নানা রূপে সম্মুখে স্বস্তিকা দত্ত। ছবি: ফেসবুক।
দর্শকের সম্মুখে স্বস্তিকা দত্ত ‘বহুরূপে’। ভূত চতুর্দশীতে তিনি ‘মালিনী’ অবতারে প্রকাশ্যে। এ দিন সামনে এসেছে অরিত্র মুখোপাধ্যায়ের ভৌতিক ছবি ‘ভানুপ্রিয়া ভূতের হোটেল’-এর মোশন পোস্টার। কাহিনি-চিত্রনাট্যে জ়িনিয়া সেন। ঠিক একদিন আগে সামনে এসেছে স্বস্তিকার নতুন ধারাবাহিকের অধ্যাপক রূপ ‘বিদ্যা ব্যানার্জি’।
আপনি ভূত, না অধ্যাপক? ছোটপর্দায় প্রত্যাবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে বড়পর্দাতেও আপনি সমান ভাবে। বিভ্রান্তি তৈরি হবে না তো?
প্রশ্ন নিয়ে অভিনেত্রীর সঙ্গে যোগাযোগ করেছিল আনন্দবাজার ডট কম। স্বস্তিকা নিমেষেই রসিকতায় মাতলেন। জবাব দিয়েছেন, “আমি ভূত কি না, সে তো ছবি বলবে! মানুষও তো হতে পারি।” পরক্ষণেই হেঁয়ালি সরিয়ে জানিয়েছেন, তিনি উইন্ডোজ় প্রযোজনা সংস্থার শীতের ছবিতে অন্যতম চরিত্র ‘মালিনী’। এই চরিত্রের মাধ্যমে একসঙ্গে সবাইকে হাসাবেন, কাঁদাবেন, ভয় পাওয়াবেন। আবার প্রেমে পড়তেও বাধ্য করবেন।
বড়পর্দা-ছোটপর্দা নিয়েও তাঁর মনে কোনও দ্বন্দ্ব নেই। স্বস্তিকা পাল্টা প্রশ্ন রেখেছেন, “যাঁরা ধারাবাহিক দেখেন তাঁরা কি সিনেমা দেখেন না?” এও বলেছেন, “কিছু দিন পরেই প্রকাশ্যে আসবে আড্ডা টাইমস ওয়েব প্ল্যাটফর্মের জন্য আমার অভিনীত সিরিজ় ‘খুঁজেছি তোকে রাত বেরাতে’র পোস্টার। আমার তো মনে হয়, সমসাময়িক অনেক অভিনেতা বা অভিনেত্রী এ রকম একসঙ্গে তিন মাধ্যমে কাজের সুযোগ পাননি। আমি পাচ্ছি। তাই করছি। এখনও পর্যন্ত থিয়েটারটাই করা বাকি। ওটাও সুযোগ পেলে করব।”
তাঁর মতে, তিনি তো কাজ করতেই এসেছেন! “মঞ্চানুষ্ঠানে আমার থেকে যেমন ‘ফাটাফাটি’ বা ‘আলাপ’ ছবির সংলাপ শুনতে চাওয়া হয়, তেমনই ধারাবাহিক ‘ভজগোবিন্দ’ বা ‘কী করে বলব তোমায়’-এর সংলাপও বলার অনুরোধ আসে।”
স্বস্তিকার তাই বক্তব্য, রাজ চক্রবর্তী তাঁকে বড়পর্দায় এনেছেন। নায়িকা বানিয়েছেন স্নেহাশিস চক্রবর্তী। আর দর্শকমহলে প্রিয় করেছেন নন্দিতা রায়-শিবপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়। তাই তাঁর মনে বড়পর্দা-ছোটপর্দা নিয়ে কোনও দ্বন্দ্ব নেই।
ছবি নিয়ে, চরিত্র নিয়ে বেশি কথা বলার অনুমতি নেই অভিনেত্রীর। নইলে ছবির যাবতীয় রহস্য-রোমাঞ্চ ফাঁস হয়ে যাবে। তবে ১১ বছর পরে বনি সেনগুপ্তের সঙ্গে আবার জুটি বাঁধা তাঁকে অতীত ফিরিয়ে দিয়েছে, সে কথা জানাতেও ভোলেননি। ১১ বছর আগে স্বস্তিকা আর বনি অভিনয় করেছিলেন ‘পারব না আমি ছাড়তে তোকে’ ছবিতে।
মাঝে অনেকগুলো বছর কেটে গিয়েছে। নায়ক কি খুব বদলে গিয়েছেন? স্বস্তিকার কথায়, “আগের মতোই আছে। খুব বদলায়নি বনি। তবে অনেক বেশি ফোকাস্ড, আরও ডিসিপ্লিন্ড। যাঁরা এই ধাঁচের অভিনেতা তাঁদের সঙ্গে কাজ করে আরাম।” অভিনেত্রীর আরও সংযোজন, “জানেন, নিজের সংলাপ-সহ পুরো চিত্রনাট্য গড়গড়িয়ে মুখস্থ বলত! আমি কি তা হলে ফাঁকি দিচ্ছি? এই ভাবনাতেই কাঁটা হয়ে থাকতাম তখন।”