Sudipa Chatterjee

Sudipa Chatterjee: মধ্যরাতে ভ্যাটিকান সিটির গির্জায়, এক হাত দূর থেকে পোপ আশীর্বাদ করছেন: সুদীপা

বড়দিন এলে আমিও যেন একটু সাহেব-সুবো, সাজানো বাড়ি ম’ম করতে থাকে কেক-রোস্টের গন্ধে।

Advertisement

সুদীপা চট্টোপাধ্যায়

কলকাতা শেষ আপডেট: ২৫ ডিসেম্বর ২০২১ ১২:৪৩
Share:

সুদীপাই আদিদেবের ‘সান্তা’।

আদিদেব চট্টোপাধ্যায়ের আমিই সান্তাক্লজ। বড়দিনের এক সপ্তাহ আগে থেকে ওর প্রার্থনার হিড়িক যদি দেখেন।

একটি করে দিন করে কাটে। ওর প্রার্থনার বহর বাড়ে। ঈশ্বরের কাছে সে কী কাকুতি-মিনতি, সান্তা যেন আমায় ২টো গাড়ি দেয়! পরের দিনই সংখ্যা বেড়ে ৩টি! প্রার্থনাগুলো যে আমিই পূরণ করব সে বিষয়ে আর সন্দেহ কী? বড়দিন এলে আমিও যেন একটু সাহেব-সুবো হয়ে যাই। ঘরদোর সাজানো। নিজের হাতে কেক বানানো। আমার স্বামী অগ্নিদেব চট্টোপাধ্যায় টার্কি খায় না। আমার মা-ও তাইই। ফলে, আমি বড়দিনের স্পেশ্যাল মেনুতে চিকেন রোস্ট করি। কেক-রোস্টের গন্ধে বাড়ি ম’ম করতে থাকে।

আমি একটু খুঁতখুঁতে। সব কাজ গুছিয়ে করতে ভালবাসি। আমার কেক বানানোরও তাই বিশেষ প্রক্রিয়া আছে। ফ্রুট কেক, পাম কেক বানাই নিজে হাতে। তার জন্য এক সপ্তাহ আগে থেকে টুটি-ফ্রুটি, কুমড়ো মিঠাই, চেরি, আমন্ড, কিশমিশ, পেস্তা, কাজু রামে ভিজিয়ে রাখি। তা হলে কেক স্বাদু হয়। তৈরির পরে সেই কেক শাশুড়ি, দাদা, ননদ সবার বাড়িতে একটু একটু করে পাঠাই। সবাইকে ভাগ করে দিয়ে খাওয়ার মজাই আলাদা, কী বলেন?

Advertisement

বিয়ের পর থেকে আমি কোনও বছর বড়দিন বাড়িতে কাটাইনি। দেশেও থাকিনি। প্রতি বছর অগ্নি আমায় কোথাও না কোথাও বিদেশে নিয়ে গিয়েছে। ওর জন্যই এক বার রোমের ভ্যাটিকান সিটিতে বেড়াতে যাওয়ার সুযোগ হয়েছিল। সেখানে মধ্যরাতের গির্জায় গিজগিজে ভিড়। সবার মধ্যে দাঁড়িয়ে আমিও। রাত ১২টা বাজতেই পোপ স্বাগত জানালেন বড়দিনকে। ঠিক এক হাত দূরে দাঁড়িয়ে! আমার সারা গায়ে কাঁটা দিয়ে উঠেছিল। এত কাছে থেকে পোপের আশীর্বাদ পাব ভাবতেই পারিনি। আমি ক্রিসমাস ক্যারলেও অংশ নিয়েছি। সে বার আমরা গিয়েছিলাম ফিলাডেলফিয়ায়।

এ বছর আমরা সপরিবারে কলকাতায়। করোনা কারণে কোত্থাও যাব না আদিকে নিয়ে। জি বাংলার ‘রান্নাঘর’-এ বিশেষ পর্ব উদযাপিত হবে। ছোট্ট আদি আসবে। মা-ছেলেতে মিলে নানা রকম পদ রাঁধব। আমি সান্তা সাজব। খুব মজা হবে। আর বাকি সময় বাড়িতে। সমস্ত আত্মীয়, বন্ধুদের সঙ্গে। ২৫ ডিসেম্বর আমার এক বন্ধুর জন্মদিন। প্রতি বছর বড় করে উদযাপিত হয়। এ বছরেও তাই হবে। একটা বছর না হয় পরিবারের সবার সঙ্গে বাড়িতেই আনন্দে মাতলাম!

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন