(বাঁদিকে) মহম্মদ সাহাবুদ্দিন এবং মুহাম্মদ ইউনূস (ডানদিকে) —ফাইল চিত্র।
জাতীয় সংসদের নির্বাচন এবং জুলাই সনদ নিয়ে গণভোটের পালা মিটলেই ইস্তফা দেবেন তিনি। বৃহস্পতিবার বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি মহম্মদ সাহাবুদ্দিন এ কথা জানিয়েছেন। সংবাদ সংস্থা রয়টার্সকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, ‘‘আমি অপমানিত হচ্ছি। তাই পদত্যাগের সিদ্ধান্ত নিয়েছি।’’
ঘটনাচক্রে, বৃহস্পতিবার বিকেলেই মুখ্য নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এএমএম নাসিরউদ্দিন ঘোষণা করেন, আগামী ১২ ফেব্রুয়ারি এক সঙ্গে জাতীয় সংসদের নির্বাচন এবং জুলাই সনদ নিয়ে গণভোট হবে। তার পরেই আওয়ামী লীগের প্রাক্তন নেতা সাহাবুদ্দিনের এই বার্তা সামনে এল। কিছু দিন ধরেই বাংলাদেশে জল্পনা চলছে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূস রাষ্ট্রপতি হওয়ার জন্য তৎপর হয়ে উঠেছেন। কিন্তু আইনসভাকে এড়িয়ে ইউনূস যদি রাষ্ট্রপতি হন, তবে সাংবিধানিক ভাবে তা অবৈধ ঘোষিত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। কারণ সুপ্রিম কোর্টে ইউনূসের সেই সিদ্ধান্ত চ্যালেঞ্জের মুখে পড়তে পারে।
শেখ হাসিনা প্রধানমন্ত্রী থাকাকালীন ২০২৩ সালের ২৪ এপ্রিল পাঁচ বছরের জন্য রাষ্ট্রপতি হিসেবে শপথ নিয়েছিলেন ৭৫ বছর বয়সী সাহাবুদ্দিন। অর্থাৎ মেয়াদের মাঝপথেই সরে যাওয়ার বার্তা দিলেন তিনি। বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি পদাধিকার বলে সশস্ত্র বাহিনীর সর্বাধিনায়ক। এর বাইরে পদটি মূলত আনুষ্ঠানিক। দেশের কার্যনির্বাহী ক্ষমতা থাকে প্রধানমন্ত্রী ও মন্ত্রিসভার হাতে। গণবিক্ষোভের জেরে প্রধানমন্ত্রী পদে ইস্তফা দিয়ে গত বছরের ৫ অগস্ট হাসিনা দিল্লিতে চলে যাওয়ার পর অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান ইউনূসকে শপথবাক্য পাঠ করিয়েছিলেন সাহাবুদ্দিন। ইউনূসের সুপারিশে জাতীয় সংসদ ভেঙে দেওয়ার পর সাহাবুদ্দিনই এখন কার্যত বাংলাদেশের একমাত্র সাংবিধানিক কর্তৃপক্ষ।