন এক তরুণী। গ্রেফতার হওয়ার পর সেই মহিলাকে নিজের স্ত্রী বলে দাবি করেন গায়ক। যদিও বিবাহ সংক্রান্ত নথি তিনি আদালতে দাখিল করতে পারেননি। শেষে কোর্টের নির্দেশে কয়েক দিন আগে সংশোধনাগারের ফটকে সেই তরুণীকেই বিয়ে করেন নোবেল।