দ্য জোকার
সুপারহিরোকে ভাল তো লাগবেই। সেটাই স্বাভাবিক। ছবি জুড়ে নানা ঝড়ঝাপটা সামলে শেষ দৃশ্যে ভিলেনকে কাবুই যদি না করল, তবে পয়সা উসুল হবে কেমন করে! কখনও কখনও এমন সুপারহিরো ছবিও আসে, যেখানে শুধু হিরো নয়, ভিলেনও দাগ কেটে যায়। কখনও বা সিনেমা হল থেকে বেরিয়েও মনের মধ্যে থেকে যায় ‘বদমাশ’ জোকারের সংলাপ, ‘‘হোয়াই সো সিরিয়াস?’’
দ্য জোকার (দ্য ডার্ক নাইট)
দর্শকের মনের মধ্যে কী করে জায়গা করে নিতে হয়, এ বোধ হয় হিথ লেজারের থেকে ভাল কেউ জানেন না! ছবিতে সে নিজেই ধরা দেয় হিরোর কাছে... হিরো বুঝতেই পারে না, সেটা আসলে ভিলেনের ফন্দি। তার শয়তানি কোনও ব্যক্তিগত স্বার্থ চরিতার্থ করার জন্য নয়, গথাম শহর ভাল এক অপরাধী দাবি করে, তাই তার অন্ধকার রাস্তায় নামা। তাই তো সে নির্দ্বিধায় হিরোকে বলতে পারে, ‘‘ইউ কমপ্লিট মি।’’ ভিলেনের জন্যই যেন হিরোর সৃষ্টি! এমন চরিত্র তৈরির জন্য পরিচালক ক্রিস্টোফার নোলানের কৃতিত্ব অবশ্যই, তবে চরিত্রের পূর্ণতা কিন্তু দিয়েছেন লেজার।
লোকি (থর)
‘কং: দ্য স্কাল আইল্যান্ড’ ছবি বা ‘নাইট ম্যানেজার’ টিভি সিরিজের টম হিডলস্টনকে প্রথম দর্শনে ভিলেন ভাবতে অসুবিধা হয় বইকী! কিন্তু লোকি তো যে-সে ভিলেন নয়, সে ‘গড অব মিসচিফ’। পর্বতপ্রমাণ চেহারার ক্রিস হেমসওর্থের থরের সামনে টম হিডলস্টনকে কাস্ট করায় অনেকেই ভেবে পাচ্ছিলেন না, খবরটা ঠিক না ভুল। হিডলস্টন প্রথম ছবি থেকেই বুঝিয়ে দেন, সুপারভিলেন হওয়ার জন্য মাংসপেশির থেকেও দরকার বুদ্ধি।
বেন (দ্য ডার্ক নাইট রাইজেস)
অন্য সুপারভিলেনদের থেকে বেন পুরোপুরি আলাদা। তার বুদ্ধি আছে, আছে শারীরিক ক্ষমতাও। এক হাতে হিরোর মাথা অনায়াসে গুঁড়িয়ে দেওয়ার ক্ষমতা রাখে সে। তাই হয়তো টম হার্ডিকে চমৎকার মানিয়েছে বেনের ভূমিকায়। ছবি দেখতে দেখতে অনেক সময় মনে ভয় তৈরি করে, ব্যাটম্যান হেরে যাবে না তো! ক্রিস্টোফার নোলানের ব্যাটম্যান ট্রিলজির এর থেকে ভাল শেষ বোধহয় আর হতে পারত না।
দ্য রেড স্কাল (দ্য ফার্স্ট অ্যাভেঞ্জার)
কমিক বইয়ের পোকাদের কাছে অনেক সময় অভিযোগ থাকে, বইয়ের ভিলেনের সঙ্গে পরদার বিস্তর তফাত। হুগো উইভার অবশ্য সে সব অভিযোগকে এক বাক্যে নস্যাৎ করে দিয়েছেন। তাঁর রেড স্কাল যেন কমিক বই থেকে উঠে আসা। ক্যাপ্টেন আমেরিকাকে নাকের জলে চোখের জলে করে দেওয়া নাৎসি বাহিনির অন্যতম নেতার ভূমিকায় চমৎকার মানিয়েছিল উইভারকে। ফ্যানদের বরং একটাই অভিযোগ, প্রযোজক সংস্থা কেন আর তাকে ফেরত আনছে না অন্য ছবিতে।